আজ ভাবছি-মামুনের কথাটি হযত ঠিক-আপনি একটি ছবি করুন অ্ন্তত ৫০০ জন মানুষ আপনাকে চিনবে। মনে পড়ছে আমার ফেসবুক বন্ধ আহমেদ কামাল যিনি আমাকে অনেক অনুরোধ করেছিরেন একটি ডকুমেন্টারী ফিল্ম তেরী করার জন্য।কিন্ত আমি রাজী হয়নি। আরও মনে পড়ছে ড. মুহাম্মদ ইউনুসের বানসাই সর্ট ফিল্মো কথা যেখানে হত দরিদ্র, বিপন্ন মানুষের জীব চিত্রাযিত হয়েছে সম্ভবত: আমি পত্রিকাতে দেখেছিলাম আর সেটা বিদেশের মাটিতে৷ সেখানে পড়েছিলাম-মানুষের জীবনে এত বেশি দু:খ, কষ্ট থাকে যা সেলুলয়েডের ফিতায় আবদ্ধ করা যায় না তাও মানুষের জীবনে ঘটে থাকে৷ তাইত তিনি বানসাই মানুষের পাশে দাড়িয়েছিলেন কেবল তাদো কষ্টটাকে তিনি অনুভব করতে পেরেছিলেন বলে৷ কিন্ত এদেশে তা দেখানো হয়না৷ আজ ভাবছি কিনত্ম কেমন কনে সম্ভব ! তাই আজ স্বরন করছি আমাদের নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ হউনুসকে৷ তিনিও একদিন ঠিক আমার মত করে বাংলার গরীব, দু:খী, বিপন্ন মানুষকে নিয়ে সপ্ন দেখেছিলেন আর স্থায়ীভাবে সেই বিপন্ন বানসাই মানুষের দু:খ মোচনের কথা ভেবে আবিস্কার করেছিলেন মাইক্রোক্রেডিট/ক্ষুদ্র ঋন যা সত্যিই বাংলায় একসময় নারী জাগরন ঘটিয়েছিল৷ অসহায় দরিদ্র নারীদের জীবনে এনেছিল স্বাধীনতা আর স্বাচ্ছন্দ৷ যে সকল নারীরা্ বাবা মায়ের ঘরে ছিল অবহেলিত, স্বামীর সংসারে ছিল নি:গৃহীত সেই সব নারীরা এই ক্ষুদ্র ঋন দ্বারা লাভবান হয়েছিল৷ এমনকি অসহায় পিতারাও এই ক্ষুদ্র ঋন দ্বারা লাভবান হযেছিল তাদের সকল সমস্যার সমাধান ঘটেছিল৷ যদিও এই ক্ষুদ্র ঋনের উপর আমার কোন সামান্যতম জ্ঞান নেই কেবল আমি আমাদের কাজের বুয়ার কাছ থেকে গল্প শুনে অনুভব করেছিলাম সেদিন এর গুরুত্ব৷ সেই দু:খ মোচনের রাজা স্বরম্নপ নোবেল বিজয়ী ড. হউনুসকে যেদিন আমি জাতির সামনে অপমানিত হতে দেখলাম, নিজেকে অপমানিত হতে দেখলাম৷ গণতন্ত্র, মানবধিকার, অবিচার দেখলাম৷ চারিদিকে কেবল গড দেখতে পেলাম যারা গরীব, দু:খী, প্রতিবন্ধীদের ঘৃর্ণা করে৷ আমার সপ্নের কৃষান কন্যা হিউমানিটি মিশনটিকে আমার চোখের সামনে ভেঙ্গে তছনছ হতে দেখলাম৷ যা আমি সেদিন মেনে নিতে পারিনি৷ রাগে , দু:খে, ৰোভে আমি ক্ষত বিক্ষত হয়েছিলাম আর তখন তৈরী করেছিলাম 'কৃষান কন্যা থার্ড পার্টি অব বাংলাদেশ' কেবলমাত্র সেই বিপন্ন, অবহেলিত, অসহায় দরিদ্র মানুষের অধিকার রৰার জন্য৷ ঠিক সেই থেকে আমার যাত্রা শুরু৷ আজও আমার মিশন বা থার্ড পার্টিকে বাংলায় প্রতিষ্ঠিত করতে পারিনি৷ তারপর অনেকটা সময় পেরিয়ে গেছে৷ কেবলমাত্র অসহায় মানুষের জন্য সপ্ন দেখার অপরাধে কৃষি মন্ত্রনালয় আমাকে আমার সকল অধিকার হতে বঞ্চিত করেছিল আর আমি সেদিন হয়ে গেলাম বড়ই অসহায় যা বানসাই মানুষকে হার মানায়৷ একটা মানুষের বেচেঁ থাকার শেষ সম্বল যখন হাত থেকে কেড়ে নেওযা হয় তখন আর তার কি থাকে ? তারপর আমাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়৷ আর আমি সেদিন লজ্জায়, দু:খে, অপমানে আমার অফিস ত্যাগ করেছিলাম আমার অসহায় সনত্মানদের কথা ভাবিনি৷ আজ আমি ভিষণভাবে অসুস্থ্য তারপরও সপ্ন দেখি একটি সোনার বাংলাদেশের যে দেশের সপ্ন আমাদের আপনজনেরা দেখেছিলেন৷ আমি সব সময় সত্যকে খুজেঁ বেড়াই৷ আমি আজ অনেক সত্যকে খুজেঁ পেয়েছি৷ আজ আমি বড়ই ক্লান্ত তারপরও আমার সপ্নের মিশনটিকে করতে পারিনি৷ কারন আমি বাংলায় কোন মানবতাবাদী ব্যক্তিত্বকে খুজে পাইন যিনি মানবসেবা মুলক কাজ করতে পারবেন আমার সপ্নের মিশনটিকে অর্থবহ করে গড়ে তুলতে পারবেন৷ তাই অবশেষে আমি একজন মানুষকে খুজে পেয়েছি আমি আশা করি তিনি আমার মিশনটিকে বাংলায় প্রতিষ্টিত করতে পারবেন৷ কারন তিনি সারাবিশ্বব্যাপি খ্যাতি সম্পন্ন ব্যক্তিত্ব৷ তাই ছাড়া আজ আমি কাউকেই এ দেশে খুজে পাচ্ছিনা৷ আর তিনি হলেন-নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুস৷ মনে পড়ে-আমার ফেসবুক বন্ধু ক্রিস্টোফার মার্ক উহংগেট বলেছিলেন-কৃষান কন্যা মিশনটির ব্যাপারে আমি ভাবছি৷ তুমি আমাকে কিছু ছবি দিয়ে জানাও তোমার লোকদের কি প্রয়োজন৷ আমি নভেম্বরে/১০ বাংলাদেশে আসব৷ আমি বলেছিলাম-আমি একা, আমার কোন লোক নেই৷ তিনি আমাকে ভাল ইংরেজী জানা লোক সংগ্রহ করতে বলেছিলেন কিন্ত আমি আজও তা পাইনি তার বড় কারন আমি কারো সাথেই যোগাযোগ করিনা যা আমার স্বভাব৷ তবে আজ আমাকে ভাবতে হবে কেবল আমাদের আগামী নতুন প্রজন্মদের জন্য৷ আমি অসুস্থ্য তারপরও যতটুকু সম্ভব আমি করতে চাই যা আমার সপ্ন৷ এমতাবস্থায়, আমি আজ ড. মুহাম্মদ হউনুসকে আহবান করছি আমার কৃষান কন্যা মিশনটিকে সত্যিকারভাবে বাংলায় প্রাতিষ্ঠানিক রম্নপ দেবার জন্য৷ কারন আমি জানি তিনি দরিদ্রের বন্ধু আর অশিৰিত সমাজের মানুষদের তিনি বেশি ভালবাসেন৷ তাই কৃষান কন্যা আজ বাংলার সবচেয়ে বেশি দু:খী আর অসহায় আর বেশি অশিৰিত৷ আর মিশন সংক্রান্ত কাজ কেবল সত্যিকার মানবতাবাদীদের দ্বারাই সম্ভব৷ আমি আশা করি তিনি আজ অসহায় কৃষান কন্যার পাশে দাড়াবেন৷ আর সকল কাজে সাহায্য সহযোগিতা করবেন কারন আমাদের জীবনের লক্ষ্য একই ( Our Life Goal Al together ). শ্রদ্ধান্তে- কৃষান কন্যা রাহিলা কৃষি মন্ত্রনালয় (সাময়িক বরখাস্ত)৷ ১১ নভেম্বর, ২০১১ খ্রি:, রাত ১০-৪৩ মি:
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।