আমি কেবলই আমার মতো আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, এদেশে ক্ষমতায় যাওয়ার মতো দুটি জোট রয়েছে। একটি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি এবং অপরটি বিএনপির নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তি। এটা হলো ভোটের হিসাবে ক্ষমতায়নের প্রাসঙ্গিকতা। কিন্তু এর বাইরে আরেকটি লোভী শ্রেনী আছে। যারা ১৯৯০ সাল থেকে পরপর চারবার তিনমাসের জন্য পতাকা শোভিত গাড়িতে চড়ে রাজনীতিকে একহাত দেখে নিতে পারে।
এই চক্রটি শেষবার তো ঝেকেই বসেছিল। বিভিন্ন কারনে পারেনি। বর্তমান অতিসাহসী গনমুখী সরকার এই অতি-লোভীদের পতাকাশোভিত গাড়িতে চড়ার সুযোগ বন্ধ করে দেওয়ায় তারা বেজায় নাখোশ। এরা আবার তথাকথিত সুশীল সমাজের নাগরিক ও প্রতিনিধি। এখন এরাও কিন্তু ক্ষমতার দ্বন্ধে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা ভুলে বিপরীত দিকে হাত মিলিয়েছে।
এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশি বাঙালিদের জোট, খালেদা জিয়া নেতৃত্বে বাংলাদেশি পাকিস্তানপন্থীদের জোট এবং তত্ত্বাবধায়কপন্থী সুশীলদের আন্তর্জাতিকপন্থী জোট। এই তিন জোটের শেষোক্ত দুটি একাট্টা হচ্ছে দিনে দিনে ধীরে ধীরে। যতই দিন যাবে ততই এরা একাকার হয়ে যাবে। তিন মাসের নামে সীমাহীন সময়ের ক্ষমতার ছরি হাত ফসকে চলে যাওয়ার রাগ।
বুঝেনইতো!!!
বাংলাদেশের জন্মগত অপ্রাপ্তি এই যে, এদেশে আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে গেলে কোন প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় যায়না; এবং আওয়ামী লীগ ছাড়া এদেশে ক্ষমতায় যাওয়ার মতো অন্য একটিও প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল নাই। আর আওয়ামী লীগের জন্য একটা জন্মগত অপ্রাপ্তি ও দুর্ভাগ্য এই যে, এদেশে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে একটিও প্রগতিশীল বিরোধী দল থাকেনা। অতএব সাধু সাবধান! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।