ভালবাসি
র্যাবের কথিত বন্দুকযুদ্ধে পা হারানো লিমন হোসেন তার বিরুদ্ধে করা মামলা থেকে নিষ্কৃতি পাচ্ছেন। অস্ত্র আইনে ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে দুই বছর আগের ঘটনায় করা ওই মামলাগুলো সরকার প্রত্যাহার করেছে বলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জানিয়েছেন। তবে র্যাবের বিরুদ্ধে লিমনের করা মামলা যেন প্রত্যাহার না হয়। এ মামলা চালিয়ে যেতে হবে। মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান যেন এ বিষয়ে কোন দোতিয়ালি না করেন অনুরোধ রইলো।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, লিমনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৪ ধারা অনুযায়ী মামলা প্রত্যাহার করা হবে। ”
মামলা প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে নিজের ‘নির্দোষিতার’ প্রমাণ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন লিমন।
মামলা প্রত্যাহারের জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মিজানুর রহমান, যিনি এই মামলা দুটি প্রত্যাহারের জন্য চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন।
একই ঘটনায় লিমনের মা যে মামলাটি করেছেন, তা চালিয়ে নেয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। ওই মামলায় ছয় র্যাবের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলা প্রত্যাহারের পর র্যাবের বিরুদ্ধে এখন কোনো পদক্ষেপ নেয়া হবে কি না- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “বাহিনীর বিরুদ্ধে কিছু করার প্রয়োজন রয়েছে বলে এখন মনে করি না।
“একটা কথা মনে রাখতে হবে. সেটা হলো লিমন যে অবস্থায় সেখানে র্যাব কর্তৃক ধৃত হয়েছিল, সে অবস্থা-প্রেক্ষিতও বিবেচনা করতে হবে। ”
র্যাবের করা মামলায় অভিযোগ গঠনের এক সপ্তাহের মধ্যে লিমনের বিরুদ্ধে তা না চালানোর সিদ্ধান্ত নিল সরকার। মামলা দুটিতে লিমন ছাড়াও আরো সাতজনকে আসামি করা হয়েছে।
মানবাধিকার কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর সকালে মিজানুর রহমানকে টেলিফোন করে লিমনের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের কথা জানিয়েছেন।
এজন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে মানবাধিকার কমিশন বলেছে, সরকারের এ সিদ্ধান্ত লিমনের ন্যায়বিচার পাওয়ার পথকে নিশ্চিত করবে বলে তারা মনে করছে।
মামলা প্রত্যাহারের প্রতিক্রিয়ায় লিমন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি নিরপরাধ ছিলাম, এটা প্রমাণিত হয়েছে। আমার ভালো লাগছে।
“দুপুরে স্যার (মিজানুর রহমান) আমাকে ফোন দিয়ে বলেছেন, ‘লিমন আমি আগেও তোমার সাথে ছিলাম, এখনোও তোমার সাথে আছি’। তোমার বিরুদ্ধে র্যাবের দেয়া মামলা দুটি প্রত্যাহারের ব্যপারে স্বারাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বাক্ষর হয়ে গেছে।
”
র্যাবের কথিত বন্দুকযুদ্ধে পা হারানোর পর লিমনের পাশে দাঁড়ানো মিজানুর রহমান কয়েকদিন আগেও লিমনকে ডেকে পাঠান। সেদিন তিনি র্যাবের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন বলে লিমন দাবি করার পর তা নিয়ে সমালোচনা ওঠে।
তবে মিজানুর রহমান পরে বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, তিনি লিমনকে মামলা প্রত্যাহার করতে বলেননি। তিনি বলেছিলেন, লিমনের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের সঙ্গে র্যাবের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের কথা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তুলতে পারে।
২০১১ সালের ২৩ মার্চ ঝালকাঠীর রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে কলেজপড়ুয়া লিমন র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে পা হারান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।