আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমাদের বাংলার উত্তরাধীকার।

প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন-বেগম খালেদা জিয়া তার সন্তানদের মানুষ করতে পারেননি। করেছেন কেবল চোর, সন্ত্রাসী আর লুটপাটকারী। আজ বড় সত্য আমার সামনে তাই না আলোচনা করে পারছিনা। তঙ্কা হি কেবলম। পৃথিবীত টাকাই সব।

টাকা না থাকলে আমাদের মুল্য নেই এই সমাজে, না আছে স্ত্রীর কাছে, না আছে সন্তানদের কাছে, এমনকি মাঝে মাঝে পিতা মাতার কাছেও বকা শুনতে হয়। এইত কিছুদিন আগে আমাদের গ্রামের মালেশিয়া ফেরত তরুন যুবকটি গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করল কেবল বাবার বকা খেয়ে। ক্ষুদার রাজ্যে দুনিয়া অন্ধকার। খাদ্যের অভাবে মানুষের বিবেক বুদ্ধি লোপ পায়। বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেল খাদ্যের গুরুত্ব সম্পকে বলেছেন-' I would rather take care of the stomachs of the living than the glory of the departed in the form of monuments.'' অর্থাৎ মৃতুর পর স্মৃতিসৌধ হিসেবে মর্যাদা লাভের চেয়ে বেচেঁ থাকার জন্য উদরের চাহিদা পুরনে যত্নবান হওয়াকে শ্রেয়তর মনে করি।

'' আজ আমরা এমন একটি সমাজে বাস করছি যেখানে ধনী-গরীবের ভেদাভেদ প্রবল। কেহ অতিরিক্ত টাকার জন্য অমানুষ হয়ে যায়, মদ খায, জুয়া খেলে, ক্লাবে যায়, সখের প্রানি পোষে। আবার কেহ বস্তিতে, দরিদ্র পরিবারে জন্ম নিয়ে অভাবের ভিতর বেড়ে উঠে তারপর এক সময় টাকার অভাবে ছিনতাই করে, গাজা গায়, নেশা করে কেবল জীবনটাকে সকল কষ্ট যন্ত্রনা থেকে কিছুক্ষনের জন্য ভুলিয়ে রাখে, তারপর এক সময় ধীরে ধীরে বখাটে, সন্ত্রাসী খাতায় নাম তালিকাভুক্ত হয়ে যায়। এভাবেই আমাদের সমাজে সন্ত্রাসী, হাইজাকার, ছিনতাইকারী, বখাটে সৃষ্টি হয়। যাদের জীবন বড়ই কষ্টকর।

তারা জন্ম থেকেই অধিকার বঞ্চিত। পৃথিবীতে কোন শিশুই বখাটে, হাইজাকার, সন্ত্রাসী হয়ে জন্ম নেয় না। পৃথিবীতে তারা ভাগ্য বঞ্চিত হয়ে জন্ম নেয়। এই সব শিশুরা কোনদিন উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পায়না, অভাব, দু:খ, বেদনার ভিতর বেড়ে উঠে। খাদ্য নিরাপত্তাত দুরের কথা, তিনবেলা ভাল খাবারও তাদের ভাগ্যে জুটেনা।

একটি দেশের নাগরিক হিসাবে তাদের মোলিক অধিকার আছে আর আমাদের সংবিধান ১৫,১৭ ও ১৯ অনুযায়ী সরকার সকল না্গরিকের খাদ্য, বস্ত, শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থান, কর্মসংস্থান ও জীবনের নিরাপত্তার জন্য দায়বদ্ধ। অথচ আমরা আজ আমাদের দায়িত্ব পালন করতে পারিনা। তাইত তারা আমাদের অবহেলা, অনাদরে আর আমাদের দায়িত্বহীনতার কারনে সন্ত্রাসী, বখাটে, হাইজাকার হয়ে যায়। কিন্ত ধনী পিতামাতার পরিবারে জন্ম নেয়া শিশুটি পর্যাপ্ত খাবার, বস্ত, শিক্ষা, চিকিৎসা, কর্মসংস্থান ও জীবনের নিরাপত্তার ভিতর বেড়ে উঠে। তারপরও আমরা লক্ষ করি আমাদের সমাজে প্রতিটি উচ্চ স্থানে বিশেষ করে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে যেখানে ছেলেমেয়েরা ধর্ম, মানবতা, দেশপ্রেম, সাহিত্য, ইতিহাস সর্ম্পকে শিক্ষা গ্রহন করে সেখানেও আমাদের সন্তানেরা সন্ত্রাসী হচ্ছে, বখাটে হচ্ছে, আবার মদের বোতলও তাদের হাতে দেখা যায়্।

কিন্ত কেন ? এরাত দারিদ্রের ঘরে অভাব অনটনের মধ্যে জন্ম নেয়নি। তারপরও আজকে আমাদের সন্তানদের এই অধপতন যা আজ বড়ই দু:খজনক ! কিন্ত কেন ? কারা এর জন্য দায়ী ? নেপোলিয়ন বলেছিলেন-''তুমি আমাকে একটি ভাল মা দাও। আমি তোমাকে একটি ভাল জাতি দিব। '' আজ কি আমাদের মনে হবেনা কেন আজও বাংলায় আমরা ভাল জাতি আশা করতে পারছিনা ? কেন আমাদের সন্তানেরা আজ সন্ত্রাসী, লুটেরা, হাইজাকার, বখাটে, টেন্ডারবাজ হয়ে যাচ্ছে ? কেন আমরা আমাদের সন্তানদের মানুষ করতে পারছি না ? মনে পড়ছে-আমাদের এক মেডাম বলছিলেন-ঐ রুমে সবগুলিই চোর। আসলে কম টাকা বেতন তাই কিছু ফাইল এদিক ওদিক করে কিছু আয় করে জীবন যাত্রা নির্বাহ করা মাত্র।

আজ দরিদ্র, অতি নিম্ন আয়ের মানুষগুলি অর্থের অভাবে সন্ত্রাসী, চোরের খাতায় নাম লিখলেও ধনী শ্রেণীর সন্তানেরা যখন নেশাখোর, টেন্ডারবাজ, সন্ত্রাসী হযে যায় তা আমরা মেনে নিতে পারিনা। কিন্ত কেন হয় ? তারা জন্ম নিয়েছিল ঠিকই পবিত্র হয়ে। তারপর আমাদের চারিপাশের পারিপার্শ্বিকতা দেখে দেখে বড় হয় তারপর একদিন ভুল পথে পা বাড়ায়। যা আমাদের সত্যিকারের বাস্তবতা। এর জন্য দায়ী কে ? এর জন্য দায়ী আমাদের সন্তানেরা নয়।

এর জন্য দায়ী আমাদের সমাজ ব্যবস্থা। আমাদের ধনী-গরীবের ব্যবধান। আমাদের নষ্ট রাজনীতি। আমাদের দলীয়করন। আমাদের অভিভাবকেরা।

আমরা পারছিনা আমাদের সন্তানদের সঠিকভাবে মানুষ করতে। আর তার কারন আমারা আজ সত্যিকার বাস্তবতাকে ভুলে গেছি। আল্লাহ, কুরআনকে ভুলে গেছি। আমাদের অতিরিক্ত লোভ লালসা, পাওযার বাসনা। স্থায়ীত্বের লড়াই।

আর এহ পুজিবাদী সমাজ ব্যবস্থা। যা মানুষকে অন্ধ করে দেয়। আজ আমাদের মহান নেতাদের সন্তানরা্ই আমাদের উত্তরাধিকারী। ইতিহাস তাই বলে। কিন্ত আমি তা মানিনা কেবল গণতন্ত্রকামী একজন মানুষ হিসেবে।

আমার কাছে যোগ্যতা্ই তার বড় পরিচয়। তাইত সারা জীবন বাংলার মানুষ এই আগ্রাসী রুলসের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে। ধনী-গরীবের ব্যবধান হৃাস করার চেষ্টা করেছ। তাইত মাওলানা ভাষানী বাংলার জমিদারী প্রথার বিলুপ্ত ঘটিযেছিলেন। যারা বাংলায় ধনী-গরীবের বৈষ্যম্য সৃষ্টি করে রেখেছিল।

যারা জনগনের উপর তাদের আগ্রাসী রুলস চালিয়েছিল। আর এহ গনতন্ত্রের জন্য সারাজীবন বাংলার মানুষ লড়াই করে অবশেষে ১৯৭১ সনে স্বাধীনতার মধ্য দিয়ে সেই স্বাধীনতা , গণতন্ত্র অর্জিত হয়েছিল যা কাগজে কলমে ঠিকই ছিল কিন্ত বাস্তবে তা প্রতিফলিত হয়নি তাইত আমাদের ইতিহাস কথা কয়, যা বড় নিষ্ঠুর। তবে আমাদের কারো আর্দশই খারাপ ছিলনা, আর তারা ক্ষনজন্মা ও একবারই পৃথিবীতে সৃষ্টি হয়েছিল, তারা চলে গেছে, কেবল তাদের আর্দশ আমাদের মাঝে রেখে গেছেন। এটাই সত্য। কিন্ত আজ আমরা তাদের ভাল আদর্শগুলি আপগ্রেড করছিনা।

যার জন্য আজ তারা বিতর্কিত হচ্ছে, তবে তার জন্য তারা কেহই দায়ী নয় । দায়ী আমাদের নিয়তী ! আপনারা সকলেই জানেন ভাল উত্তরসুরী না হলে সে দল পৃথিবীতে চিরস্থায়ী হয়না। যেমন মাওলানা ভাষানী ছিলেন একজন মহান নেতা, যিনি কেবল বাংলার গণ মানুষের মুক্তি চেয়েছিলেন কিন্ত তার কোন শক্তিশালী উত্তরসুরী না থাকায় তিনি বাংলার সামনে আসতে পারেন নি কারন তাকে ধরে রাখার মত কোন উত্তরসুরী ছিলনা। সকলেই সেদিন লোভের বশবর্তী হয়ে অন্য দলে চলে গিয়েছিল। যা বড় সত্য।

তারপরও আদর্শ কোনদিন মরেনা। তা জেগে থাকে মানুষের অন্তরে আর একটি সময় তা জেগে উঠে। এটাও সত্য। তাই এখন থেকে বাংলায় সকলকেই নিজেদের সন্তানদের লেখাপড়ার পাশাপাশি স্বদেশ প্রেমের শিক্ষা দিতে হবে। মানবতার শিক্ষা দিতে হবে যাতে তারা ছোটবেলা হতেই স্বদেশপ্রেমে উজ্জিবিত হয়ে উঠে।

তারা যেন লোভী, আভিজাত্য ও প্রতিপত্তিতে বিশ্বাসী, স্বৈরাচারী না হয়। সকল মানুষের ভিতরই দুটি মা্নুষ কাজ করে। কিন্ত আমরা আজ ভালটিকে আপগ্রেড করতে পারছি না্। তাই সকলকে স্বদেশ প্রেমে উজ্জিবিত হয়ে দেশ সেবায় এগিয়ে আসতে হবে। কারন বর্তমান বাংলাদেশ ও বাংলার মানুষের জীবনযাত্রার মান খুব ক্ষীণ।

আমাদের মাথা ঠিকই মোটা আছে কিন্ত রুটস দুর্বল। যে কোন সময় তা ভেঙ্গে পড়বে। পড়বে বললে ভুল হবে, ভেঙ্গে গেছে। তাই সকলের মিলিত চেষ্টায় আজ রুগ্ন দেশটিকে সত্যিকারভাবে শক্তিশালী একটি সোনার বাংলায় পরিনত করতে হবে। নীজেদের থেকে দেশকে বেশি শক্তিশালী করতে হবে।

কেবল মুখের কথা্য় কাজ হবে না। আমি দীর্ঘ বছর ধরে আমাদের রাজনীতি দেখতে দেখতে আজ একটি সত্যে উপনিত হয়েছি যে আমাদের রাজনীতিবিদরা তাদের মহান নেতাদের নিয়ে তর্ক বিতর্ক করে বা তাদের উত্তরসুরী হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্টিত করার জন্য দ্বন্ধ-সংঘাতে অবর্তীণ হচ্ছে। অথচ আমরা কি একবারও ভাবতে চেষ্টা করছি একজন নেতা হতে হলে তাকে কত আত্মত্যাগ করতে হয় ? একজন নেতা একদিনে সৃষ্টি হয়না। আজ বাংলাদেশে ভুরি ভুরি রাজনীতিবিদ কিন্ত নেতা খুবই কম। তাই সত্যিকার অর্থে আমাদের মহাপুরুষদের আদর্শ বাংলায় ধরে রাখতে হলে এই দন্ধ সংঘাত বন্ধ করে তাদের সত্যিকার আদর্শ বাংলায় প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

আজ তাদের মহান নেতাদের আদর্শকে বাংলায় শক্ত করে ধরে রাখার অর্থহ হচ্ছে তাদের আদর্শ ফলো করা। তারা বাংলা ও বাংলার মানুষের যে দায়িত্ব দিয়ে গেছেন তার জন্য কাজ করা। আজ আমরা একটি নোংরা রাজনীতিতে আবদ্ধ যা আজ কেবল ''তলাহীন ঝুড়িই নয়' 'অজ্ঞ জাতি' হিসেবে সারা বিশ্বের কাছে পরিচিত করেছে। যা আজ সত্যিই দু:খজনক। সত্যিকার বাস্তবতাকে অনুধাবন করে আজ সকলে আপনজনের মত দেশটিকে লালন পালন করতে হবে আর তখনই হয়ত আমরা কিছুটা স্বাধীনতা, অধিকার, ন্যয় বিচার ফিরে পাব।

আদর্শ যার যার ভিতরে লালন করবে আর দেশের স্বার্থে সকল মানবতাবা্দী, দেশপ্রেমিক দক্ষ, বিবেকবান, জ্ঞানীদের নিয়ে সুন্দর বিচক্ষণ শক্তিশালী একটি পার্লামেন্ট গঠন হবে যেখানে কেবল জনগনের কল্যানমুলক কাজ হবে। কোন ব্যক্তির পুজা নয়। আমি জানি যারা সত্যিকার দেশপ্রেমিক দেশ ও জাতির কথা ভাবেন তারা নিশ্চয় এটা চাইবেন। কারন আমি অনেক দেখে শুনে বুঝেই বাংলাদেশ সচিবালয় ত্যাগ করেছি। কারন সরকারের এই আসার যাবার জন্য কর্মকর্তা/কর্মচারীরাও দুর্নীতি পরায়ন হয়ে পড়ে।

তাদের নিয়ে রাজনীতিবিদরা যখন অনার আর ডিসঅনারের খেলা করে তখন তারা সেহ দুর্বলতা গ্রহন করে। আর তখন অপর পক্ষ সময়ের জন্য অপেক্ষা করে, যারা দেশের উন্নতিকে বাধাগ্রস্ত করে। কেবল এটাই নয়। যাবার সাথে সাথে জাতীয় নেতাদের ছবি খুলে স্টোরে ফেলা দেয়া হয়। আবার নতুন নেতাদের ছবি উঠে।

এহ ছবি করার টাকা কোথায় ? অবসই জনগনের। এক দল ইতিহাস সৃষ্টি করে অপর দল মুঝে ফেলে। এইভাবে দেশ কেবল ধ্বংষের দিকে চলে যাচ্ছে। গভ: রুটস ভেঙ্গে যাচ্ছে। কেবল এহ একটি মাত্র কারনে কোন রাজনৈতিক দলকে বাহিরে রাখা যাবেনা।

তারা সকলেই বাংলাদেশ সচিবালয়ে থাকবে। আর জাতীয় নেতাদের (দুজন) ছাড়া আর কারো ছবি রাখা যাবে না। আর বিরোধী দল হবে কেবল জনগণ যারা শেয়ার বাজারের চিৎকার করছে। শক্তিশালী গণতন্ত্রকামী,জবাবদিহিমুলক মানুষ সৃষ্টি হবে যারা হবে বাংলার বিরোধী দল যারা এহ রাজনৈতিক দলের দিক নির্দেশক হিসেবে কাজ করবে। আজ যদি বিএনপি বিরোধী দল হয় তবে শেয়া্র বাজারের এহ সব অসহায় মানুষ কোন পক্ষ ? দরিদ্র জনগণ আজ বড়ই অসহায় ! (অব্যাহত) -কৃষা্ন কন্যা রাহিলা, ১৫ নভেম্বর, ২০১১ (এডিট-১৬ নভেম্বর, রাত ১০.২৫ মি:  ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.