সেদিন এক প্রোফেসরের সাক্ষাৎকার নিলাম। সে আমেরিকার আদিবাসীদের নিয়ে কাজ করে। ভেবেছিলাম আধা ঘন্টায় হয়তো শেষ হয়ে যাবে সাক্ষাৎকার কিন্তু কথা বলতে বলতে ঘন্টা পার হয়ে গেল। আদিবাসীদের সম্পর্কে আমার জ্ঞান খুবই ভাসা ভাসা তাই তার কথা বুঝতে প্রথমে কিছু সমস্যাই হচ্ছিল।
কেলি ব্রেনাম এর কাছ থেকে যতদূর জানলাম যে বিগহর্ন ক্যানিয়নে হাজার হাজার বছর আগে ক্রো ইন্ডিয়ান এবং আরো অন্যান্য আদিবাসীরা থাকতো।
আমেরিকান সরকার তাদের জমি দখল করে তাদেরকে রিজার্ভেশনে পাঠিয়ে দেয় এবং সেখানে তৈরী করে একটি জাতীয় পার্ক। কিন্তু এখনও সেই দখলকৃত জায়গায় রয়ে গেছে আদিবাসীদের চিন্হ। প্রত্নতাত্বিকেরা বের করছে মাটি খনন করে আদিবাসীদের ব্যবহার করা থালা-বাটি এবং আরও নানান কিছু। কার্বন ডেটিং করে বের করছে তাদের বয়স। যেসব স্থানে একসময় আদিবাসীরা তাদের Tipi বা তাবু স্থাপন করেছিল সেসবও খুঁজে বের করছে বিশেষজ্ঞরা।
আমেরিকার বর্তমান প্রজন্মকে আদিবাসীদের জীবনযাত্রা এবং ইতিহাস সম্পর্কে জানানো এইসব গবেষকরা নিজেদের দায়ীত্ব হিসেবে দেখন।
কেলি বলছিল যে ওখানে তার একটি পরিবার হয়ে গেছে - তার সেই আদিবাসী পরিবারে আছে মা, বাবা এবং এক বোন। গত পাঁচ বছর ধরে নিয়মিত সে তাদের সাথে যোগাযোগ রাখছে। কেলি বলছিলো, আদিবাসীরা কতটা অর্থকষ্টে থাকে তা অনেকে চিন্তাও করতে পারবেনা। এমন বাড়ীও আছে যেখানে নেই বিদ্যুৎ বা ট্যাপের পানি।
কেলি ব্রেনামের সাথে কথা বলে ভাল লাগলো। মনে হলো ওনার মত আরও মানুষের প্রয়োজন আছে, শুধু এই দেশে না, পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।