Digital Bangladesh Warriors - fb.com/openbd নতুন নিয়মে এত প্যাচাইয়া সার্জেন্টের ছুড়িতে আরেকটু ধার দেওয়া হলো মাত্র। ডাটাবেইজ এর কাজ ম্যানুয়াললি করলে মেনুপুলেটের সুযোগ থাকবেই, আরও অভিনব, আরও বেশি।
রাজধানীতে চালু হচ্ছে ই-ট্রাফিক মুঠোফোনে জরিমানা পরিশোধ, জানা যাবে সব তথ্য। সূত্র প্রথমআলো।
মোটরযান আইনে মামলা হলে জরিমানা দিয়ে তা নিষ্পত্তির জন্য আর ট্রাফিক পুলিশের কার্যালয়ে যেতে হবে না।
ই-ট্রাফিকব্যবস্থায় মোবাইল ফোনের ফ্লেক্সিলোডের মাধ্যমে বা বেসরকারি ব্যাংকে জরিমানা পরিশোধ করলে জব্দ করা কাগজ ঠিকানা অনুযায়ী গাড়ির মালিক বা চালকের কাছে পৌঁছে যাবে। আগামী বছরের জানুয়ারির মধ্যে ঢাকা শহরে চালু হচ্ছে ‘ই-ট্রাফিক’।
আজ বুধবার রাজধানীর রূপসী বাংলা হোটেলে ই-ট্রাফিক কার্যক্রম চালু প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগর পুলিশের সঙ্গে বেসরকারি ডাক সেবাদান প্রতিষ্ঠান সুন্দরবন কুরিয়ারের একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। পুলিশের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করে উপকমিশনার (সদর দপ্তর) হবিবুর রহমান ও আর সুন্দরবন কুরিয়ারের পক্ষে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমামুল কবীর।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘আমাদের এখনই সময় আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে নিজেদের খাপ খাইয়ে নেওয়ার।
আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আমরা দেশকে নিরাপদ করতে চাই। দয়া করে কেউ এটাতে বাধা দেবেন না। ’
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মহানগর পুলিশ ও সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ই-ট্রাফিক: নতুন এই ব্যবস্থা সম্বন্ধে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (জনসংযোগ) মাসুদুর রহমান বলেন, এই ব্যবস্থার মাধ্যমে মানুষ অনেক সেবা পাবে। মুঠোফোনের একটি খুদে বার্তার মাধ্যমেই পাওয়া যাবে যানবাহনের নিবন্ধন নম্বর, চেসিস ও ইঞ্জিন নম্বর, ট্যাক্স টোকেন ও ট্রাফিক মামলা, রুট পারমিট ও চালকের লাইসেন্সের বৈধতা যাচাই-সংক্রান্ত তথ্য।
এগুলো জানতে যেকোনো মোবাইল ফোন থেকে ৮৭৮৭ নম্বরে একটি খুদে বার্তা পাঠাতে হবে। ফিরতি খুদে বার্তায় ব্যক্তির চাহিদা অনুযায়ী তথ্য চলে আসবে।
মাসুদুর রহমান বলেন, ট্রাফিক পুলিশ এখন যেভাবে একটি ছকবাঁধা কাগজে মামলা লিখে দেন। ই-ট্রাফিকে আর তা হবে না। ট্রাফিকের হাতে থাকবে বিশেষ ধরনের ছোট ইলেকট্রনিক ডিভাইস।
যাতে কাগজের মতোই ছক করা থাকবে। ট্রাফিক কর্মকর্তা শুধু আইন অমান্যকারী গাড়ি বা চালকের তথ্য, জব্দ করা দলিলের তথ্য লিখে অপরাধের ধারা বাছাই করবেন। এরপর ওই যন্ত্র থেকে একটি কাগজের স্লিপ বেরিয়ে আসবে। সেই স্লিপ সংরক্ষণ করবেন গাড়ির চালক বা মালিক। এরপর তিনি মোবাইল ফোনের ফ্লেক্সিলোড বা বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে নির্ধারিত জরিমানার টাকা পরিশোধ করবেন।
টাকা পরিশোধের পর তাঁর হাতে ট্রাফিক কর্মকর্তার জব্দ করা দলিলগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পৌঁছে যাবে। চাইলে গাড়ির চালক বা মালিক চলতি ব্যবস্থায় ট্রাফিকের কার্যালয় থেকেও জরিমানা দিয়ে মামলা নিষ্পত্তি করতে পারেন। আর কুরিয়ার সার্ভিস যদি কারও কাগজপত্র হারিয়ে ফেলে, তার জন্য বিমার ব্যবস্থা রয়েছে। ওইসব কাগজ পুনরায় তুলতে যা খরচ হবে, তা বহন করবে বিমা কোম্পানি। জরিমানা দেওয়ার পর কাগজপত্র পেতে বিলম্ব হলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বা মুঠোফোনের খুদের বার্তার মাধ্যমে কাগজপত্রের অবস্থান জানা যাবে।
পুলিশ জানিয়েছে, ই-ট্রাফিকব্যবস্থা চালুর অংশ হিসেবে আগামী ১৭ ডিসেম্বর একটি মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ পরীক্ষামূলকভাবে এ সেবা চালু হবে। জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে সবার জন্য এ সেবা উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
মন্তব্যঃ আরে বেহল, এইটারে ই, ই-ট্রাফিক বলে ? আপনাদের ই ধরে আপনাদের ই'তে ভরে দেওয়া হউক! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।