তবুও জীবন যাচ্ছে কেটে জীবনের নিয়মে।
রমযান মোটামুটি শেষে। আর মাত্র এক সপ্তাহ। তারপরই ঈদ। কেনাকাটা শুন্য।
কোনরকমের কেনাকাটায় আমি নাই। যখন যাই (ঠেলায় পড়ে) তখন মোটামুটি ব্যাংকের ব্যালেন্স কমাই দিয়ে আসি (বিদেশ জীবনে একটাই জ্যাকেট কিনেছিলাম মাত্র প্রায় ২০০ ইউরো, একটা শার্ট ৭০ ইউরো, একটা জুতো ১৮০ ইউরো) এইজন্য ভাইয়া মার্কেটমুখো হতে আমাকে নিষেধ করে। চান্সে আমি উনাদের দিয়ে নিজের শপিং করিয়ে নেই।
দেশে মামা-মামী ছিলো। উনারা শপিং করতো।
মাঝে মাঝে মামার শার্ট নিয়ে নিতাম। পরবর্তিতে মামীর সাথে শপিংয়ে যেতে হতো। মামীর শপিংয় দেখেই আজ আমার এই অবস্হা।
ভেনিস বেড়াতে গিয়ে ভাই-বোন শপিংয়ে ব্যস্ত। আমি শপিং সেন্টারের বাইরে বেঞ্চে বসে হাওয়া খাই আর পরী দেখি।
কিছুক্ষন পর ভাইয়া এসে বলে তোর জন্য একটা ESPRIT এর জ্যাকেট দেখেছি। খুব সুন্দর। ট্রায়াল দিয়ে যদি হয় তাহলে কিনে নিবো। আমিও পরী দেখার ইতি টেনে ট্রায়াল দিয়ে নিয়ে নিলাম। ভাইয়াও মোটামুটি শীতের শপিং থেকে বেচে গেলো।
দেশে সাধারনত ঈদের কমন ড্রেস ছিলো সাদা পাজামা, পাঞ্জাবী। সময়ের আবর্তে সেটা অনেক আগেই হারিয়ে গেছে। এখন আর ঈদের সালামীর পাওয়ার কোন চান্স নেই। উল্টো দিতে হয়
প্রতিবছরের মতো এবারও ছোটবোন ঝামেলার কেন্দ্রবিন্দুতে। উনার জন্য দেশ থেকে অনেকগুলো জামা নিয়ে আসা হয়েছিলো।
সবগুলো মোটামুটি একবার পরা হয়ে গেছে তাই ঈদের জন্য নতুন জামা দরকার। উনার কথা হচ্ছে স্কুলের জন্য জামা, পার্টির জন্য জামা, ঈদের জন্য জামা, সবগুলো আলাদা হতে হবে। একবার নাকি কোন জামা পরলে ঐটা পরে ঈদে অথবা পার্টিতে পরে যাওয়া যাবে না। যতোই বুঝাই যে এখানে তুমি কি জামা পরেছো সেইটা কেউই খেয়াল করে না। আমার উদাহরন দিয়ে বুঝাই যে আমি নিজেও তো একই জামা পরে অফিস করি, পার্টিতে যাই।
উনার কথা আমি ছেলে তাই আমি যা তা পরতে পারি ।
কিছু না বলে বল্লাম ঠিক আছে চলো দু'জন শপিংয়ে যাই। ইহাতেও উনার প্রেষ্টিজে ধরে। উনি বান্ধবীদের নিয়ে যাবেন। যদিও জানি উনার কোন কেনাকাটা হবে না।
শুধু ঘোরাঘুরি হবে। (এখানে বাংলাদেশের ড্রেস পাওয়া যায় না)
আজ বিবিসিতে দেখলাম ইউ.কে তে ASDA শপিংমল ইন্ডিয়ান কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেছে। যুগোপযুগী ব্যবসায়িক চিন্তা। ইউ.কে তে কিছু কিছু কাপড় ব্যবসায়ী জনগনকে জিম্মি করে অতি মুনাফায় যা বিক্রি করতেন এইবার উনাদের দিন শেষ। যদিও ASDA এর কোয়ালিটি নিয়ে আমার সন্দেহ আছে।
তারপরও কমদামে যদি পাওয়া যায় তাহলে একটার টাকা দিয়ে অনেকগুলো কিনা যাবে।
ঈদ হয়তো রবিবার (যদি ২৯টা হয়)। নাহলে সোমবার। অফিসে এসেই সোমবার ছুটি নিয়ে নিলাম। যদিও নামায পড়ে কিছু করার নেই তারপরও একটু ঈদের আমেজ নিয়ে আসতে ফাও ছুটি নেওয়া।
(অফিসে ব্যাপক কাজ। বেশী কাজ দেখলে ব্লগাইতে মন চায়। এজন্য আজাইরা প্যাচাল)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।