আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইভিএম : আশা-নিরাশার যন্ত্র

ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। কারচুপির যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে বলে বিরোধী দল এর বিপক্ষে। এ বছর জুনে চট্টগ্রামের পর কাল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (এনসিসি) নির্বাচনেও পরীক্ষামূলকভাবে ৯টি ওয়ার্ডে ইভিএম ব্যবহার করেছে নির্বাচন কমিশন। ৭, ৮, ৯, ১৬, ১৭, ১৮, ২২, ২৩ ও ২৪ নং ওয়ার্ডের ৫৮টি ভোটকেন্দ্রে ৪৫০টি বুথ বসানো হয়েছিলো। নির্বাচন শেষে তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে ইভিএমের সফল ব্যবহার হয়েছে।

এনসিসি নির্বাচন এই ভোটিং মেশিনের প্রতি আস্থা বাড়িয়ে দিয়েছে। ’ তবে ইভিএম নিয়ে অভিযোগ করেছেন খোদ সরকার দলীয় মেয়র প্রার্থী শামীম ওসমান। কাল বিকালে একটি কেন্দ্রের নামোল্লেখ করে তিনি মিডিয়ায় অভিযোগ করে বলেন, ‘ইভিএমে কারচুপি হয়েছে! আমি আমার পোলিং এজেন্টের মাধ্যমে জানতে পেরেছি দেওভোগ আদর্শ সরকারি বালক-বালিকা বিদ্যালয়ে দেয়ালঘড়ি প্রতীক সম্বলিত বোতামে চাপ দিলে দোয়াত-কলমে ভোট পড়েছে!’ তবে বিতর্কের মাঝেও নির্বাচন কমিশনকে আশার বাণী শুনিয়েছেন ইভিএমে ভোট দেয়া ভোটাররা। শীতলক্ষা নদীর পূর্বপাড়ে বন্দর বিএম ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে ইভিএমে ভোট দেয়া রীপা রাণী বর্মন বলেন, ‘পদ্ধতিটা ভালো। জানলে খুবই সহজ।

শুরুতে একটু ভয় ছিলো, কিন্তু ভোট দেয়ার পর সেটা কেটে গেছে। এটা সব নির্বাচনে ব্যবহার করা যেতে পারে। ’ সঙ্গী ডলি রাণী বর্মণ বললেন, পদ্ধতিটা সহজ হলেও বয়স্কদের জন্য কঠিন মনে হয়েছে। ভালোভাবে প্রচারনা করা হয়নি। আরো বেশি প্রচার চালানো উচিত ছিলো।

’ জানা গেছে, নির্বাচনের পাঁচদিন আগে এই কেন্দ্রে ইভিএম পাঠানো হয়েছিলো প্রচারণার জন্য। কিন্তু প্রচারণা খুব বেশি জোরালভাবে না হওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে। কোন প্রকার জটিলতা ছাড়াই স্বতঃস্ফুর্তভাবে ভোট দিয়েছেন মর্গ্যাণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোটাররাও। খোদেজা বেগম তার কলেজ পড়–য়া মেয়ের কাছ থেকে আগেই জেনে নিয়েছেন ইভিএম সম্পর্কে। তাই ভোট দিতে সমস্যা হয়নি।

দুই নাম্বার রেলগেট এলাকায় পুড়ি-সিঙারা বিক্রেতা সেলিম মিয়া রীতিমতো উচ্ছ্বসিত ইভিএমে ভোট দিতে পেরে। ভোট দেয়ার পর বললেন, ‘শুরুতে কিছুটা ভয় ছিল। শর্ট করবে কিনা, ভুল হইল কিনা। কিন্তু বোতামে চাপ দেয়ার পর মনে হয়েছে, এরচেয়ে সহজ পদ্ধতি আর হতে পারে না!’ নতুন প্রযুক্তি হওয়ায় ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া কিছুটা শ্লথ ছিলো সব কেন্দ্রেই। এ প্রসঙ্গে প্রিসাইডিং অফিসার মাহতাব উদ্দিন বলেন, ইভিএমের প্রতি ভোটারদের ভীতি কাটেনি।

ফলে অনেকে একটি বা দুটি বাটন চেপেই বেড়িয়ে এসেছেন। ভোট প্রদাণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে তাদের আবার ভেতরে পাঠানো হয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবে ভোট প্রদানে গতি কমে গেছে। তবে ইভিএম প্রযুক্তির মাধ্যমে ভোট বাতিল হওয়া সুযোগ থাকছে না। কোন ভোটার একই বোতামে একাধিকবার চাপ দিলেও প্রথমবারেরটাই গৃহিত হবে।

ইভিএম ব্যবহারকে স্বাগত জানিয়ে নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে পরামর্শ দিয়েছেন মর্গ্যান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোট দিতে আসা দেওভোগ এল.এন.এ রোডের বাসিন্দা রমজান, আল-আমিন ও মোশারফ। প্রযুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে তারা বলেছেন, ইভিএমকে সব ধরনের বিতর্ক মুক্ত রাখতে চ্যালেঞ্জিং বিষয় থাকতে হয়। গোপন ঘরে নাম্বার কাউন্টিং মনিটর থাকতে হবে। তাতে ভোট অ্যাকটিভ হয়েছে কিনা ভোটার সেটা দেখতে পারবেন। ’ ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.