যে ব্যথা দেয়,তারও তো ব্যথা থাকতে পারে-মাটির ময়না মেডিকেলে ভর্তির পর যখন হোস্টেলে ওঠা নিয়ে যখন তোড়জোড় চলছে,সিদ্ধান্ত নিলাম এলাকার পরিচিত মেয়ের সাথেই উঠব। রুম দেখা হল। দুজনে উঠে পড়লাম।
প্রথম প্রথম ভালোই চলছিল। ৩/৪ মাস যেততে না যেতেই বুঝলাম,তার সাথে আমার থাকা চলবে না।
আমরা একই ব্যাচের ছিলাম। ওর জন্য আামার অন্য কোন বান্ধবীকে রুমে আনতে পারতাম না। ও সিগারেটও খেত। রুমের মধ্যে জোরে ফোনে কথা বলত। আমি কিছু বললে আমাকে বারান্দায় যেতে বলত।
ও ক্লাসও ঠিকমত করত না। একসময় অতিষ্ঠ হয়ে বাসায় বললাম। ও রুম ছেড়ে দিল। ওর পরে অবশ্য এক বছর লস গিয়েছিল।
এরপর ঠিক করেছিলাম একাই থাকব।
বছরখানেক পর এক বান্ধবীর অনুরোধে তাকে রুমে ওঠাই। এই রুমমেট ভালোই ছিল। কিন্তু রুমমেটের আম্মু প্রায়ই বিভিন্ন বিড়ম্মনাই ফেলতো। কারণে অকারণে ফোন দিত আমাকে। ও মাঝে মাঝে ক্লাসে যেত না।
আর আমার আন্টিকে মিথ্যা বলতে হত ওকে বাচানোর জন্য।
ওর আম্মুর কারণে আামার অন্য বান্ধবীদের সাথে সম্পর্ক নষ্ট হচ্ছিল। আমি রুম পাল্টানোর সিদ্ধান্ত নিলাম। ওকে না জানিয়ে আমার অন্য এক বান্ধবীর সাথে উঠলাম। এখন পর্যন্ত ভালোই আছি।
আমার কথা হল,আমরা সবাইতো পড়াশোনার খাতিরে আাম্মু আব্বুকে ছেড়ে হোস্টলে থাকি। নিজেরা কি ইচ্ছা করলেই ভালো থাকতে পারিনা? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।