আমি বড় উগ্র, বড় আগ্রাসী হয়েছি হায়েনার উৎসাহে
পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির যে টাইফুন বয়ে গেল তাতে কার ঘর উড়ে গেছে?
আবুইল্লার, হাছিনার কয়েকজন উপদেষ্টার আরও কয়জন বেকায়দায় আছে।
মাগার গান কিন্তু কয়েকপালা গাইবার বাকী আছে। কি গান!! তাহলে শুনুন........
১. আবুইল্লা কেনো বেহায়ার মত মন্ত্রীত্ব আকড়ে ছিল, কেনইবা হাছিনার উপদেষ্টারা পদত্যাগ করতে অনিচ্ছুক! কারণ কানাডার পরামর্শক কোম্পানী এস এন সি লাভালিন যে টাকা টা ঘুষ দিয়েছে তার পরিমাণ সাড়ে সতর মিলিয়ন ডলার ($১৭.৫), এবং পুরো এমাউন্টটাই গলাদকরণ করেছে হাছিনার জামাই পুতুলের স্বামী মাশরুর হোসেইন। তেনারা স্বামি-স্ত্রী মিলে এস এন সি লাভালিন কে ম্যানেজ করেছিল এই শর্তে যে কনসালট্যান্সি ফি বাবদ যে ৩৫ মিলিয়ন ডলার পাওয়া যাবে তার ৫০% তাদের দিয়ে দিতে হবে আর তারা এর পূর্বে পদ্মা সেতু নিয়ে জাইকার তৈরী করা সমীক্ষা রিপোর্টটাই নতুন করে ঘষে-মেজে জমা দিয়ে দেবে; বাকীটা তারা হাজবেন্ড-ওয়াইফ সেট আপ করে দেবে। কথামত কাজ করেছে কোম্পানী, পুতুল-মাশরুরও হাত ছাফাইর কাজ সেরেছে।
কিন্তু শালার কুসংস্কারাচ্ছন্ন বিশ্ব ব্যাঙ্ক আর মিডিয়া ব্যাপারতা টের পেয়ে যায় যে ডাল মে কুচ কালা হ্যায়।
কোন ডালটা কালা? সবাই জানলো, কিন্তু সত্য প্রকাশে সূচারূ রূপে বিরত থাকলো উচ্ছিষ্ট খাওয়া মিডিয়া। আর বিএনপি পন্থি মিডিয়া আমারদেশের ভাগ্য বরণ করতে চাইলো না। যেহেতু না থাকার চে থাকা বরং ভালো। ঠ্যাং বুঝে কামড় বসানোর আশায়।
এদিকে ফাক (fuck) কাজে লাগিয়ে সেকলার-আম্লিগীয় মিডিয়া উদোর (প্রধাণমন্ত্রী কন্যা ও তার জামাতা) পিন্ডি বুধোর (আবুইল্লা ্ কতিপয় অপয়া উপদেষ্টা) ঘাড়ে চাপিয়ে দিল দক্ষ হাতে। এতে নিজেদের আদর্চও বাচলো আবার গনভবনের উচ্চিষ্ট খাবার একটা যোগাড়ও হল পদলেহী মিডিয়ার। যদিও বলি হওয়া পাঁঠা গুলো প্রাণত্যাগ করছে না। কারণ বলির বেদিতে যেসব পাঁঠা-পাঁঠীর ঠাই হবার কথা ছিল তারা তো দিব্বি কাঁঠাল পাতা চিবিয়ে যাচ্ছে!!! কিন্তু তারা বুঝলো না যে তাদের আব্বা আম্মারা তাদের বিকল্প চিন্তা করেই ফেলেছে!!! আরে এরকম আবুল, মশিউর, মাল হাজার হাজার মিলবে। পুতুল কি আর সব যায়গায় মিলে।
জ্যায়সা মা ত্যায়সা বেটিয়া!!!!
তথাপি তথ্য প্রযুক্তির যুগে গোঁয়ার আম্লিগ দেখলো যে হাঁড়ি তো হাটে ভাঙ্গা হয়ে গেছে!!! এখন যদি আবুল, মশিউর রা জলিলের মত মুখ ফস্কে বলে দেয়!!! তাহলে তো মহা ফ্যাসাদ, দেশের মানুশ নিয়ে না, ফ্যাসাদ বিশ্ব ব্যাঙ্ক আর দাতাদের নিয়ে। তারা যদি হাছিনার ক্ষমতায় থাকা কালেই তার একমাত্র মেয়ে আর মেয়ে জামাইর পিয়ারে পুঙ্গি বাজায় দেয় তাহলে হবে কি!!! বিশ্ব মিডিয়ার মাহমুদুর রহমানদের তো আর ধরে এনে কাশেমপুর ভরে রাখা যাবে নাহ!!! আবার বিশ্ব ব্যাঙ্কের কথা মত আবুল, মশিউর দের বরখাস্তও করা যাচ্ছে না। হাছিনা পড়ল বেকায়দায়, উদ্ধার উপায় খোজা শুরু। ভারতীয় রাজনৈতিক গোয়েন্দা, যারা প্রধাণমন্ত্রীর বাসভবনে বসে উপদেশ দেয়, তারা ফর্মূলা বের করলো। নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করা হবে স্লোগান তোলা হোক।
তাই হল, এতে টুপাইস কামানো যাবে বলে আম্লিগের তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত ঝাঁপিয়ে পড়ল। মাগার জাতি সাড়া দিল না।
তবুও তারা থামলো না, বিশ্ব ব্যাঙ্ক তদন্ত দল নিয়ে ঢাকা আসবে, আর পদ্মা সেতুও নেক্সট ইলেকশানে ভেরি ভাইটাল ফ্যাক্টর, যদিও ইঞ্জিনিয়ার্ড ইলেকশানের ব্যাবস্থা রাখা আছে।
কি করা যায়, হাছিনা নতুন ফতোয়া আবিস্কার করলো যে বিশ্ব ব্যাঙ্কই দুর্নীতি গ্রস্ত, তাই তারা পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন করতে চায় না বলেই তার সরকারের দোষ ধরছে। ওদিকে কানাডা সরকার এস এন সি লাভালিনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে যাতে রাঘব বোয়াল পুতুল-মাশরুর (হাছিনার মেয়+মেয়ে জামাই)
ধরা খায় বলে!
এমতাবস্থায় আবুইল্লা কে বাবা বাজী ডেকে, পিঠে হাত বুলিএ পদত্যাগে রাজী করানো হল এবং সাচ্চা দেশপ্রেমিক খেতাব দেয়া হল।
যাতে করে সে হাছিনার মেয়ে আর মেয়ে জামাইর নাম বলে না দেয়!!! তাতে যদি বিশ্ব ব্যাঙ্কের একটু দয়া হয়!! প্রধাণমন্ত্রীর পরিবারের দুর্নীতির কথা ফাঁস না করে। হলও তাই, বিশ্ব ব্যাঙ্ক দুযকে (দুদক) চিঠি দিয়ে জানালো যে মাশরুর হোসেইন নামে যে ব্যাক্তি এই দুর্নীতির সাথে জড়িত সে বাংলাদেশ সরকারের প্রধাণমন্ত্রী শেখ হাছিনার জামাতা। দুদক তা দাঁতে দাঁত চেপে ছুপ্পা কে রাকখা থা!!!
আবুইল্লা চাপ্টার শেষ করে বিশ্ব ব্যাঙ্ক ধরলো মাশিউর রে। তারা, বিশ্ব ব্যাঙ্ক, ক্লিয়ার কাট অফার দিলো মশিউর কেও বাই বাই বলতে হবে পদ্মা সেতু নিয়ে কথা বলতে চাইলে, প্রিমিয়ার আবার পড়লো ফ্যাসাদে। এ তো মহা ক্যাঁচাল!!! মশিউর তো পুরা বস্তু (পদ্মা সেতু দুর্নীতি) টার খোসা খেয়েছে কেবল।
তার জন্য তার এতো বড় খেসারত, অনেকে বলেন বিসর্জন, দিতে হবে! তেনি রাজী হলেন না, তাই তাকে একমাসের ছুটিতে পাঠানো হল। মাগার বিশ্ব ব্যাঙ্কের বেয়াদপদের মন ভরে নাহ। তাই তার বিদায়ের পালা হল, হাছিনাও ক্যাচাল এড়াতে পারলো নাহ।
শেষ পর্যন্ত পদ্মা সেতুর ভাগ্যে কি জুটবে তা আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন এবং এর জন্য যে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং তার স্বমী মাশরুর হোসেইন কত টুকু দায়ী তা অদূর ভবিষ্যতে জনগণ দেখতে পাবেন যখন এদের ধরে এনে কোর্টে তোলা হবে চোরের বেশে।
আজ এই পর্যন্তই।
দ্বিতীয় কিস্তি আসবে যদি আঁতে ঘা লাগা মডুরা আমায় ব্যান না মারেন তবেই। সেটা আরও ইন্টারেস্টিং কিছু হবে। একজন ভদ্দলোকের নেংটির তলার গোখরো সাপের গল্প সেটা। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।