আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মামলা নং : ৮৪, তারিখ : ২৭-১০-২০১১। বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য দিয়ে পুলিশের যোগসাজশে দুটি মামলাতেই জামিন নিয়ে জেল থেকে বের হয় নয়ন।

থানার শেল্টারে কিলারের হুমকি মেয়ের জামাইয়ের হুমকিতে এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন শাশুড়ি ঝর্না বেগম। একমাত্র মেয়ে তানিয়াকে (২৪) যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে পেট্রোল ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে মারার পরও মেয়ের জামাই নয়ন সরকারের (২৭) কিছুই হয়নি এখন পর্যন্ত। নিয়মিত শারীরিক নির্যাতনের শিকার তানিয়া বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় স্বামী নয়নের বিরুদ্ধে একটি মামলাও করেছিল। মামলা নং : ৬৭, তারিখ : ২৩-০৫-২০১১। তানিয়ার মৃত্যুর পর নয়নের বিরুদ্ধে অন্য মামলাটি করেন তানিয়ার মা ঝর্না বেগম।

মামলা নং : ৮৪, তারিখ : ২৭-১০-২০১১। বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য দিয়ে পুলিশের যোগসাজশে দুটি মামলাতেই জামিন নিয়ে জেল থেকে বের হয় নয়ন। এরপরই মামলা ত–লে নেয়ার জন্য শাশড়ি ঝর্না বেগমকে প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ঝর্না বেগম। এদিকে মামলার অধিকতর তদন্তের জন্য ঝর্না বেগম প্রশাসনের বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে দরখাস্ত করে নয়নের শাস্তি দাবি করে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু থানা কর্তৃপক্ষ ঝর্না বেগমের মামলা দুটোর কোনো চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে পাঠাচ্ছে না।

ঝর্না বেগমের সাথে আলাপ করে জানা যায়, তার মেয়ে তানিয়া সুলতানাকে ৮ বছর আগে নয়ন সরকারের সাথে বিয়ে দেন তিনি। বিয়ের আগে থেকেই নয়ন সরকারের সাথে তার পরিচয় ছিল। পরিবারের কিছুটা অমতেই তানিয়া তাকে বিয়ে করেছিল। বিয়ের পর মেয়ের দিকে তাকিয়ে ঝর্না বেগম মেনে নিয়েছিলেন সবকিছু। নয়ন সরকারের পিতার নাম মোশারফ সরকার।

বাড়ি কুমিল্লা জেলার তিতাস থানার বাতাকান্দি গ্রামে। বিয়ের পর নয়ন ও তানিয়া যাত্রাবাড়ী এলাকায় ভাড়াবাসায় সংসার শুরু করে। দাম্পত্য জীবনে তাদের সংসার আলো করে একটি ছেলেসন্তান জন্ম নেয়। তারপরও বেকার স্বামী নয়ন যৌতুকের জন্য প্রতিনিয়ত তানিয়াকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে মা ঝর্না বেগম দু’বার নয়নকে টাকা দিয়ে মালয়েশিয়া পাঠান।

কিন্তু বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে নয়ন দেশে চলে আসে। দেশে এসে ফের যৌতুকের টাকার জন্য তানিয়াকে শারীরিক নির্যাতন করতে থাকে। এসব কারণে গত ২৩-০৫-১১ তারিখে তানিয়া নিজে বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় নয়নের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে। যার নং : ৬৭। এ মামলায় নয়ন সরকারসহ তার মা-বাবাকেও আসামি করা হয়।

এতে নয়ন সরকার আরো ক্ষিপ্ত হয়ে তানিয়াকে মোবাইলে জানায়, ‘তোকে দেখে নেব। ’ এভাবে বিভিন্ন ঘটনার পর তানিয়াকে বুঝিয়ে আবার নয়নের বাসায় নিয়ে আসে সে। দাম্পত্য কলহের একপর্যায়ে নয়ন ক্ষিপ্ত হয়ে ১৪-১০-১১ তারিখে বেলা ২টার দিকে তানিয়ার গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে তানিয়া গুরুতর জখম হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৭-১০-১১ তারিখ ভোর ৫টার দিকে তানিয়া মারা যায়।

এ ঘটনায় ঝর্না বেগম বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার নং : ৮৪, তারিখ : ২৭-১০-১১। এসব ঘটনার পর নয়ন জামিনে বেরিয়ে যাত্রাবাড়ী থানার শেল্টারে তার শাশুড়ি ঝর্না বেগমকে হুমকিধমকি দিচ্ছে বলে জানা যায়। ঝর্না বেগম মেয়ের হত্যাকারীর বিচার দাবি করছেন। তিনি আশা করেন, তানিয়াকে যারা হত্যা করেছে তাদের উপযুক্ত বিচার হলে তানিয়ার মতো এমন পরিণতি আর কারো জীবনে ঘটবে না।

তথ্য ৈদিনক অপরাধ কন্ঠ, ০৫/১২/২০১১ ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.