মানুষ হিসেবে মাথা উচুঁ করে থাকতে চাই। বিশ্বে মহৎ ও জীবের জন্য কল্যানকর বিশেষ বিশেষ কর্ম বা উদ্ভাবন তথা আবিস্কার এর স্বীকৃতি বা সম্মাননা জানানোর সর্বোৎকৃষ্ঠ পদক বা স্বীকৃতি হচ্ছে নোবেল প্রাইজ। বিজ্ঞানে নোবেল প্রাইজ দেয়ায় যদি কোন বিশেষ অঞ্চলের ক্ষেত্রে প্রাধান্য বেশী দেয়া না হয় তবে আমরা আশাবাদি আমরা অচিরেই তা পেতে যাচ্ছি। কি কি বিবেচনা করা হয় জানিনা তবে প্রচার যে এ ক্ষেত্রে অগ্রণী ভ’মিকা রাখে তা বুজতে পেরেছি এখনো নোবেল কমিটি কর্তৃক বিবেচনায় না আসায়। আমি বাংলাদেশ তথা বিশ্বের অন্যতম জিনবিজ্ঞানী ড. মাকসুদুল আলমের কথা বলছি।
মস্কো ষ্টেট ইউনিভার্সিটি, রাশিয়া ও ম্যাক্স প্লাংক ইনষ্টিটিউট, জার্মানি থেকে দু“বার পিএইচডি করা যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই ইউনিভার্সিটির অনুজিববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক বাংলাদেশী মাকসুদুল আলম এ পর্যন্ত যে সকল আবিস্কার সস্পন্ন করেছেন তাতে অনুজিববিজ্ঞানে বিশেষ অবদানের জন্য এনআইএইচ শ্যানন আ্যাওয়ার্ড ও বোর্ড অব রিজেন্টস এক্সেলেন্স অব রিসার্চ অ্যাওয়ার্ড পেলেও এখনো নোবেল কমিটির বিবেচনায় আসতে পারেননি। তিনি এ পর্যন্ত যে সকল বিষয়ে সফলতা অর্জন করেছেন তা হলো-
১। পেঁপের জিন-নকশা উম্মোচন।
২। মারাত্বক ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া হেলো ব্যাকটেরিয়াম এর জীবন রহস্য উম্মোচন।
৩। রাবারের জেনোম সিকোয়েন্সিং।
৪। পাটের জিন-নকশা উম্মোচন।
৫।
মারাত্বক ক্ষতিকর ছত্রাক ম্যাক্রোফেমিনা ফেসিওলিনা এর জীবন রহস্য উম্মোচন। এছাড়া
৬। মানুষের রক্তের বিকল্প হিসেবে ব্যবহারযোগ্য ব্যাকটেরিয়ার প্রোটিন নিয়ে গবেষণা প্রক্রিয়াধীন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী জার্নাল “নেচার” আমাদের মাকসুদুল আলম কে “বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভাবক” হিসেবে প্রচার ও প্রসারে অগ্রণী ভ’মিকা নিলেও আমাদের প্রচার মাধ্যম সমূহ এ ব্যাপারে কেন যেন নিরব ভূমিকা পালন করছে। তাদের এর চেয়ে অন্য সব বিষয়ে ভ’মিকা বেশি বলেই মনে হয়।
এ কারণের পাশাপাশি বিধাতার কিছুটা বিরাগের কারনে ও হয়তো আমরা বিজ্ঞানে নোবেলটি এখনো পাইনি। তবে আমি শতভাগ আশাবাদী এই মাকসুদুল আলমই আমাদের সে আশা অচিরেই পূরণ করতে পারবে ইনশাআল্লাহ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।