love to singing আমি ইভিএম ভোটের বিপক্ষে নই। কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ইভিএম ভোট দান কতটুকু যুক্তিসঙ্গত যেটাই ভাবার বিষয়। ইভিএম ভোট প্রদান বুঝবে এমন ভোটার সংখা বলা চলে বাংলাদেশে ১ভাগও হবে না। কারণ ইভিএম ভোট দান পদ্ধতি বুঝতে হলে অবশ্যই ভালমানের শিক্ষিত হতে হবে। তা না হলে একবার ইভিএম ভোট প্রদানের পর আবার ৪ বা ৫ বছর পর ভোট দিতে গেলে তা আর স্মরণে থাকবে না।
ইভিএম ভোট বুঝে দিতে পারবে এমন শিক্ষিত ভোটার সংখ্যা বাংলাদেশে শতকরা ২ বা ৩ ভাগ হতে পারে যারা আবার ৪ বা ৫ বছর পর ভোট দিতে গেলেও ৫ বছর আগে যে পদ্ধতি ভোট দিয়েছেন তা ঠিক আছে কিনা তা নিশ্চিত করতে ক্ষণিকের জন্য হলেও বিচলিত হবেন। আর যারা মোটেই শিক্ষিত নয় এবং মধ্যমানের শিক্ষিত তাদের পক্ষে ইভিএম মেশিনে ভোট দেয়াটা তো অবশ্যই চিন্তার বিষয়। যারা অশিক্ষিত লোক তাদেরকে ইভিএম ভোট দেয়ার সময় অবশ্যই দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের সহায়তা নিতে হবে যেমনটা হাজার হাজার ভোটার নারায়ণগঞ্জে নিচ্ছে যারা ভোট দিয়েছে তারা বলতেছে।
আর সরকারী কর্মর্তাদের সহায়তা নিতে হলে তাকে প্রথমে পদ্ধতি শিখতে হবে এবং কোন মার্কায় ভোট কি ভাবে দিবে তা বলতে হবে। তখন যদি ঐ কর্মকর্তা সরকারের যদি পক্ষের লোক হয়ে থাকে তাহলে ভোটারের একজন সাধারণ ভোটার অন্য মার্কায় ভোট দেয়ার ইচ্ছা থাকলেও সে ভয়ে ক্ষশতাসীন পার্টির মার্কার কথাই বলবেন এবং সে ভাবেই ভোট দিবেন।
আর তাতে দেখা যাবে ক্ষমতাসীনরাই জিতে যাবে। আগেই বলেছি নিজের ভোট নিজে দিতে পারবেন এমন ভোটার সংখ্যা ১ ভাগ বা ১ ভাগেরও কম।
সুতরাং যতদিন না বাংলাদেশের মানুষ ইভিএম প্রদানের উপযোগী ১০০ ভাগ না হবে তখন পর্যন্ত বাংলাদেশে ইভিএব পদ্ধতি ভোট গ্রহণ সরকারী দলকেই জিতানোর একটি ফন্দি মাত্র। তাই দেশের জনগণকে অবশ্যই এই বিষয়টা উপলব্ধি করে যতদিন না দেশের সকল ভোটার উচ্চশিক্ষিত না হবে ততদিন পর্যন্ত ব্যালট পদ্ধতিতেই ভোট দান পদ্ধতি বহাল দাবির পক্ষে অবস্থান নিতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।