বহুদিন পূর্বে জাতীয় পত্রিকায় এক কলামে জনৈক লেখক তার কলামের এক অংশে যা লিখেছিলেন তাই এখানে তুলে ধরছি। একবার দেশে ভয়াবহ বন্যায় দেশের সকল গবাদি-পশু মারা যায়। বিদেশ থেকে গবাদি-পশু আমদানির প্রয়োজন দেখা দেয়। ঠিক কত সংখ্যক গবাদি-পশু বিদেশ হতে আনতে হবে, তা নির্ণয় করার জন্য তৃণমূল পর্য্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদে পত্র প্রেরণ করা হয়। এক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ঐ চিঠি পাবার পর একদিন তার বাড়ীর দাওয়ায় বসে গড়গড়ার নল টানছিলেন আর দুরে মাঠের দিকে তাকাচ্ছিলেন।
দেখতে পেলেন ঐ মাঠে একটি গরু ও একটি ছাগল ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাই দেখে চেয়ারম্যান সাহেব ভাবতে বসলেন যে একটি ২০০ ফুট বাই ২০০ ফুট মাঠে যদি দেড়খানা গবাদি পশু চড়ে বেড়ায়, তাহলে আমার ইউনিয়নে কত গবাদি পশু চড়ে বেড়াতে পারে, তা তো এই হিসাব থেকেই বের করে নেওয়া যেতে পারে আর তিনি ঐভাবেই হিসাব বের করে উপরে উত্তর লিখে পাঠালেন। আজকের তথা ২৩ এপ্রিল, ২০১০ ইং-এর দৈনিক প্রথম আলো-র উপ-সম্পাদকীয় কলামে জনাব আতাউর রহমান-এর বিদ্যুৎ সমাচার প্রবন্ধটি পড়তে গিয়ে সেই কথাই মনে পড়ে গেল। লেখক লিখছেন যে একটি বৈদ্যুতিক বাল্ব বদলাতে কয়জন বাংলাদেশী সাংসদের প্রয়োজন ? তাহলে উত্তর হবে ; সাতজন। একজন ওটা বদলাবেন এবং অপর ছয়জন একটা তথ্যানুসন্ধান কমিটি করবেন এবং বিদেশে কাজটা কিভাবে করা হয় সেটা সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করার জন্য একটি বৈদেশিক সফরের ব্যবস্থা করবেন'।
সুতরাং এই কথাটাই প্রমাণ করে যে আমরা যাদেরকে নির্বাচিত করে জাতীয় সংসদে পাঠিয়েছি, তাদের মেধা ঐ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের চাইতে বিন্দুমাত্রও উন্নততর নয়। তাই ত এরা সাংসদ হয়েই ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের কাজগুলিতে ভাগ বসিয়েছেন। এ ধরণের মাথা-মোটাদের নিয়ে জাতি যে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে, তার কোন লক্ষণ আছে কি ?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।