আমিতো তাদের দলেই যারা টাকা কামানোর বা টাকা খাওয়ার উদ্দেশ্যে শাহবাগে যায় নি। আমাকে বলো, ওখানে টাকা খাওয়াদের দলে মানুষ কয়জন ছিল আর শুধুই দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে শাহবাগে গিয়েছে কয়জন। তোমরা সুশীল। তোমরা বলো, "নবীনরা কিছুই করে নাই। বরং টাকা খেয়ে সব শালারা একি সূরে কথা বলে।
শাহবাগ আন্দোলন করে, মানুষকে ভুগিয়ে কি পেয়েছে বরং দেশ আবারো ৭১ এ ফিরে গিয়েছে। " সেই সব শালাদের মাঝে তো আমিও ছিলাম। কারণ আমি যদি দেশে থাকতাম তাহলে আমিও শাহবাগে যেতাম। তার মানে আমিও টাকা খেয়ে ঐখানে যেতাম। আমার সব বন্ধুরা ছিলো ঐখানে।
এর মানে দাঁড়াচ্ছে তারাও টাকা খেয়ে ওখানে গিয়েছে?
শাহবাগে যাওয়া হাজার হাজার মানুষ যদি টাকা খেয়ে ঐখানে যায় তাহলে জাফর ইকবাল স্যার থেকে শুরু করে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররাও টাকা খেয়ে শাহবাগে গিয়েছে? যত অভিনয় শিল্পী আর গায়করা আন্দলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছে তারাও টাকা খেয়েছে? বাবার হাত ধরে যাওয়া ঐ ছোট্ট মেয়েটিও টাকা কামাতে শাহবাগে গিয়েছে?
হা আমি প্রথম থেকেই জানি কেউ কেউ এই আন্দোলনকে নিজ স্বার্থে ব্যাবহার করেছে, কেউ কেউ মদ খেয়েছে, গাজা খেয়েছে, নেচেছে, গেয়েছে। আমাদের সরকারই তো এই আন্দোলনকে নিজ স্বার্থে ব্যাবহার করেছে। আর আমাদের দেশে এমন ঘটনা না ঘটলেই বরং আমার কাছে অস্বাভাবিক মনেহত। কিন্তু ঐ হাতে গোনা কয়েকজন কি করেছে সেটা নিয়ে হাজারো দেশপ্রেমিক মানুষকে গালি দেওয়া স্বার্থপর মানুষের মুখেই মানায় যে কিনা সরকারের বিরোধিতা (এবং বিরোধীদল ও তাদের সহযোগীদের সমর্থনকারী) করতে গিয়ে সাধারণ মানুষের আবেগ কে উহ্য করে।
অন্যদিকে ঐ টাকা খাওয়া বা মদ খাওয়া মানুষগুলো ঐ কাজটাও করেছে যে, সাধারণ মানুষের মাঝে অপরাধের বিরোধিতা করার সাহস তৈরি করেছে।
দেশকে জানতে শিখিয়েছে। যে মানুষরা আগে মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা কি জিনিস তা জানতো না, তাদের মনে স্বাধীনতার চেতনা জাগিয়ে দিয়েছে তারা। মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়িয়ে দিয়েছে। সাধারণ মানুষ এখন সরকারের করা অপরাধের বিরুদ্ধে কথা বলারও সাহস রাখে এখন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।