আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কমিউনিস্টদের খপ্পরে আম্লীগ??

থেমে যাবো বলে তো পথ চলা শুরু করিনি। সূত্র: Click This Link তিয়াত্তরে 'ভিয়েতনাম দিবসে' ডাকসু ভবনে কমিউনিস্টদের সমাবেশে মস্কোপন্থিরা বঙ্গবন্ধুর ছবিতে আগুন দিয়ে কটূক্তি করেছিলেন। সেই সময়ের কমিউনিস্ট নেত্রী মতিয়া চৌধুরী পল্টন ময়দানে উন্মুক্ত সমাবেশে ঘোষণা দিয়েছিলেন 'শেখ মুজিবের চামড়া দিয়া ঢোল আর হাড্ডি দিয়া ডুগডুগি' বানানোর। জিয়ার খাল কাটা কর্মসূচির ভূয়সী প্রশংসায় মশগুল হয়ে ছুটে গিয়েছিলেন জিয়ার পাশে কোদাল হাতে। আওয়ামী লীগ বাকশাল হলেও বঙ্গবন্ধুর সেই একদলীয় মন্ত্রিসভায় তাও প্রতিমন্ত্রী পদে কমিউনিস্ট মুখ ছিল মাত্র একটি (মস্কোপন্থি ন্যাপের সৈয়দ আলতাফ হোসেন)।

কিন্তু শেখ হাসিনার বর্তমান মন্ত্রিসভায় কমিউনিস্টদেরই আধিক্য শুধু নয়, সরকারের সব পর্যায়েই তারা আধিপত্য বিস্তার করেছেন। বাংলাদেশের মস্কোপন্থি কমিউনিস্ট যারা তাত্তি্বকভাবে ক্রেমলিন-অনুগত ছিলেন, তারাই আজ অক্টোপাসের মতো আওয়ামী লীগকে গ্রাস করেছে। এরা মূল সমাজতন্ত্র থেকে আদর্শচ্যুত। এরা ক্ষমতাশ্রয়ী। গণমানুষের হৃদয়ে এরা কখনোই বাংলার মাটিতে শেকড় গাঁড়তে পারেননি।

তাই আওয়ামী লীগকে সাপের বাঁধনে পেঁচিয়ে ধরে ক্ষমতাবান হয়েছেন। বঙ্গবন্ধু সমালোচনা সহ্য করতে পারতেন। কারণ তিনি জানতেন সমালোচনায় সমাধান বেরিয়ে আসে। আর ঠিক এমন সময়ে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এবার দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার সামনেই বললেন, “বাঘে ধরলে বাঘে ছাড়ে, কিন্তু শেখ হাসিনা ধরলে কাউরে ছাড়েন না। ” সুরঞ্জিতের এই কথা শুনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাসছিলেন।

এর মানে কি উনি ধরা খাইছেন? মূল নেতারা ক্ষমতার বলয়ের বাইরে, আম্লীগ চলছে কি করে -- এইটা তো স্বাভাবিক প্রশ্ন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.