কিছু প্রাণী আছে যারা বিভিন্ন সিজনে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক কার্যকলাপ করে থাকে । তা দেখে পথচারী থেকে শুরু করে বাচ্চা পোলাপাইন সবাই কখনো লজ্জা পায়, কখনো মজা করে। যেমন ধরুন, আশ্বিণ মাসে সারমেয়গণ যুগলবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে আমাদের স্কুলে যাবার পথে কতনা লজ্জায় ফেলত। আর মহিলারা যদি তা দেখতো তাহলে তো মনে মনে এইসব প্রাণীর উপর আল্লার লানত কামনা করত। জনশ্রুতি আছে, দ্রৌপদীকে লজ্জায় ফেলার কারণে কুকুরদের উপর এই অভিশাপ দেন তিনি।
এ ছাড়া যারা গ্রামে বড় হয়েছেন কিংবা নিদেন পক্ষে দুই-তিন বছর থেকেছেন তারা জানেন যে গাভীন (গর্ভবতী) হওয়ার সময় গরু, ছাগল, মহিষ ইত্যাকার প্রাণীকে উপযুক্ত পুরুষ প্রাণীটির কাছে নিয়ে যায় কৃষকরা। যাতে বাচ্চাটা একটু বড় জাতের হয়। তেমনি একটি ঘটনা বলছি এবার, আমাদের গ্রামে এক লোককে তার আবালামীর জন্য পোলাপাইন থেকে শুরু করে বুড়া সবাই পাডা (পাঠা) বলে ডাকত। তার প্রকৃত নাম এখন মনে নাই, তবে তাকে ব্যঙ্গ করে 'বেচা পাডা' ডাকা হত।
একবার একলোক সাথে করে একটা ছাগী নিয়ে পাডা খুঁজতে খুঁজতে আমাদের গ্রামে এসে হাজির হয়।
ত্যাদোর পোলাপাইন তাকে বেচা পাডার বাড়ি দেখিয়ে বলে ' এই গ্রামের সবচেয়ে বড় পাডাটা ওই বাড়িত থাকে'। সেই লোক যথারিতী তার ছাগীকে নিয়ে সে বাড়ি যায় এবং কিছু গালমন্দ খেয়ে ফেরত আসে। এই ঘটনা এখনো আমাদের গ্রামের আড্ডাগুলোয় রসদ সরবরাহ করে।
যাইহোক, বলছিলাম ছাগীর ম্যাৎকার বিষয়ে। সময় আসলে গরু ছাগল বা এই জাতীয় মেয়ে প্রাণীগুলো খুব চিল্লাইতে শুরু করে।
( এই চিল্লানোকে ম্যাৎকার অভিধা প্রদান করা হয়েছে) তা শুনে গৃহস্থ বুঝতে পারে যে তাকে উপযুক্ত পুরুষ প্রাণীটির কাছে নেয়ার সময় এসেছে। যারা বেঁধে এইসব প্রাণী পালে তারা সে সময় ওগুলো ছেড়ে রাখে অথবা উপযুক্ত যায়গায় নিয়ে যায়।
ইদানিং গবাদী প্রাণীকুলের বাইরেও ম্যাৎকারের ঘটনা ঘটছে বিধায় এই প্রসঙ্গ আনতে হল। প্রসঙ্গত, মানবকুলে ম্যাৎকার বলতে অসংলগ্ন কথা-বার্তাকেই বুঝানো হয়। তবু কেউ কেউ প্রাণীকূলের ওই অবস্থাও নিজ দায়িত্বে কখনো কখনো বুঝে থাকে।
তাই বলছিলাম কি, এভাবে চিল্লাইতে থাকলে তাতে পরিবেশ যেমন নষ্ট হয় তেমনি গৃহন্থ এবং তার প্রতিবেশী সবারই বিরক্ত উৎপাদন করে। তাই দ্রুত এইসব ম্যাৎকারের অবসানকল্পে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া উচিত। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।