আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমি কারো হিরো হতে চাইনা, আমি কৃষান কন্যা হতে চাই-

আমি যেদিন ভিষণভাবে কষ্ট পাচ্ছিলাম ঠিক এমনি একটি সময়ে HEROES NEVER DIE গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মানব সেয়ানা আমাকে তার গ্রুপের হিরো হিসেবে নির্বাচন করেছিল আমি ভিষণ খুশি হয়েছিলাম সেদিন৷ এমনকি বলেছিলেন-' কৃষান কন্যা এই দুর্ভাগা জাতির কথা ভেবে তোমার অস্তিত্বের কথা ভুলে যাও৷ তুমি অটুট না থাকলে কৃষকের ভরা যৌবন কই ? তোমার মাঝেইত তারা ফিরে পাবে তাদের হারানো যৌবন৷' আমি ভিষণ খুশি হয়েছিলাম৷ তাইত আমি তাকে সেদিন অনুরোধ করেছিলাম-আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের দিনে তুমি আমাকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নিয়ে চল যেখানে ১৯৯৩ সনে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম এসেছিলেন আর সেদিন সেখানে আমিও ছিলাম৷ কিন্ত সে আসেনি৷ পরবর্তীতে তার খোলসে ঢাকা সুমন মাহমুদ (মানব সেয়ানা) আমাকে জানিযেছিল ওটা তাদের গ্রুপের স্নোগান (দেখা হবে বিজয়ে)৷ আরও বলেছিল আমরা সকলেই স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজে যাব৷ তাইত আমিও সেখানে গিয়েছিলাম নিমন্ত্রণপত্র ছাড়াই৷ যাদের সামনে কৃষান কন্যা বিশটি বছর যায়নি কেবল মানব সেয়ানার জন্য সেখানে যেতে হয়েছিল আর আমাকে তারা ইলেকট্রিক চার্জ করেছিল, মেন্টাল পেসেন্ট বলে আখ্যায়িত করে ক্ষত বিক্ষত করে দিয়েছিল৷ যার জন্য দায়ী ছিল এই মানব সেয়ানা৷ আমি কিভাবে তাকে ক্ষমা করব ? কিন্ত আমি জানিনা কে এই মানব সেয়ানা তবে আমি সেই মানব সেয়ানার খোলসে আবৃত সুমন মাহমুদকে অনেক আগেই ব্লক করেছিলাম বিরক্ত হয়ে৷ তারপর দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হয়েছে৷ আমি ইতোমধ্যে স্টোরী অব আওয়ামীলীগ গ্রুপে দেখেছি একজন হিডেন 'স্ট্রেঞ্জার সুটার' তিনি আমাকে অনেক কিছুই বলেছিলেন-এমনকি বলেছিলেন- 'কেন ঐ হিরোর মুকুট গায়ে পরেছ ? খুলে ফেল এটা তোমাকে মানায় না৷ বাসায় গিয়ে শাড়ী পরে বসে থাক৷' এমনকি 'জানা গুটেকুরানী ও ঘসেটি খালাসহ সারা পৃথিবীর সামনে বলেছিল-'আমি তার রিয়েল হিরো কিন্ত সে আজ মেন্টাল পেসেন্ট তাই আমাকে সে চিনতে পারছে না৷ আমি চেষ্টা করছি তাকে জ্ঞান ফিরাবার জন্য৷ '' যা আমাকে সেদিন আমার ইমেজকে আমার বন্ধুদের সামনে ম্লান করে দিয়েছিল। তাই আমি সেখানে কোন কমেন্টস করিনি৷ কেবল সাথে সাথে তাদের অংকিত প্রোফাইল খুলে ফেলেছিলাম সেদিন যা স্টোরী অব আওযামীলীগ গ্রুপের অনেকেই দেখেছিলেন৷ আমি কিছুদিন ধরে আমার মোবাইলে একটি মেসেস পেতাম৷ লেখা -গুড মরনিং বেশি সময়৷ তারপর একসময় জানালেন-তিনি আমাকে ভিষন ভাবে পছন্দ করেন আর বন্ধুত্বে আগ্রহী৷ হ্যা আমার আ্জ পৃথিবীতে অনেক বন্ধু কিন্ত এখনও কারো সাথেই কথা বলিনি বা দেখা করিনি৷ হঠাত্‍ বন্ধুটির আগমন৷ আমি তার সাথে কথা বলেছি৷ কিন্ত সন্দেহটা ঠিকই ছিল৷ আমি ধীরে ধীরে বুঝতে পারলাম- নিশ্চয় মানব সেয়ানার লোক৷ ঠিক তাই-আমাকে সে যা বলেছে তা আজ বলার মত সাহস পৃথিবীর কারো নেই৷ সে অবশেষে বলেছে-''তোমার থার্ড পার্টিতে কেহই থাকবে না৷ এসব বাদ দাও৷ তোমার পাশে কেহই থাকবে না৷ অবশেষে তোমার জায়গা হবে পাবনা অথবা জেলে৷ তুমি কেবল নিতে শিখেছ ৷ তুমি তোমার জীবন নিয়ে একটি ফিল্ম তৈরী কর তাতে তোমাকে বাংলার মানুষ চিনবে ইত্যাদি৷'' আর এসবই ঠিক আমার দেখা ও জানা মানব সেয়ানার কথামালা৷ আমি তাকে বলেছি-আমার থার্ড পার্টিতে কেহ না থাকলেও আমি থাকব আর থাকবে আমার আল্লাহ৷ আর আমার পাশে থাকা৷ আমার মুক্তিযোদ্ধা বন্ধুটি বলেছিল সেদিন-তুমি যা করছ তাতে একদিন দেখ তোমার পাশে কেহ থাকবেনা৷ আমি তাকে বলেছিলাম আমি একা থাকব তারপরও অন্যায়ের কাছে মাথা নত করবনা৷ আর পাবনা ও জেল এই বাংলায় কৃষান কন্যার জন্য কোন জেলখানা তৈরী হয়নি৷ আর কৃষান কন্যাকে নিয়ে ফিল্ম্ ! যে দেশে মেহেরজান এর মত ছবি তৈরী হয় সেদেশে কৃষান কন্যাদের নিয়ে ছবি তৈরী হতে পারে না৷ '' আমি তাকে আরও বলেছি-তুমি আমার বড়ই শুভাকাঙ্খী৷ তবে কেন তোমরা জাতির সামনে বলতে পারছনা কেন কৃষান কন্যাকে বহিস্কার করা হল ? কেন তাকে সামান্য একটি কম্পিউটারের জন্য , একটি গাড়ীর আসনের জন্য অফিস ত্যাগ করতে হল ? কেন তাকে মতিয়া চৌধুরীর ক্ষমতা ব্যবহার করে বার বার অপমানে ক্ষত বিক্ষত করা হল ? কেন গণপুর্ত মন্ত্রনালয় তাকে অপমান করেছিল ? কেন সমাজ কল্যান মন্ত্রনালয় তার জন্য কিছুই করতে পারছে না ? কেন আমার বিজয়কে কেড়ে নেয়া হল ? কেন আমার গল্প বাংলায় প্রকাশ করতে দেয়নি ? ছেড়ে দিতে বলুন৷ আমাকে বাংলার দোর গোড়ায় পৌছে দিন দেখবে থার্ড পার্টিতে কতজন লোক থাকে৷ কৃষান কন্যাকে বাংলার কৃষক সমাজ কত ভালবাসে৷ কিন্ত জানি পারবে না৷ আর তারপরই আমার ওয়লে পরিবারের সাথে যুক্ত 'Ro Se ' রিমুভ হয়ে চলে গেছে যারা আমাকে হিরো হিসেবে চিহ্নিত করেছিল৷ মনে পড়ে সুমন মাহমুদ (মানব সেয়ানা) বলেছিল we make human being but not born terrorist or racist. এমন কি বলেছিল-'এই দুর্ভাগা জাতির কথা ভেবে তুমি তোমার অস্বিত্বের কথা ভুলে যাও৷' হ্যা আমি গিয়েছিলাম কিন্ত তোমরা কেন ভুলতে পার না ? কেন তোমরা তোমাদের প্রধানমন্ত্রীকে বলতে পারনি এই দুর্ভাগা জাতির কথা ভেবে সব রকম নোংরা রাজনীতি বন্ধ করার জন্য যা আজ সমগ্র মানব জাতিকে ধ্বংষ করে দিচ্ছে ? ১৯৭১ হতে অদ্যাবধি যাহাই বাংলায় ঘটুক না কেন সবই মনে করতে হবে আমাদের নিয়তী আর সেই নিয়তীকে যারা মানতে চায়না বা বিশ্বাস করেনা তারাত প্রকৃত মুসলিম হবে না৷ তারা হয়ে যাবে কাফির৷ আর আজ আমি সেই কাফিরদের ঘৃর্ণা করতে শিখেছি৷ আজ কৃষান কন্যা মাটির মানুষ তাই তার অস্বিত্বকে সে ভুলে যাবে, আর তোমারা হীরকের তৈরী তাই তোমাদের অস্বিত্বকে টিকিয়ে রাখার জন্য আজ যুদ্ধ করবে, দেশ ও জনগনের ক্ষতি করবে তা কি ভাবে কৃষান কন্যা মেনে নিবে ? আজ এই প্রশ্নের উত্তর বাংলার মুক্তিযোদ্ধাদের জাতির সামনে দিতে হবে৷ কোথায় আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ? তোমরা কি ভেবেছিলে কৃষান কন্যাকে হিরো বানিয়ে শেখ মুজিবকে পুজা করবে কিন্ত না কৃষান কন্যা আল্লাহ ছাড়া কারো পুজা করেনা৷ তাইত আমি তোমাদের হিরোর মুকুট ছুড়ে ফেলে দিয়েছি৷ ওটা কৃষান কন্যার জন্য নয়৷ কৃষান কন্যার জন্য মাটির মুকুটই উত্তম৷ তার গায়ে কাদাঁ লেগে আছে তাইত কৃষান কন্যাকে এই শিক্ষিত সমাজ মুল্যায়ন করেনি৷ সে এসেছিল তার মুক্তিযোদ্ধা বাবা-মায়ের-ভায়ের সপ্নের পৃথিবীতে কিন্ত তাকে আজ কেবল তারা প্রতিবন্ধীই করেনি৷ পঙ্গু করে দিয়েছে৷ তাইত আজ আমি শপথ নিয়েছি-আমাদের কৃষক সমাজের মাটির ওয়াল চ্যালেঞ্চ করবে আজ তাদের ধানমন্ডির মত ইট-কংক্রিটের আলিসান বাড়ীর ওয়ালের সাথে৷ আমি কারো হিরো নই৷ আমি বাংলার কৃষান কন্যা৷ (সমাপ্ত)৷ -কৃষান কন্যা রাহিলা কৃষি মন্ত্রনালয় (সাময়িক বরখাস্ত) ১০ নভেম্বও, ২০১১ খ্রি:, দুপুর ২-৫৪ মি:৷  

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.