জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা দ্বিতীয় দফা বিজয়ের পর সোমবার বিকালে গণভবনের মাঠে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, “নির্বাচনের প্রাক্কালে আমি গণতন্ত্র ও জাতির শান্তি এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বিরোধী দলকে সন্ত্রাস ও সহিংসতা পরিহার করে রাজনৈতিক সমঝোতার জন্য বারবার আহ্বান জানিয়েছি। … আমি বিরোধী দলের সম্মানিত নেত্রীসহ সকলকে আবার আহ্বান জানাই, সন্ত্রাস ও সহিংসতা পরিহার করে যুদ্ধাপরাধী ও জঙ্গিবাদী জামাতের সঙ্গ ত্যাগ করে শান্তিপূর্ণ আলোচনায় আসুন। ”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আগামী নির্বাচন সম্পর্কে আলোচনা করেই সমাধান করা হবে। সেজন্য সকলকে ধৈর্য্য ধরতে হবে, সহনশীল হতে হবে এবং সকল প্রকার রাজনৈতিক সহিংসতা বন্ধ করতে হবে।
”
বিরোধী দলের নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত এবং সন্ত্রাস, সহিংসতা, হত্যা, অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে ‘নির্বাচন বানচালের অপপ্রয়াস প্রত্যাখ্যান করে’ জনগণ স্বতস্ফূর্তভাবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে মন্তব্য করে সরকার, দল ও জনগণের পক্ষ থেকে সবাইকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি।
তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশের সরকারপ্রধান হতে চলা শেখ হাসিনা বলেন, “আমি স্পষ্ট করে ঘোষণা করছি, আমার নির্বাচিত সরকারের প্রথম কাজ হবে যে কোনো মূল্যে দেশের জনগণের জানমাল এবং রাষ্ট্রের সম্পদ রক্ষা করা। ”
এর আগে বিকাল ৪টায় গণভবনের একটি সম্মেলন কক্ষে বিদেশি গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে গণভবনের মাঠে খোলা জায়গায় শুরু হয় বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরও দেন তিনি।
রোববার যে ১৪৭টি আসনে ভোট হয়েছে, তার মধ্যে ১০৪টিতে জয়ের ফলে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ১৫৩ জনকে নিয়ে দলটির মোট আসন দাঁড়াচ্ছে ২৩১টিতে, যা সরকার গঠনের ন্যূনতম আসনের চেয়ে ৮২টি বেশি।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের বর্জনের মধ্যে ভোটের দিন দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতায় নিহত হয়েছেন ১৮ জন। এই ভোট বাতিলের দাবিতে দেশব্যাপী লাগাতার অবরোধের পাশাপাশি বুধবার সকাল পর্যন্ত হরতালও দিয়েছে নবম জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি, যারা নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছিল।
নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, রাজনৈতিক সমঝোতা হলে এই সরকার গঠনের পরও সংসদ ভেঙে মধ্যবর্তী নির্বাচন দেয়া হবে।
সেই সমঝোতার সম্ভাবনা নাকচ করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান রোববার লন্ডনে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “এই যে প্রহসনের নির্বাচন গতকাল হয়ে গেছে, প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে যারা ক্ষমতায় আসে, এটা নিশ্চিত যে তারা বৈধ সরকার নয়। যে বৈধ না- তার সাথে আলোচনার কি কারণ থাকতে পারে?”
‘চূড়ান্ত’ লক্ষ্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখতে দলীয় নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।