A LITTLE MAN FROM SARAIL আরিফুল ইসলাম সুমন, সরাইল ॥
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কৃষি জমিতে পকেট গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। ওইসব স্থানে মাটির তলদেশ থেকে বের হওয়া গ্যাস নিয়ে স্থানীয় লোকদের মাঝে কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে কৌতুহল বশত খড়-কূটার মাধ্যমে মাটির নিচ থেকে বেরিয়ে আসা গ্যাসে আগুন জ্বালাতেও দেখা গেছে। ইতিমধ্যে বাখরাবাদ গ্যাস ফিল্ড কর্তৃপক্ষ সরাইল উপজেলাকে গ্যাসের এলাকা বলে ঘোষণা দিয়েছেন। কর্তৃপক্ষ গ্যাসের সন্ধানে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জরিপ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
বিষয়টিকে ঘিরে এলাকার প্রায় মানুষেরই আতঙ্ক কাটছে না। তবে স্থানীয় বাপেক্স কর্মকর্তারা বলছেন এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এগুলো পকেট গ্যাস। এমন ঘটনায় প্রাথমিভাবে কর্তৃপক্ষের কিছুই করার থাকে না। ক’দিন পর গ্যাসের উদগীরন এমনিতেই বন্ধ হয়ে যাবে।
সরেজমিন জানা গেছে, উপজেলা সদরের মোঘলটুলা গ্রামের পশ্চিম দিকে ফসলি মাঠের কৃষি জমির সেচ প্রকল্পের গভীর নলকূপের পাইপ দিয়ে গত তিন দিন ধরে বুদ বুদ শব্দে গ্যাস বেরুচ্ছে। বিষয়টি পর্যবেক্ষন করতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাখরাবাদ গ্যাস ফিল্ড কর্তৃপক্ষের কেউ ঘটনাস্থলে আসেননি। বুধবার সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। কৃষি জমিতে পাইপ দিয়ে মাটির নীচ থেকে গ্যাস বের হওয়ার দৃশ্য দেখতে ওই এলাকায় শত শত উৎসুক জনতা ভীড় জমাচ্ছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন জানান, গত মঙ্গলবার সকালে মোঘলটুলা গ্রামের কৃষক শহীদ মিয়ার জমিতে গভীর নলকূপ বসানোর কাজ চলছিল।
নলকূপের পাইপ একশত সত্তর ফুট মাটির নীচে যাওয়ার পর প্রথমে থেমে থেমে পানি বের হতে থাকে। পরে মিস্ত্রীদের শরীরে প্রচন্ড গরম অনুভব হয়। মাটির নীচের পাইপগুলো প্রচন্ড তাপে গলতে শুরু করে। তখন তারা নিশ্চিত হন নীচ থেকে গ্যাস বের হচ্ছে। মিস্ত্রিরা বেশকিছু পাইপ টেনে তুলতে সক্ষম হলেও কয়েকটি পাইপ মাটির নীচেই থেকে যায়।
বর্তমানে ওইস্থান দিয়ে অনবরত গ্যাস বের হচ্ছে। অনেকে উদগীরত গ্যাসে আগুন দিচ্ছে। এদিকে উপজেলার চুন্টা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ মো. হাবিবুর রহমান জানান, সম্প্রতি করাতকান্দি গ্রামে ফসলি জমিতে গ্যাসের সন্ধান পেয়েছে জরিপকারী একটি দল।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাফায়াত মো. শাহেদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বাপেক্স কে বিষয়টি অবহিত করে যথাযথ ব্যবস্থা নিব। বাখরাবাদ গ্যাস ফিল্ডের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সহ-বানিজ্যিক কর্মকর্তা এম এইচ কামাল বলেন, বিষয়টি জেনেছি।
সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের বাকাইল থেকে সরাইল পর্যন্ত গ্যাসের এলাকা ঘোষনা করা হয়েছে। ওইগুলোকে পকেট গ্যাস বলা হয়। ক’দিন পর গ্যাস বের হওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। এ অবস্থায় আমাদের কিছুই করার নেই। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।