আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সরাইলে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যর্থতার অভিযোগে যুবলীগের বিক্ষোভ-সমাবেশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী হয়ে আজীবন থাকতে চাই ব্রা‏‏হ্মণবাড়িয়ার সরাইলে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যর্থতার অভিযোগ এনে গতকাল রোববার বিকেলে উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের নেতৃবৃন্দ সরাইল থানার ওসি এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, গত তিন ধরে উপজেলা সদরে একটি অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে। ছাত্রদলের দুইটি গ্রুপ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বার বার বাজারে সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে। এতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে ব্যবসায়ীদের চরম ক্ষতি হচ্ছে। স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা পড়ছেন বিপাকে।

পথচারীদেরকে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কিন্তু প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করে আসছেন। প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন ও ব্যবসায়ীরা জানান, গতকাল রোববার সকালে ওই দুই গ্রুপের লোকজন পূর্বঘোষণা দিয়ে ফের উপজেলা সদরে অবস্থান নেন। সকাল থেকে পুলিশ বিভিন্ন স্পটে অবস্থান নিলেও দুই গ্রুপ এলাকায় মহড়া দিতে থাকে। দুপুরের দিকে হঠাৎ দু’গ্রুপের কয়েকশত দাঙ্গাবাজ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বিকাল বাজার এলাকায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।

এতে উভয় দলের অন্তত ২০ জন আহত হয়। এসময় ঘটনাস্থলে পুলিশ ছিল না। সংঘর্ষের ফলে বাজারের ব্যবসায়ী, পথচারী, জেএসসি পরীক্ষার্থী, জামে মসজিদের মুসল্লিসহ শত শত মানুষ দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সাধারণ মানুষের দূর্ভোগের কথা পুলিশকে বলতে গেলে সরাইল থানার ওসি যুবলীগ নেতা হাজী মাহফুজ আলীকে লাঞ্ছিত করেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে উত্তেজনা বেড়ে যায়।

বিকেলে সরাইলের শান্তি ফিরিয়ে দাও, দিতে হবে শ্লোগান দিয়ে উপজেলা যুবলীগের নেতৃবৃন্দসহ এলাকার শত শত লোক মিছিল বের করেন। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন শেষে উপজেলা চত্বরে এসে সমাবেশে যোগ দেন। সমাবেশে উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক হাজী মাহফুজ আলী ও যুগ্ম আহবায়ক আমিনুল ইসলাম শেলভী বলেন, ইউএনও এবং ওসির দায়িত্ব অবহেলার কারণে সাধারণ মানুষ আজ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তারা দাঙ্গাবাজ দু’গ্রুপকে প্রতিহত না করে উল্টো মদদ দিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হাজী ইকবাল হোসেন বলেন, আমরা ব্যর্থ ইউএনও’র অপসারণ দাবি করছি।

এলাকার শান্তি শৃঙ্খলার স্বার্থে দাঙ্গাবাজদের দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে। এ প্রসঙ্গে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ গিয়াস উদ্দিন বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সঠিক সহযোগিতা আমরা পাচ্ছিনা। ১৪৪ধারা জারির অনুরোধ করা হলেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেটি করেন নি। এই পরিস্থিতি সামালে লিখিতভাবে নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ করি। কিন্তু তিনি ঘটনার দিন সকালে আশুগঞ্জ চলে যান।

পুলিশকে কোনো সহযোগিতা করেননি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাফায়াত মো. শাহেদুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে পুলিশ যথাযথ সহযোগিতা করছে না। তাছাড়া জেএসসি পরীক্ষার কারনে ১৪৪ধারা জারি করাও সম্ভব হচ্ছে না। এ ঘটনার জন্য উপজেলা প্রশাসন দায়ী নয়। আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম।

চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেছি। পুলিশ আমাকে কোন সহযোগিতা করেনি। এমনকি ওসি আমার ফোনও রিসিভ করেনি। বিষয়টি আমি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটকে অবগত করেছি। ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.