হয়তো আমি কোন কিছু সম্পর্কে নিশ্চিত নই
খুব মনোযোগ দিয়ে ক'দিন টক শো দেখলাম। আমাদের আলোচকরা কিংবা অনুষ্ঠান নির্মাতা রাজনীতির বাইরের বিষয় নিয়ে টক শো করতে চান না। ফলে যে কয়টি টক শো দেখলাম, তার সবগুলোই রাজনীতি নিয়ে।
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনীতি কথানির্ভর। আর টক শো নামটিই বলে দিচ্ছে এটি কথা বলার অনুষ্ঠান।
সুতরাং বক্তারা প্রচুর কথা বললেন। একই বক্তা একাধিক অনুষ্ঠানে একই কথা বললেন। মোটামুটি মুখস্থ হয়ে গেলো। কিন্তু মানুষের জানার বাইরে বিদগ্ধ বক্তারা কী বললেন, সেটি আবিষ্কার করতে ব্যর্থ হলাম। বক্তব্য আছে, সিদ্ধান্ত আছে, আছে উপসংহারে পৌঁছার মতো অ্যাপ্রোচও; কিন্তু খুঁজেপেতেও পেলাম না উদাহরণ কিংবা তথ্য-উপাত্ত।
নিজের অভিজ্ঞতা থেকে কেউ যদি রাজনীতির মতো বিষয় নিয়ে সাধারণীকরণ করতে থাকেন, তাহলে তো সমস্যা! একটি বিষয় অবশ্য ভালো লাগলো- বক্তাদের পরিবেশনা। কেউ কেউ একই বক্তব্য ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে নতুন রূপরসগন্ধ দিয়ে বলতে পারেন, কারো বা উপস্থাপন ভঙ্গি এতো চমৎকার যে শুধু শুনতেই ইচ্ছা করে। কথা বলার সাথে সম্পর্কিত এই দুটো বিষয় কেউ শিখতে চাইলে রাজনীতিকের কথা শোনার বদলে টক শো-তে আসা বক্তারা হতে পারেন একেকজন উৎকৃষ্ট শিক্ষকের মতো।
কোনো সন্দেহ নেই, একেকটি টক শো যে পরিমাণ আলাপ-আলোচনা হয়, সেগুলো রপ্তানি করতে পারলে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় হতো। কিন্তু এ ধরনের কথা বলার মতো অনুৎপাদনশীল খাত থেকেও তো কিছু না কিছু অ-আর্থিক লাভ হওয়ার কথা! আমরা প্রতিনিয়ত যে আড্ডাবাজি করি, সেখান থেকে আমরা কি কিছুই শিখি না? টক শো থেকে কি কিছু শিখছি? যদি না শিখি, তাহলে আমপাবলিকের আড্ডা আর সুশীলের টক শো-এর মধ্যে পার্থক্য কোথায়?
অবশ্য সবকিছু থেকে যে শিখতেই হবে, তারও তো কোনো মানে নেই- গুরুর কথা!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।