ব্রিটিশ ব্যবসায়ীদের সুটকেস গুছিয়ে ত্রিপোলির দিকে রওনা দিতে বলেছেন যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড। লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির পুনর্গঠনের ভূমিকা রাখার জন্য পুরস্কার হিসেবে তারা সেখানে ব্যবসা করতে পারবেন বলেও তিনি জানান।
মুয়াম্মার গাদ্দাফির মৃত্যুর ঠিক একদিন পরেই এমনটি বললেন হ্যামন্ড। তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়ীদের সময় নষ্ট করার মতো সময় নেই। ’
হ্যামন্ড বিবিসি রেডিওকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে বলেন, ‘অবশ্যই আমি চাই, ব্রিটিশ কোম্পানিগুলো আজই রওনা দিক ত্রিপোলির দিকে।
লিবিয়ার পুনর্গঠনে ভূমিকা রাখার জন্য ব্রিটিশ ব্যবসায়ীদের এখনই সুটকেস গুটিয়ে লিবিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে চলে যাওয়া উচিত। ’
গত মাসে যুক্তরাজ্যের বাণিজ্যমন্ত্রী লর্ড গ্রিন এবং যুক্তরাজ্যের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতারা এনটিসি’র (লিবিয়ার বিদ্রোহীদের গঠিত জাতীয় অন্তর্বর্তী পরিষদ) সঙ্গে আলোচনার জন্য ত্রিপোলি গিয়েছিলেন। প্রতিনিধি দলের মধ্যে ছিলেন বিপি এবং শেলের মতো ব্যবসায়ী কর্তাব্যক্তিরাও।
প্রাথমিক এক অনুমানের ভিত্তিতে দেখা গেছে লিবিয়ার পুনর্গঠনে বৈদেশিক প্রতিষ্ঠানগুলো কমপক্ষে ১৩ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি অর্থ উপার্জন করবে।
লিবিয়াতে ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থান শুরু হওয়ার আগে ব্রিটিশ ব্যবসায়ীরা লিবিয়ার থেকে প্রায় ১৫০ কোটি ডলার ব্যবসা করেছিল।
বলা হয়, এর কারণেই সেসময় লকারবি বোমাহামলাকারী আবদেল বাসেত আল মেঘরাহির ব্যাপারে তেমন কোনো কথাই বলেনি যুক্তরাজ্য।
২০০৪ সালে টনি ব্লেয়ার রয়েল ডাচ শেল কোম্পানির হয়ে গাদ্দাফির সঙ্গে তিন হাজার ২৫০ লাখ ডলারের একটি চুক্তি করেছিলেন।
এর আগে ব্রিটিশ কোম্পানিগুলো সাদ্দাম হোসেনের পতনের তিন বছরের মধ্যে ইরাকের পুনর্গঠনে কয়েকশ হাজার কোটি ডলার ব্যবসা করে নেয়। এসময় ৬১টি ব্রিটিশ কোম্পানি অন্তত ১১০ কোটি ডলার মুনাফা করে নেয় লিবিয়া থেকে।
সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লিয়াম ফক্সের বির্তকিত অবস্থানের পর গত সপ্তাহে হ্যামন্ডকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে স্থলাভিষিক্ত করা হয়।
হ্যামন্ড বলেন, ‘গাদ্দাফির মৃত্যু উদযাপন করার যথেষ্ট কারণ আমাদের রয়েছে। কারণ আমরা লকারবি বোমা হামলা এবং জোবান ফ্লেচারের পরিবারকে ভুলতে পারি না। গত একদশক ধরে গাদ্দাফির মদদপুষ্ট আইরিশ রেভ্যুলেশনারি আর্মি কয়েক হাজার ব্রিটিশকে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে। ’
ইতোমধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে ডাউনিং স্ট্রিটে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন লিবিয়ার বিষয় নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজি এবং জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের সঙ্গে এক ফোন কনফারেন্সে কথা বলেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।