সপ্তাহের তৃতীয় দিনেও ব্যাপক দরপতন হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে। সূচক কমেছে ২০০ পয়েন্টের বেশি। টানা দরপতনের প্রতিবাদে মতিঝিলে বিক্ষোভ করেছে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা।
মঙ্গলবার লেনদেনের শুরুতে সূচক কিছুটা উঠলেও আধ ঘণ্টার মধ্যেই পতন শুরু হয়। লেনদেন শেষে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাধারণ সূচক ২২৮ দশমিক ২০ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৬৪৯ দশমিক ৩৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
এ সময় পর্যন্ত লেনদেন হওয়া শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ৮টির, কমেছে ২৩৯টির। বদলায়নি ১টির দাম। হাতবদল হয়েছে ২৫২ কোটি ৮৬ লাখ টাকার শেয়ার।
টানা দরপতনের প্রতিবাদে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে শাপলা চত্বর পর্যন্ত বিক্ষোভ করছে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। তারা রাস্তায় অবস্থান নিলে বেলা ১২ টার দিকে ডিএসই-এর সামনের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বিনিয়োগকারীরা ডিএসই থেকে শাপলা চত্বর পর্যন্ত মিছিল করে। পুলিশের বাধার মুখে তারা সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন পর্যন্ত যেতে পারেনি।
দুপুর ১ টার দিকে বিনিয়োগকারীরা শাপলা চত্বরের পাশে বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনের সামনে রাস্তায় বসে পড়ে। জীবন বীমা ভবনের সামনের রাস্তায় কাগজ ও কাঠের টুকরো জড়ো করে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা।
বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ সাংগঠনিক সম্পাদক এ. কে. এম. শাহাদাত উল্লাহ ফিরোজ জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন সময় নেওয়া নীতিগুলো পুঁজিবাজারের বিরুদ্ধে গেছে।
আর এর জন্য দায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। তাই তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে অবস্থান নিয়েছেন।
ঈদের ছুটির পর পুঁজিবাজারে চাঙ্গাভাব থাকবে-বিনিয়োগকারীরা এমন আশা করলেও গত দুই দিনের লেনদেনে ব্যাপক দরপতন হয়েছে।
সোমবার ডিএসই সাধারণ সূচক ৫ হাজারের নীচে নেমে যায়। লেনদেন শেষে ডিএসই সাধারণ সূচক ১৬৪ দশমিক ৭১ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৮৭৭ দশমিক ৫৩ পয়েন্টে দাঁড়ায়।
ঈদের ছুটির পর পুঁজিবাজারে চাঙ্গাভাব থাকবে-বিনিয়োগকারীরা এমন আশা করলেও রোববার সপ্তাহের প্রথম দিনও ব্যাপক দরপতন হয়েছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে।
নয় দিন ছুটির পর প্রথম দিনের লেনদেনে রোববার দেশের ডিএসই সাধারণ সূচক ১৬৬ পয়েন্ট কমে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।