আমি বিলাত থাকি, কামলা খাটি একটা ফুড ট্রাভেল এক্সপার্ট কোম্পানীর এ্যাডমিনে কাজ করি আমি। ম্যানেজার, অ্যাসিস্টেন্ট ম্যানেজার মিলিয়ে আমরা মোট নয়জন এই বিভাগে। এইখানে আমি ছাড়া আবার বাকী সবাই সাদা। আমাদের ম্যানেজার স্কটিশ আর বাকী সব ব্রিটিশ। প্রতিদিন এইখানে বিচিত্র যে কাজ-কারবার হয় তা বুঝাতে শুধু ১৮+ না ৩৬+ দিলেও কম হয়ে যায়।
সবগুলা আবার আমার সোহাগী বউয়ের সাথে শেয়ার করতে পারিনা। করলে বলবে, এই মুহুর্তে চাকরী ছাড় নইলে আমারে। তাই কুল রাখি না শ্যাম রাখি, কিছু জিনিস হজম করে ফেলতে হয়। একটা জিনিস শেয়ার করেই ফেললাম আপনাদের সাথে।
ম্যানেজারের জিগিজিগি: ম্যানেজার বাবু ছয়ফুট পাঁচ ইন্চি লম্বা বিশালদেহী একটা খাম্বা।
বাল্যকালে সে নাকি রাগবি খেলোয়াড় ছিলো। যদিও আমাদের এইখানে আরো তিনজন রাগবি খেলোয়াড় আছে। ম্যানেজারের নাম গ্যাভিন। আমি আদর কইরা ডাকি গাভীন। নামের অর্থও বলে দিসি।
অবশ্য এইনামে ডাকার একখান শানদার শানে-নজুল আছে। যা একটু পরেই বুঝতে পারবেন। প্রথম প্রথম আমি একাই গাভীন বইলা ডাকতাম পরে অর্থ জানার পর সবাই এই নামে ডাকে। ঘটনা হইসিলো আমি জয়েন করার কিছুদিন পরে। একদিন ডেস্কে বইসা কাজ করতেসি, ম্যানেজার পাস দিয়া যাওয়ার সময় ব্যাটা বিশাল শব্দে একখান হাওয়ার গোল্লা (পাত) ছাড়লো।
এইদেশে এইটা যা অভদ্রতা হইলেও আমাদের ডিপার্টমেন্টে এইটা নাকি নরমাল। ঐ ব্যাটাও এক চক্ষু মুদিয়া কইলো, উপস্ সরি। যা করতেসিলাম তা মোটামুটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিলো বলে যত গর্জে তত বর্ষে না সূত্র ধইরা কাজ চালাইয়া যাইতে লাগলাম। কিন্তু এক কি দুই সেকেন্ড যাইতে না যাইতে বুঝলাম হাওয়ার গোল্লার কারিশমা। এক লাফ দিয়া গুল্লির মতো রুমের অন্যপাশে ছুটে গেলাম।
ওইখানে ছিলো নাথান নামে এক নাদানের ডেস্ক।
সে জিগ্গাসা করলো, কি এটম বোম এ্যাটাক দিসে।
আমি পেট চাপতে চাপতে কইলাম, হ।
নাথান কইলো, হালায় মনে হয় কাইলকে রাইতে জিগিজিগি করসে। আমার পাশ দিয়াও একখান ছাইড়া গেসে।
আমি অবাক হইয়া কইলাম, জিগিজিগি'র লগে পাতের কি সম্পর্ক?
নাথান কয়, আরে জানোসনা ওই ব্যাটা একখান গে'। কাইলকা রাইতে মনে হয় বেশী জিগিজিগি করসে তাই পাছা ঢিলা হইয়া গেসে বইল্যা এটম বোমা মারতাসে।
ঘটনা কিন্তু পুরাই হাছা। আমাদের ডিপার্টমেন্টে এয়ারফ্রেশনারের জন্য প্রতিমাসে কিছু বাজেট থাকে। এইবার বুঝলেন কেন তারে আমরা গাভীন কইয়া ডাকি???
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।