আমার প্রিয় লেখকদের একজন আনিসুল হক। সেই ন'য়ের দশকে যখন তিনি যায় যায় দিন এ লিখতেন তখন থেকেই আমি তার লেখা পড়তে ভালবাসি। তিনি একজন প্রগতিশীল ধারার লেখক। প্রগতিশীলধারা কি তা এখানে আলোচনা করার প্রয়োজন নেই। তবে, তাঁদের একটি সাধারন ধর্ম হচ্ছে তাঁরা ভারতের ব্যাপারে অনুরাগপ্রবন।
অন্য কথায় ভারতের সাত খুন মাফ করতে তাদের কোন আপত্তি থাকেনা। এর একটি কারন এটা হতে পারে যে, এঁরা লেখক বা শিল্পী হিসেবে যাদেরকে গুরু বলে মানেন তাঁরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভারতীয়। এই প্রাতঃস্মরণীয় গুরুগণ তাঁদের প্বার্শবর্তীদেশের শিষ্যগণের অনুরাগপ্রবনতার বিপরীতে কতখানি সহানুভুতিশীল তা অবশ্য এই শিষ্যগণ কখনও ভেবে দেখেছেন বলে মনে হয় না।
যাই হোক আজকে এই ঘরানার লেখক আনিসুল হক একটা কান্ডই করে ফেলেছেন বলা যায়। তিনি প্রথম আলোতে তাঁর নিয়মিত গদ্যকার্টুন কলামে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে হতাশা জনক একটা লেখা লিখে ফেলেছেন।
এখানে ক্লিক করে আনিসুল হকের লেখাটি পড়তে পারেন । এই লেখাটি টিপাইমুখ বাঁধ ইস্যুতে হলেও তিনি ট্রানজিট ইস্যুও এখানে নিয়ে এসেছেন এবং সেই সব প্রশ্ন তুলেছেন যা এতদিন কেবল তারাই তলেছেন যাদেরকে সহজেই রাজাকার, মৌলবাদী, জঙ্গি, সংকির্ণমনা ইত্যাদি গালি দিয়ে থামিয়ে দেয়া যায়। এখন বল্লেন একজন প্রগতিবাদি। কিন্তু এতদিনে সব শেষ হয়ে গিয়েছে নয় কি? চুক্তি স্বাক্ষর হয়ে গিয়েছে ট্রানজিটের, চুক্তি স্বাক্ষর হয়ে গিয়েছে টিপাইমুখের। এখন এই মৃদু প্রতিবাদ কোন কাজেই আসবেনা।
তাই তো তিনি লেখাটি শেষ করেছেন হতাশামূলক একটি প্রশ্ন রেখে।
এখন প্রশ্ন হলো, যারা আগেই এবং সময়মতো ভারতের বিভিন্ন অন্যায় আচরনের বিরুদ্ধে কথা বলতে চেয়েছে তাদেরকে এই দেশের ভিতর থেকেই বিরোধিতার সম্মুখিন হতে হয়েছে। এখন বোধোদয় হয়েছে অন্যদের। কিন্তু তাতে লাভ কি? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।