বাংলা আমার জীবন বাংলা আমার মরণ
পবিত্র রমযান আরবী বছরের অষ্টম মাস। এ মাসের ফযীলত অনেক বেশী। এ মাসকে মহান আল্লাহ্ পাক বিশেষ ফযীলত দান করেছেন। এমাসে যে কোন ইবাদতের সওয়াব অন্যন্য মাসের ইবাদত অপেক্ষা৭০গুন বেশী। পবিত্র কোরআন শরীফে শুধুমাত্র এ মাসটির উল্লেখ করা হয়েছে।
মহান আল্লাহ্ পাক এরশাদ করেন--রমযান সেই পবিত্র ও মোবারক মাস যে মাসে মহান আল্লাহ্ তাআলার পবিত্র কোরআন মাজীদ অবতীরর্ণ করা হয়েছে। এ মাসে মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন উম্মতে মুহম্মদী সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি ত্রিশটি রোযা ফরয করেছেন। এ মাসের মধ্যে এমন একটি রাত আছে যে রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম বলে মহান আল্লাহ পাক ঘোষণা করেছোন। হাদীস শরীফ এরশাদ হচ্ছ--হযরত আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত আছে,তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লম এরশাদ কয়েছেন। যখন রমযান মাস আসে তখন আকাশ বা ক্ষেহেশ্তের দরজা খুলে দেয়া হয়,দোযখের দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়,শয়তানকে জিঞ্জির দ্বারা আবদ্ব করা হয়।
আকাশের দরজা খুলে দেয়া অর্থ এ মাস আল্লাহর রহমত উম্মতের উপর অনবরত বৃষ্টির মত বর্ষিত হতে থাকে। দোয়া কবুল হয়,নেক আমলসমূহ আল্লাহর দরবারে পেশ করা হয় । বেহেশ্তের দরজা খুলে দেয়ার অর্থ এই যে এ মাসে অন্য মাসের তুলনায় নেক আমল করার বেশি তওফিক হয়। য়ার দ্বারা বেহেশ্তে প্রবেশ করা সহজ হয়। যখন বান্দা নেক আমল করবে তখন সে নিশ্চয়ই বেহেশ্তের উপযোগী হবে এবং দোযখ হতে বেঁচে থাকবে,আর যখন বান্ধা রমযানের বদৌলতে গোনাহর কাজগুলো হইতে বেঁচে থাকবে তখন দোযখের দরজা বন্ধই থাকবে।
শয়তানকে আবদ্ব রাখার অর্থ রোযাদার ব্যক্তিকে শয়তান প্রতারিত করতে পারে না। কেননা ,একজন রোযাদার ব্যক্তি যখন এত শ্রম ওপরিশ্রম করে রোযার কঠোরতায় সংযম করতে থাকে,তখন সে প্রতিটি পদক্ষেপ অতি সতর্কতা ওসাবধানতা অবম্বন করে থাকে। সে সর্বদা গোনাহের কাজ হতে পরহেজ করে চলে,যাতে তার সিয়াম সাধনা বৃথা না যায়। এজন্য শয়তান তাকে গোনাহর কাজে লিপ্ত করতে ততটুকু সক্ষম হয় না যতটুকু অন্য মাসে হয়ে থাকে। রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন,মাহে রমযানে চারটি কাজ অবশ্য করনীয়।
দুটি কাজ তো এমন যে , তার দ্বারা তোমাদের প্রতিপালক সন্তুষ্ট হন,আর অবশিষ্ট দুটি কাজ আল্লাহ পাকের দরবারে অতি পছন্দনীয় আর তৃতীয় ও চতুর্থ হলো জান্নাতের আশা ও দোযখ থেকে নাজাতের প্রর্থনা করা। এ দুইটি এমন বিষয় যা তোমাদের জন্য একান্ত করনীয়। রোযাদারকে কিয়ামতের দিন আমার হাউজ থেকে পানি পান করানো হবে ,এরপর জান্নাতে প্রবেশ করা পর্যন্ত সে আর কখনো পিপাসা অনুভব করবে না। রোযা মানুষের পাপরাশি জ্বালিয়ে পোড়িয়ে নঃশেষ করে দেয় এবং দেহ এ প্রসঙ্গে হাদীস শরীফ এরশাদ--হররত আবদুল্লাহ মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু অনহু হতে বর্ণিত আছে,তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন,যে ব্যক্তি পূর্ণ বিশ্বাস ও আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি লাভের আকাংখায় রমযান মাসে রোযা রাখবে,সে ব্যক্তি গুনাহ হতে এমনিভাবে নিস্পাপ হয়ে যাবে,যেমনি ভাবে মাতৃউদর হতে জন্ম হবার পর নিস্পাপ ছিল। আর এক রেওয়ায়েতে আছে যে ব্যক্তি রমযান মাসে রোযা প্রথম হইতে শেষ পর্যন্ত সঠিকভাবে পালন করবে,সে ব্যক্তি গুনাহ হতে এমনিভাবে নিস্পাপ হয়ে যাবে,যেমনিভাবে সে মাতৃগর্ভ হতে ভূমিষ্ঠ হবার দিন নিস্পাপ ছিল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।