‘গাজ্জা’ নামে পরিচিত গ্যাসকোয়েনের মদের কারণে খবরের শিরোনাম হওয়া নতুন কিছু নয়। এর আগেও মদ্যপ অবস্থায় বেশ কয়েক বার গ্রেপ্তার হন তিনি। অসুস্থও হন কয়েক বার। স্বজনরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করলেও সেখান থেকে পালিয়ে গিয়ে সবাইকে চমকে দেন তিনি।
১৯৮৮ থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত জাতীয় দলে খেলা সাবেক তারকা মিডফিল্ডার অবসরের পর কোচিং শুরু করেছিলেন।
কিন্তু মদের নেশার কারণে মাত্র ৩৯ দিন পরই কোচিং-জীবনের সমাপ্তি ঘটে তার।
এরপর বেশ কয়েক বার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার চেষ্টা করে প্রতিবারই ব্যর্থ হয়েছেন গ্যাসকোয়েন। কিছু দিন আগে মদের বিরুদ্ধে গণসচেতনতা তৈরি করতে একজন তথ্যচিত্র নির্মাতা ছবি তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন। ছবিতে গ্যাসকোয়েনকে রাখা হয় কেন্দ্রীয় চরিত্রে।
কিছু চিত্র ধারণও সম্পন্ন হয়।
যেমন, একটি পানশালায় গ্যাসকোয়েন হাসি মুখে ঢুকে মদের বদলে কোমল পানীয় পান করছেন। এরপর পানশালার কয়েক জন খরিদ্দারের সঙ্গে কথা বলে বের হয়ে আসছেন।
কিন্তু ছবির চিত্রনাট্যের বাইরে বাস্তবতার দৃশ্যপটে হঠাৎ করে পরিবর্তন -- ইংল্যান্ডের একটি রেলস্টেশনে আবার মাতাল অবস্থায় গ্রেপ্তার ৪৬ বছর বয়সী গ্যাসকোয়েন। বৃটিশ পত্রিকা ‘ডেইলি মিরর’ অবশ্য জানিয়েছে গ্রেপ্তার হওয়ার ১২ ঘন্টা পর জামিন পেয়েছেন তিনি।
তবে ঐ তথ্যচিত্র নির্মাতার সঙ্গে গ্যাসকোয়েনের চুক্তি অন্য ধরনের নাটকীয়তার আভাস দিচ্ছে।
চুক্তি অনুযায়ী পরিচালক এখন তার ইচ্ছামতো চিত্রনাট্য তৈরি করতে পারবেন।
পরিচালক শুরুতে গ্যাসকোয়েনকে ইতিবাচক চরিত্রে দেখিয়ে কাহিনী সাজিয়েছিলেন। কিন্তু গ্যাসকোয়েন নিজেই ‘নিয়ম’ ভঙ্গ করায় চিত্রনাট্য পাল্টে যেতে পারে!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।