সবাইকে আমার নিজস্ব ব্লগ ভিজিট করার আমন্ত্রন রইলঃ www.islameraalo.wordpress.com “মুহাম্মাদের আবির্ভাব কালে পৌত্তলিক আরবীয়রা যে তাঁহার একেশ্বরবাদ সহজে গ্রহণ করিয়াছিলে তাহা নহে, তাই বলিয়া তিনি তাহাদিগকে ডাকিয়া বলেন নাই, তোমাদের জন্য যাহা সহজ তাহাই তোমাদের ধর্ম, তোমরা বাপ দাদা ধরিয়া যাহা মানিয়া আসিয়াছে তাহাই তোমাদের সত্য। তিনি এমন অদ্ভুত অসত্য বলেন নাই যে, যাহাকে দশ জন মিলিয়া বিশ্বাস করা যায় তাহাই সত্য, যাহাকে দশ জন মিলিয়া পালন করা যায় তাহাই ধর্ম। একথা বলিলে উপস্থিত আপদ মিটিত কিন্তু চিরকালের বিপদ বাড়িয়া চলিত”। (গ্রন্থঃ সঞ্চয়; প্রবন্ধঃ ধর্মের অধিকার)
“এমন সময়ে মুহাম্মাদের আবির্ভাব হইল। মর্ত্য লোকের স্বর্গ রাজ্যের আসন্ন আগমন প্রচার করিয়া লোক সমাজে একটা হুলস্থুল বাধাইয়া দেওয়া তাঁহার উদ্দেশ্য ছিল না।
সেই সময় আরব সমাজে যে উচ্ছৃঙ্খলতা ছিল তাহাই যথা সম্ভব সংযত করিতে তিনি মনোনিবেশ করিলেন। পুর্বে বহুবিবাহ, দাসী সংসর্গ ও যথেচ্ছ স্ত্রী পরিত্যাগের কোন বাধা ছিল না, তিনি তাহার সীমা নির্দিষ্ট করিয়া দিয়া স্ত্রীলোককে অপেক্ষাকৃত মান্য পদবীতে আরোপণ করিলেন। তিনি বার বার বলিয়াছেন, স্ত্রী বর্জন ইশ্বরের কাছে নিতান্ত অপ্রিয় কার্য। কিন্তু এই প্রথা সমূলে উতপাটিত করা কাহারও সাধ্যায়ত্ত ছিল না। এজন্যই তিনি স্ত্রী বর্জন একেবারে নিষেধ না করিয়া অনেকগুলো গুরুতর বাধার সৃষ্টি করিলেন”।
(গ্রন্থঃ সমাজ; প্রবন্ধঃ প্রাচ্যসমাজ) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।