কবে যাবো পাহাড়ে... কবে শাল মহুয়া কণকচাঁপার মালা দেব তাহারে.... আমি একদিন ভারতীয়দের একটা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গেসিলাম। অনুষ্ঠানের শুরুতে আমেরিকার আর ভারতের জাতীয় সঙ্গীত হইলো। আমেরিকার জাতীয় সঙ্গীতের সময় কয়েকজন ছেলে পেছন থেকে মুখ দিয়ে নানান 'ঠিস ঠিস ঠুস! ঢিস্টিক ঢিস্টিক!' টাইপের হাবিজাবি শব্দ করতেসিলো। গানের মাঝখানে আবার এক কাবিল এসে 'ইয়ো ম্যান' বলে একটা র্যাপও ঢুকায়ে দিলো। আমার চক্ষু চড়কগাছ।
এইভাবে জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে ফাইজলামি করতেসে, আর আমেরিকানরা সেটা হাসিমুখে দেখতেসে!!!! :O
পরে আমি আমার কিছু বন্ধুকে জিজ্ঞেস করলাম। ওরা আমার প্রশ্ন শুনে অবাক: 'জাতীয় সঙ্গীতকে নিয়ে এরকম করা যাবেনা কেন? আমরা তো হরহামেশাই করি!' সেই মুহুর্তে আমি কাহিনী কিছুই বুঝলাম না। ব্যাপক কনফিউশনে পড়ে গেলাম। জাতীয় সঙ্গীত কি এইরকম ফাইজলামির জিনিস নাকি???
এখন একটু একটু বুঝি। ওরা ওদের জাতীয় সঙ্গীতকে ভালোবাসে।
তাই সেটাকে যার যেভাবে খুশি- নিজের মত করে গায়, ভালোবেসে গায়। সেটা ওদের চোখে মোটেও দৃষ্টিকটু না। ওরা জাতীয় পতাকার ডিজাইন দিয়ে পায়ের জুতাও বানায়, সেটাও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। কেউ এটাকে খারাপ চোখে দেখে না।
আমরা? আমরা বোধ হয় জাতীয় পতাকা, জাতীয় সঙ্গীত- এগুলোকে শুধু সম্মান করতে শিখেছি, ভালোবাসতে শিখিনি।
তাই এদের গায়ে একটু ধুলাবালি লাগলে আমাদের তাতে জাত চলে যায়। মুহুর্তের মধ্যেই একজন দেশপ্রেমিক দেশোদ্রোহী বনে যায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।