চলতি সপ্তাহে সহিংসতায় কমপক্ষে ২৬ জন নিহত হওয়ার পর বিরোধী দলের সঙ্গে সমঝোতায় আসতে রাজি হয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ।
এক বিবৃতিতে তিনি জানান, গত দুইদিনের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের বিষয়টি এড়াতে এখন থেকেই ‘সমঝোতা’ শুরু হবে।
সরকার পার্লামেন্ট ভবন ও ময়দান থেকে বিক্ষোভকারীদের সরাতে পুলিশি অভিযান চালালে মঙ্গলবার এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এদিকে বিরোধীদলীয় নেতা অ্যারসেনি ইয়াস্টেনিক সরকারের সঙ্গে ‘সমঝোতার’ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রাজধানী কিয়েভের ময়দান নামে পরিচিত স্বাধীনতা চত্বরে পুলিশ নতুন করে হামলার চেষ্টা করবে না।
এদিকে প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ দেশটির সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ভ্লাদিমির জামানাকে বরখাস্ত করেছেন।
তাৎক্ষণিকভাবে নৌবাহিনীর প্রধান এডমিরাল যুরি ইলিনকে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সতর্ক করে বলেছেন ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতি সীমা অতিক্রম করার চেষ্টা করলে ‘কঠোর পরিণতি’ ভোগ করতে হবে।
এদিকে রাশিয়া এই সংঘাতকে উগ্রবাদীদের ‘সেনা অভুত্থানের চেষ্টা’ বলে উল্লেখ করেছে।
অন্যদিকে ইউক্রেনের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো হবে কি না এই নিয়ে ব্রাসেলসে বৈঠক করতে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এই বৈঠকের প্রাক্কালে ফ্রান্স, জার্মানি ও পোল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বৃহস্পতিবার কিয়েভে আলোচনায় বসবেন।
গত বছরের নভেম্বরে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে পাশ কাটিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে এক অর্থনৈতিক চুক্তি স্বাক্ষর করায় ইউক্রেনের চলমান বিক্ষোভ শুরু হয়। এরপর থেকে বিক্ষোভকারীরা দেশটির রাজধানী কিয়েভের সিটি হল ও অন্যান্য সরকারি ভবনগুলো প্রায় দু’মাস ধরে দখল করে রেখেছিল। সূত্র: বিবিসি
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।