"আমারে ফিরায়ে লহো অয়ি বসুন্ধরে, কোলের সন্তানে তব কোলের ভিতরে"-শ্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিয়ে বাড়ি। চারিদিকে হৈ হুল্লোর। সবার মাঝে কেমন যেন উৎসবের আমেজ। হাসি ঠাট্টা, রঙ তামাশা সবাইকে ছাপিয়ে যায়। কিশোর কিশোরী ছেলে মেয়েদের জন্য বিয়ে বাড়িটা সবথেকে মজার স্থান।
আমারও ভালো লাগে। অন্তত সবার মুখে হাসি দেখা যায়। আসলে দেখতে দেখতে কখন যে আমার বিয়ের বয়স হয়ে গেছে বুঝতেই পারিনি। সরকারি হিসেবে ছেলেদের বিয়ে করার নূন্যতম বয়স একুশ বছর, আমার চলছে সাড়ে চব্বিশ। পড়াশোনা শেষ করে মাত্র একটা চাকরীতে ঢুকলাম।
ঠিক চাকরী না, একটা বেসরকারী ব্যান্কে ইন্টার্নীতে আছি। আমি নিজেই বুঝতে পারি আমার বিয়ের বয়স হয়েছে, কারন এখন মেয়েদের সাথে প্রেম প্রেম খেলে আগের মত মজা পাই না। আজ গায়ে হলুদ। কিন্তু ভীষন আক্ষেপের বিষয় হল বিয়েটা আমার না। আমার মেঝ মামার বড় ছেলের বিয়ে।
একদিন আগে থেকেই আমরা সবাই মেঝ মামার বাড়িতে। বিশাল তিনতলা বাড়ি, ঢাকা শহরে আমার মামার বাড়িটিই যৌথ পরিবারের জন্য বেস্ট বলে আমার কাছে মনে হয়। আর চার মামার একমাত্র বোনের একমাত্র ছেলে হওয়াতে আমার কদর অন্যরকম। বিয়ের বাজেটের একটা অংশ আমার হাতে দেয়া হয়েছে ডেকোরেশন জন্য। নিজেকে খুব দ্বায়িত্বশীল ছেলে বলবো না।
কারন? একটু পরেই জানবেন।
সকাল থেকেই মন মেজাজ একশো তিন ডিগ্রি গরম। এদিকে এবার বেশ গরমও পড়েছে। আবহাওয়া অফিসে এসি চলে তাই তারা ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে, আমার মনে হচ্ছে কম হলেও ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হবে। আমার মেজাজ গরম হওয়ার অবশ্য অন্য একটি কারন আছে।
এত আশা নিয়ে বিয়ে বাড়িতে এলাম, অথচ এখনো কোন সুন্দরী মেয়ে দেখলাম না ! এটা কেমন কথা?
বিকেল হয়ে এসেছে। মন খারাপ নিয়েই কাজিনদের সাথে আড্ডা দিতে লাগলাম বাড়ির ছাদে। স্টেজ সাজাতে হবে। বিয়ে বাড়িতে যে স্টেজ সাজায় তার দিকে সবার একটা এক্সট্রা নজর থাকে, বিশেষ করে মেয়েদের। মেয়েরা দ্বায়িত্বশীল ছেলে ভালোবাসে, কিন্তু স্টেজ সাজানো যে খুব একটা দ্বায়িত্বের কাজ সেইটা আমার কাছে মনে হয় না।
আড্ডায় প্রান পাচ্ছি না, তাই ছাদের একপাশে রেলিং এর কাছে যেয়ে উদাস প্রেমিকের ভঙ্গীতে দাড়ালাম। নীচে চোখ পড়তেই আমার চোখ ছানাবরা। এ কি দেখলাম আমি! এও কি সম্ভব! একটা মেয়ে এত্ত সুন্দর হতে পারে? আহা! কি সুন্দর চোখ, সুইটেবাল নাক, মিষ্টি ঠোঁট, রেশমি চুল, কি সুন্দর ফিগার, মেয়েতো নয় যেন টইটম্বুর ভরা কলসি! কেয়ামতের আগে এই শেষ সময়ে এত সুন্দর মেয়ে খোদা কিভাবে বানালো? কিভাবে ? পুরাই টাস্কি খাইয়া গেলাম।
রিনিঝিনি সূর তুলে ভারা কলসি আমাদের বিয়ে বাড়িতেই আসছে। নিশ্চই বিয়েতে ইনভাইটেড।
আমার শীতের ঝরা পাতা যেন হঠাৎ করেই দুইমাস এগিয়ে বসন্ত ছুঁয়ে দিলো। প্রান ফিরে পেলাম। আমাকে অবাক করে দিয়ে ভরা কলসি নীচ থেকে আমার দিকে তাকালো। আমার চারিদিকে হিন্দি সিনেমার মত ঝরো বাতাস আর গোলাপের পাপড়ি উড়ে যেতে লাগলো। ব্যাকগ্রাউন্ডে মিউজিক, " জাব সে তেরে ন্যায়না মেরে ন্যানোসে লাগে রে...."
এরই মধ্যে কখন যে আমার এক চামবাজ মামাত ভাই এসে আমার পাশে দাড়িয়েছে খেয়াল করিনি।
বদমাস আমাকে খোঁচা দিয়ে বললো, " ভাই, মাইয়াটা জাস্তি, তাই না?" নাহ, এইটা সহ্য করা যায় না। আমি মামাত ভাইকে স্ট্রেট বললাম, " দেখ আমার নজর পরছে এই মেয়ের উপরে, সুতরাং এইটা তোর ভাবি। সাবধান। " এইবার হারামি বাংলা সিনেমার ভিলেনের হাসি দিয়ে বললো, " এই মেয়ে আমার কাজিন হয়। "
কিছুক্ষন পরে ভরা কলসি ছাদে এসে হাজির, আর আমি হা করে তাকিয়ে আছি।
আমার হার্টবিট বেড়ে গেছে আর ব্যাকগ্রাউন্ডে মিউজিক বাজতেছে," এক লারকি কো দেখা তো এইসা লাগা......। " আমি অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম যে জেরিন, মৌমি, তুশি কিংবা অবনীর সাথে প্রেম করার সময়তো আমার এমন ফিলিংস হয় নাই! কিন্তু এই মেয়েকে দেখেই আমার চারপাশে কেমন অদৃশ্য রোমান্টিক গান বাজতে থাকে। তাহলে কি আমি সত্যি প্রেমে পরে গেলাম নাকি? অ্যা বার্নিং কোশ্চেন!
প্রেমের ব্যাপারে আমার ভাগ্য বরাবরই ভালো। যদিও একবার প্রিয়ার সাথে ডেটিং এ যেয়ে রাত্রির হাতে ধরা খেয়েছি। সেদিনের দুঃসহ স্মৃতির কথা না বলাই ভালো।
যাইহোক, সব চেয়ার ব্লকড, শুধু আমার পাশে একটা চেয়ার খালি। এইবার মেয়েকে আমার পাশে এসে বসতেই হবে। আহা কি সুখ। কিন্তু বিধি বাম, সুখ আমার কপালে সইলো না। মেয়ে ছোট এক ভাগনীকে আমার পাশের চেয়ারে পাঠিয়ে কাজিন মিলির সাথে বসলো।
আমি আবার ডোন্ট মাইন্ড কিন্তু যখন দেখলাম আমার বদমাস চামবাজ মামাত ভাই আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে, তখন একটু মাইন্ড খাইলাম।
পরিচয় পর্বের শুরুতেই জানলাম ভরা কলসির নাম নুপূর। নাম শুনতেই কানে কেমন যেন ঝন ঝন আওয়াজ আসছিল। মেয়ের পায়ের দিকে তাকালাম। দেখি একপায়ে নুপূর পরেছে মানে পায়েল।
এবার মিলি আমাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিল। যখন আমাকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হলো তখন মেয়ে ফিক করে হেসে বললো," ওহ! ইনি তাহলে তোমার সেই প্লেবয় ফুপাত ভাই!"
শুরুতেই ধাক্কা, যেন মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পরলো। উপরের দিকে তাকিয়ে দেখলাম আকাশ ঠিক তার জায়গাতেই আছে, এমনকি আমার কাজিন আকাশ সেও তার চেয়ারে বহাল তবিয়তে বসে আছে। ছোট ছোট কাজিনগুলার সামনে কিছু বলতেও পারলাম না। মনের ক্ষোভ মনে চেপে প্রতিজ্ঞা করলাম, এই মেয়েকেই আমি বিয়ে করবো।
একটা সূত্র আমি জানি। সূত্রটা হলো, বিয়ে বাড়িতে আসলে মেয়েদের কি যেন একটা হয়ে যায়। তারা চোখে সবকিছু রংঙিন দেখে। কোন মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফালানোর এইটাই মোক্ষম সময়। বিয়ে বাড়িতে তারা সব থেকে স্মার্ট ছেলেটির দিকে নজর দেয়।
আর নিঃসন্দেহে আমি চরম মাত্রার স্মার্ট। সুতরাং এই মেয়ে যত বড়ই পটকা হউকনা কেন, তাকে দূর্বল হতেই হবে। যদিও শুরুতেই এই সূত্রকে এই মেয়ে অমান্য করেছে, তারপরেও নেক্সট স্টেপের অপেক্ষায় রইলাম।
সন্ধ্যা হয়ে এসেছে। এবার ছাদে স্টেজ সাজানোর কাজ শুরু করলাম।
একটা টুলের উপরে দাড়িয়ে স্কচ দিয়ে ফুল সাটায় ব্যাস্ত আমি। মনে মনে ভাবছিলাম এই হরিনীকে কিভাবে বধ করা যায়। ততক্ষনে কল্পনায় আমি ইংরেজ শিকারী জিম করবেট হয়ে মায়া হরিণ এর পেছনে ছুটছি, যে কোন মূল্যেই এই হরিনী আমার বধ করতেই হবে। এমনি সময় একটা মিষ্টি ঘ্রান আমার সম্ভিত ফিরালো। অবাক হয়ে দেখলাম ভরা কলসি কাছে এসে দাড়িয়েছে।
দুষ্ট দৃষ্টিতে দুইবার নিচের দিকে তাকিয়ে ফেললাম। না তাকিয়ে উপায় নেই, আমি যে পুরুষ। জন্মের পরে মনে হয় শয়তান আমাকে দেখে লজ্জায় স্যালুট করেছিল, নয়ত আমার মাথায় দুষ্ট সব বুদ্ধি কিভাবে আসে? আমি ইচ্ছে করে মেয়ের উপরে যেয়ে পরার জন্য টুল থেকে পিছলে পরলাম। মেয়ে তিন পা পিছিয়ে গেল আর আমি যেয়ে ছাদের ফ্লোরে ধপাশ করে পরে গেলাম। ইবলিশ ছেলেপেলে আমার এই হাল দেখে পারলে ইয়াহুর [ =)) ] এই ইমটার মত হাসিতে গড়াগরি খায়।
কি লজ্জা কি লজ্জা, অবশ্য লজ্জা বলে শব্দটা আমার মাঝে কখনো ছিলনা। দ্বিতীয় দফায় এই মেয়ের কাছে পরাস্থ হয়ে উঠে দাড়ালাম।
মেয়ে আমাকে সরাসরি বললো," ভাইয়া, আমাদের খোপায় দিতে যে ফুলগুল এনেছিলেন সেইগুলো মিলি আপু দিতে বলেছে। " এবার মেয়েকে আমি বুঝাতে লাগলাম যে, ভাইয়া শব্দটা সবার মুখে মানায় না, তুমি এত্ত সুইট একটা মেয়ে। তুমি আমাকে ভাইয়া বললে কেমন দেখায় না? মেয়ে এই কথা শুনে বলে," তাহলে কি আন্কেল বলবো?" আমার বুঝার বাকি ছিল না এই মেয়ে কতখানি সরেস মান ( "ন" এর জায়গায় "ল" হবে)।
শুধু এতটুকই বললাম যে, ভাইয়াই ঠিক আছে, দুঃসম্পর্কের ভাইয়ের সাথে তো সম্পর্ক হতে কোন বাধা নেই। মেয়ে এমন ভাব করে চলে গেলো যে আমার কথা সে কানেই তোলে নাই।
বাংলাদেশ টেলিভিশনের ভাষায়, যথাযথ উৎসব আর ভাব গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে গায়ে হলুদের পর্ব শেষ হলো। উৎসব আর ভাবগাম্ভীর্য এক রেখায় কিভাবে চলে তা আমি এখনো বুঝতে পারলাম না, শুধু বুঝি বিটিভি যা বলে তাই সত্য আর সত্য সদা সুন্দর। যাইহোক, রাতে এবার শুরু হলো গানের কলি খেলা।
বাড়ির ছেলে বুড়ো সবার অংশগ্রহনে দারুন জমজমাট। যদিও এবার ভরা কলসি আমার পাশে বসেছে কিন্তু সমস্যা হলো দুইজন দুই দলের আর স্বভাবত কারনেই আমাদের ছেলেদের দল পরাজিত ঘোষিত।
রাতে দেখা গেলো এক অদ্ভুত সংকট যা প্রতিটি বিয়ে বাড়িতেই দেখা যায়। প্রয়োজনের তুলনায় কাঙ্খিত সংখ্যক বালিশ নেই। কি আর করা, বালিশের সন্ধানে খোঁজ -দি সার্চ শুরু করলাম।
অবশেষে বালিশ পেয়ে গেলাম কিন্তু বিপত্ত হলো বালিশ আকড়ে বসে আছে ডেন্জারাস নাগীন। আমি এইদিকে বালিশ পাই না আর আমার ভরা কলসির দুইটা বালিশ লাগে, সে নাকি কিছু না ধরে ঘুমাতে পারে না। আকুতি মিনতি করে লাভ হবে না বুঝলাম। তাই সরাসরি তাকে বলেই ফেললাম, " তুমি তো কিছু না ধরে ঘুমাতে পারো না, আর আমার মাথায় দেয়ার বালিশ নেই। এক কাজ করা যায় , তুমি আমাকে ধরে ঘুমাও তাইলে সব সমস্যার সমাধান।
" এইবার নূপুর লজ্জা পেয়ে গেছে। বেচারি অবলা চুপচাপ বালিশ হস্তান্তর করে দিলো আমার হাতে। আমিও এত সহজে ছারার পাত্র না,বালিশ হাতে নিয়ে বললাম," হে খোদা, তুমি কেন আমাকে এই বালিশ বানিয়ে পাঠাইলা না? অন্তত রমনীদের সাথে রাতটা ভালোই কাটতো। "
রাতটা ভালোই কাটলো। পরের দিন বিয়ে।
দিনটা কাটলো নূপুরের সাথে দুষ্টামি করেই। সন্ধ্যায় যখন বাসর ঘর সাজাচ্ছিলাম তখন যেন বাচ্চা পোলাপান ভির না করে তাই আমি , মিলি আর নূপুর দড়জা আটকে সাজাতে শুরু করলাম। মাঝে কিছুটা সময় সিনেমাটিক হয়ে গেলো। আমাকে আর নূপুর কে ঘরে রেখে মিলি আরও কিছু ফুল আনতে চলে গেলো। এইবার আমাকে কে পায়।
নূপুরের দিকে দুষ্ট হাসি দিয়ে বললাম, " আচ্ছা নূপুর, আমাকে তোমার কেমন লাগে?" নূপুর হেসে বলে " আপনাকে দেখলে আমার কেমন যেন ছেচরা ছেচরা লাগে। " মুডটাই অফ হয়ে গেলো। এই মেয়েকে নিয়ে বিরাট মুশকিল। কথার কোন লাগাম নাই। এইবার আমি অদ্ভুত ভিলেন মার্কা হাসি দিয়ে বললাম," আমাদের সমাজের একটা রীতি আছে।
কোন ছেলে যদি নিজেকে সামলাতে না পেরে কোন মেয়ের সাথে ইয়ে করে ফেলে তাহলে নাকি তাদের ধরে বিয়ে দিয়ে দেয়া হয়। আমি ভাবতেছি চান্স নেব কি না। সব কিছুইতো রেডি আছে। তুমি রাজি না থাকলেও সমস্যা নাই " আমার ভাবসাব দেখে বেচারি চুপসে গেছে। আমি একপা আগাই আর ও একপা পিছায়।
এইবার মুচকি হেসে বললাম, " বিশ্বাস করতে পারো, এমন কিছু হবে না। আর সত্যিই তোমার প্রেমে পরে গেছি। আসলে কখনো ভাবিনি আমি এতটা সিরিয়াস হয়ে যাব। এখন ডিসিশন তোমার উপরে। প্রেম দিবা কি না বলো?" সেদিন প্রেম না পাইলেও জীবনে প্রথম কোন মেয়ের হাতে থাপ্পর খাইলাম।
এরই মধ্যে মিলি এসে হাজির। ভাগ্যিস দেখতে পায়নি।
রাতে জানতে পারলাম আমার দাদা আর বেঁচে নেই। সুতরাং বিয়ে বাড়ি ছেরে যেতে হলো।
প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেছে।
সারাদিন অফিসের কাজ করে সর্ষে ফুল চোখে দেখি আমি। নূপুরের কথাও আমি প্রায় ভুলে গেলাম। মাঝে একবার বিয়ের ভিডিওতে দেখেছিলাম ওকে। সেই থাপ্পরের কথা মনে হওয়াতে বেশিক্ষন দেখার সাহস পাইনি।
এরপর হঠাৎ করেই একদিন নূপুর আমাকে ফোন করলো।
ইমিডিয়েটলি দেখা করতে চায়। আমার মাঝে পুরনো প্রেম আবার মাথাচারা দিয়ে উঠল। ব্যাকগ্রাউন্ডে আবার মিউজিক বাজতে শুর করলো, " হাওয়া মে উত্তা চাহে...... "
তরিঘরি করে বেরিয়ে পরলাম। আগে থেকেই ও এসে বসে আছে। আমাকে দেখে কড়া দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে, " সমস্যা কি আপনার? এ কয় দিনে যোগাযোগ করেন নাই কেন? ফাজলামির একটা সীমারেখা থাকা উচিৎ।
" কিছু বলার ভাষা খুঁজে পেলাম না, শুধু বললাম, " আসলে আরেকটা থাপ্পর খাওয়ার ইচ্ছা ছিলনা, তাই...। "
সেদিন ও আমার হাতটা নিজে থেকেই টেনে নিয়ে ওর গালে ছুঁইয়ে দিয়েছিল। আর আমিও সেদিন বুঝতে পেরেছিলাম বাকি জীবন আমাকে এই মেয়ের চড় থাপ্পর খেয়ে যেতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।