তিনি বলেছেন, চরম ব্যর্থতার কারণে পাঁচ সিটি কর্পোরেশনের মানুষ সরকারের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে। এখন যদি সারাদেশে নির্বাচন হয়, সেখানেও একই ফল আসবে।
“তাই সরকারকে বলব- এখনো সময় আছে, সমঝোতার পথে আসুন। আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য- একটি নির্দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে এই সমঝোতা হতে হবে। ”
তা নাহলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ মূল রাজনীতির স্রোতধারা থেকে দূরে চলে যাবে বলে সতর্ক করে দেন এককালের এই আওয়ামী লীগ নেতা।
শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলে মওদুদ।
তিনি বলেন, গত সাড়ে চার বছরের সরকার বিরোধী দলকে দাবিয়ে রাখতে চরম দমননীতির আশ্রয় নিয়েছে। এর ফলে দুই দলের মধ্যে অবিশ্বাস ও অনাস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এসব দূর করতে হলে আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
সরকারের উদ্দেশ্যে এই বিএনপি নেতা বলেন, “বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে নিন, আটক নেতাকর্মীদের মুক্তি দিন।
আমার দেশ পত্রিকার প্রকাশনা চালু ও পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে মুক্তি দেয়ারও দাবি জানান তিনি।
নির্দলীয় সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না মন্তব্য করে মওদুদ বলেন, সরকার যত কলাকৌশল করুক না কেন, নির্দলীয় সরকার ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। বিকল্প তৈরি করতে দেয়া হবে না। আগামী নির্বাচন নির্দলীয় সরকারের অধীনেই হতে হবে। ”
মওদুদ বলেন, “আমরা শুনেছি- পাঁচ সিটি নির্বাচনের পর সরকারের কাছে এখন দুটি পথ খোলা রয়েছে।
একটি সংঘাত ও অন্যটি সমঝোতার পথ। ”
সরকারকে তিনি হুঁশিয়ার করেন, “যদি সরকার মনে করে থাকে, সিটি নির্বাচনে হেরে গেছে বলে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করবে। তা হলে তারা ভুল করবে। এর পরিণত হবে ভয়াবহ। গণবিস্ফোরণে এই সরকারকে দাবি পূরণে বাধ্য করা হবে।
”
করফারেন্স লাউঞ্জে ‘জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও বাস্তবতা’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে স্বদেশ জাগরণ পরিষদ।
সংগঠনের সভাপতি কামরুজ্জামান সেলিমের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, সহ-তথ্য বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, যুব দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুস সালাম আজাদ, স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, নাগরিক সংসদের সভানেত্রী খালেদা ইয়াসমীন ও হৃদয় বাংলাদেশের সভাপতি মো. হানিফ বক্তব্য দেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।