hffgh
সরাইলে প্রথম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে (০৭) ধর্ষণ করেছে এক বখাটে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ধর্ষিতা এখন ছটফট করছে। আইনের আশ্রয় নিতেও বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে ধর্ষিতার পরিবার। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে এলাকার প্রভাবশালী চিিহ্নত কিছু মাতাব্বর। অনেক নাটকীয়তার পর গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় ধর্ষিতাকে তার মা-বাবা সহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছে পুলিশ।
নির্মম বর্বর এ ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার রাত ৮টায় উপজেলার কালীকচ্ছ ইউনিয়নের বেপারী পাড়ায়।
এলাকাবাসী, পুলিশ ও ধর্ষিতার পরিবার জানায়, গত বুধবার রাত ৮টায় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বেরিয়ে আসে কালীকচ্ছ দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী দরিদ্র মৎস্য চাষী জাফর আলীর শিশু কন্যা (০৭)। পেটের দায়ে শিশুটির মা তখন অন্যের বাড়িতে কাজ করছিল। সুযোগে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা প্রতিবেশী সাওয়াল বেপারীর বখাটে লম্পট ছেলে খায়রুল (১৬) শিশুটির মুখ ছেপে ধরে জোর করে তার শয়ন কক্ষে নিয়ে যায়। এসময় খায়রুলের ঘরে কেউ ছিল না।
শিশুটির মুখ কাপড় দিয়ে বেঁধে ইচ্ছে মত উপর্যুপরি ধর্ষণ করে। পরে অজ্ঞান হয়ে গেলে সম্পূর্ণ বিবস্ত্র অবস্থায় শিশুটিকে জানালা দিয়ে বাইরে ফেলে দেয়। এসময় প্রতিবেশী জোহুরা বেগম ঘটনাটি দেখে ফেলেন। ঘন্টা খানেক পর ধর্ষিত শিশুটির জ্ঞান ফিরলে সে পুরো বিষয় সকলের কাছে খুলে বলে। বিষয়টি সমগ্র গ্রামে জানাজানি হয়ে যায়।
ঘটনার পর ধর্ষক খায়রুল ও তার পরিবারের লোকজন গা ঢাকা দিয়েছে। গুরুতর অসুস্থ রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটির ফুফু ফুলচান বেগম (৫৫) সরাইল হাসপাতালে নিয়ে যান। বিষয়টি জেনে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক বাবুল চন্দ্র সাহা চিকিৎসা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তারা ফের বাড়িতে চলে আসেন। ওদিকে গ্রাম্য মাতাব্বর,কালীকচ্ছ দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা পরিষদের সভাপতি আবু বক্কর ছিদ্দিক (রকেট মেম্বার), মোরাদ বেপারী ও জাহাদ আলী বেপারী ধর্ষিতার পরিবারের সদস্যদেরকে বিভিন্ন লোভ লালসা দেখিয়ে আইনের আশ্রয় নিতে বাধা দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন শিশুটির মা জুলেসা বেগম (৪০)।
তিনি বলেন, ধর্ষক খায়রুলের পরিবারের লোকজন সহ ওই প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বিষয়টি পুলিশ ও অন্য কাউকে না জানাতে বার বার চাপ দিচ্ছিল আমাদেরকে। তারা টাকার বিনিময়ে সালিশের মাধ্যমে বিষয়টির নিস্পত্তি করতে চেয়েছিল। আমরা গরিব মানুষ তাদের ভয়ে কোথাও জায়নি। শিশুটির অবস্থার অবনতি দেখে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ডা. শহিদুল্লাহর নিকট নিয়ে আসেন। তিনি দ্রুত জেলা সদরে নেয়ার জন্য পরামর্শ দেন।
এ ব্যাপারে সরাইল হাসপাতালের চিকিৎসা সহকারী ডা. শহিদুল্লাহ জানান, আমি ঘটনা শুনে রোগী দেখিনি। কারণ এ রোগীর চিকিৎসা নিয়মের মাধ্যমে করতে হয়। আমি তাদেরকে জেলা সদরে নিয়ে যেতে বলেছি। এ ধরণের চিকিৎসার জন্য সিভিল সার্জন বরাবর আবেদন করতে হয়। পরে ক’জন ডাক্তারের সমন্বয়ে টিম গঠন করা হয়।
ওই টিম পরিক্ষা-নিরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেন। সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা ধর্ষিতাকে উদ্ধার করেছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিব। ধর্ষিতার পিতা জাফর আলী বাদী হয়ে ধর্ষক খায়রুলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। বিদ্যালয়ের সভাপতি আবু বক্কর ছিদ্দিক ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করে বলেন, আমি বুধবার সকালে বিষয়টি জেনেছি।
আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সঠিক নয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।