ফেসবুক, ই-মেইল ও ইয়াহু মেসেঞ্জারে আমাকে এড করতে পারেন mdarafat2008@yahoo.com এইবছরের অনেক কিছুই তাঁর কাছে নতুন- ব্যতিক্রমীও বটে। জীবনের এতটা পথ পেরিয়ে এসেও এমন বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হবে তা স্বপ্নেও ভাবেননি কখনো। তবে এই এক বছরে অনেক কিছুই যেন বদলে গেছে। এমনকি আয়নায় নিজের চেহারাটাও। আগে নিজের এতটা অসহায় চেহারা দেখার মত দুর্ভাগ্য হয়নি- এমনকি কঠিন সংগ্রামের দিনগুলোতেও নয়।
মধ্যবিত্ত পরিবারে সন্তানদের নিয়ে মোটামুটি দিন কেটেছে, তবে তাদের মানুষ করতে গিয়ে নিজেদের ভবিষ্যতকে আলাদা করে না ভাবাটাকেই যেন এখন জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল মনে হচ্ছে। এমন যে হবে তা কে জানত...........
কিন্তু এমন ভাবনা খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়না। কারণ এতটা স্বার্থপরতা এই মানুষগুলোকে স্পর্শ করতে পারেনা বলেই তাঁরা আজও হাসিমুখে সবকিছু মেনে যাচ্ছেন।
এই জায়গাটায় এক এক জনের গল্প এক এক রকম। গেটের বাইরের জীবনের সাথে এর কোন কিছুই মেলানো যায়না।
পৃথিবীতে কে সবচেয়ে একা? উত্তর খুব সহজ- যার আপনজন কেউ নেই। কিন্তু এই ছোট্ট প্রাচীর ঘেরা জায়গাটুকুতে এলে এই সূত্রটা উলটে যায়। এখানে যে মানুষগুলোর বসবাস, তাঁদের কাছে “আপনজন” শব্দটি কোন আবেগ-অনুভুতি বয়ে আনেনা। কারণ যাদের জন্য জীবনের এত ত্যাগ, এত সংগ্রাম তারা আসলে এটাই পছন্দ করে নিয়েছে। সুতরাং, সব কিছু থাকার পরেও দূরে থাকার চেয়ে নিঃস্ব হয়ে এখানে থাকা অনেক প্রশান্তির।
তবুও অন্যান্যদের সাথে এ নিয়ে কাউকেই দায়ী করেননা এই তিনি। কারণ তাঁর সমস্ত আবেগ, ভালোবাসা, শুভকামনা নিঃস্বার্থ। তাই এই জীবনকে অনেকটা “ভাগ্য” হিসেবেই মেনে নিয়েছেন। একে “সৌভাগ্য” কিংবা “দুর্ভাগ্য”- কোন সমীকরণে বসানোর আগ্রহও হয়না।
সবসময় যে প্রিয়মুখগুলোতে হাসি দেখতে চেয়েছিলেন, সেগুলোতে তো আজ হাসি লেগেই আছে, তাই নিজের পাওয়া- না পাওয়ার হিসেবে অনেক আগেই ভূলে গিয়েছেন।
এভাবেই কেটে যাচ্ছে জীবন। এখন আর জানালার গ্রীল থেকে বাইরের পৃথিবী দেখার ইচ্ছে হয়না। আবছা দৃষ্টিরসীমার মধ্যেই একটা স্কুল দেখা যায়। সেখানে রোজ সকালে ছোট ছোট বাচ্চারা আসে; সাথে থাকেন তাদের মায়েরা। সকালবেলার এই সময়টা খুব নস্টালজিক লাগে।
যেন সেই পুরনো দিনে ফেরে যেতে চায় মন- যখন তাঁর এই হাতেও শক্ত করে ধরে ছিল কেউ কেউ। আজ আর কারো হাত ধরে পথ চলতে হয়না তাদের। তাইতো এখন সেই আশ্রয়েরও আর প্রয়োজন নেই।
সকালে এখন আর বেশিক্ষণ জানালা দিয়ে বাইরে তাকানো হয়না। ভয় হয়, যদি দীর্ঘশ্বাস চলে আসে! কারণ সেটা হতে পারে অসন্তোসেরই বহিঃপ্রকাশ।
তার চেয়ে কম আলোতে একা একা শেষ নিঃশ্বাসের প্রহর গোণাই ভাল। কারণ আজকে তাঁর সকল স্বপ্নই পুরণ হয়েছে, প্রিয়মুখগুলো আজ অনেক ভাল আছে, এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কি হতে পারে? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।