আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রমযান নিয়ে কিছু কথা

যা মনে আসে তাই লিখি ♦যে সব কারনে রোযা ভঙ্গ করা জায়েজ: ১। যদি কেউ এমন অসুস্থ হয়ে পড়ে যে,রোযা রাখলে তার জীবন নাশের আশংকা হয় বা তার দুরারোগ্য অসুখ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। ২। সন্তান সম্ভবা ও প্রসূতি মাতা ও দুগ্ধপোষ্য সন্তানের বিশেষ ক্ষতির আশংকা থাকলে। ৩।

স্ত্রীলোকের ঋতুস্রাব দেখাদিলে, সন্তান প্রসব হলে নিফাসের সময়(৪০ দিন) ৪। কোন বৃদ্ধ শক্তিহীন হলে ৫। সফরকালে *** যারা পরীক্ষার্থী তাদের ক্ষেত্রে উপরের কোন ব্যাপার ছাড়া শুধুমাত্র পরীক্ষার জন্য রোযা না রাখা বা রেখে ভেঙে ফেলা উচিৎ নয়। এজন্য কাযা ও কাফফারা উভয়ই আদায় করতে হবে। *** ★কাযা ও কাফফারা পালনের নিয়ম: ১।

১টি রোযার জন্য একাধারে ৬০টি রোযা রাখতে হবে এটা হল কাফফারা আর যে রোযার কাফফারা আদায় করা হচ্ছে তার কাযা ও আদায় করতে হবে। তারমানে মোট ৬১ টি রোযা রাখতে হবে। ২। একাধারে রোযা রাখতে অক্ষম হলে ৬০জন মিসকিন কে ২ বেলা খাওয়াতে হবে পেট ভরে। ৩।

মিসকিন কে খাওয়াতে অক্ষম হলে একজন গোলাম আযাদ বা মুক্তি করে দিতে হবে। যদিও এখন এটা সম্ভব নয় কারন দাসপ্রথা প্রচলিত নয় বর্তমান কালে। ♦আরো যেসব কারনে রোযার কাযা ও কাফফারা আদায় করা ওয়াজিব : ১। রোযা রেখে ইচ্ছা করে পানাহার করলে। ২।

রোযা রেখে যৌন বাসনা পুরন করলে। ৩। সঙ্গম ছাড়া বিকল্প পন্থায় বীর্যপাত করলে। ♦ যেসব কারনে রোযা ভঙ্গ হয় ও শুধু কাযা আদায় করতে হয়: ১। কুলি করার সময় হঠাৎ গলায় পানি চলে গেলে।

২। বলপূর্বক গলার ভিতর কোন কিছু ঢেলে দিলে ৩। নাকে অথবা কানে ঔষধ ঢেলে দিলে (কারন তা এক সময় না এক সময় গলায় চলে যেতে পারে) ৪। ইচ্ছাকৃত মুখভর্তি বমি করলে (গলায় আঙ্গুল বা অন্য কিছু দিয়ে) ৫। কাকর,মাটি,কাঠের টুকরা ইত্যাদি অখাদ্য খেলে ৬।

পায়খানার রাস্তায় পিচকারি দিলে ৭। পেটে বা মাথায় ঔষধ দিলে যদি এর তেজ পেটের ভেতরে বা মস্তিষ্কে প্রবেশ করলে। ৮। নিদ্রাবস্থায় পেটের ভেতর কিছু প্রবেশ করলে ৯। রাত আছে অথবা সূর্য ডুবে গেছে মনে করে কিছু খেলে ১০।

মুখে বমি আসার পর তা গিলে ফেললে। ১১। দাত থেকে ছোলা পরিমান কিছু বের করে খেলে ১২। জবরদস্তি মুলক সঙ্গম করলে। ★কাযা রোযা শুধু একটার জন্য একটাই রাখতে হয়।

♦যেসব কারনে রোযা ভঙ্গ হয় না: ১। চোখে সুরমা লাগালে ২। শরীর এ তেল মালিশ করলে। ৩। অনিচ্ছাকৃত বমি করলে।

৪। থুথু গিলে ফেললে ৫। ছোলার কম পরিমান দাতে আটকে থাকা খাবার গিলে ফেললে ৬। মেছওয়াক করলে। ৭।

কানের ভিতর পানি ঢুকলে ৮। ভুলবশতঃ পানাহার বা সঙ্গম করলে ৯। স্বপ্নদোষ হলে ♦রোযা ফরয হওয়ার শর্ত জেনে নেই: ১। মুসলিম হওয়া ২। বালেগ হওয়া ৩।

রোযা রাখতে অক্ষম না হওয়া। ♦রোযার ফরয সমুহ: ১। নিয়্যাত করা ২। সুবহে সাদিক থেকে সুর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার ও ইন্দ্রিয় তৃপ্তি থেকে বিরত থাকা। ## আশা করি সবার উপকারে আসবে।

রমযান মাসে পরীক্ষা দিচ্ছে তাদের কাছে অনুরোধ যেন তারা সুস্থ হলে অবশ্যই রোযা রাখে। এতে পরীক্ষা খারাপ হবে না বরং অনেক ভাল হবে ইনশাআল্লাহ। ধন্যবাদ। ## ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।