আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কর্মক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা (ওয়র্কপ্লেস মোটিভেশন)

I am what I am and that's how I would be. No I am not stubborn. I just want to be myself.

অনুপ্রেরণা। ইংরেজিতে বহুল ব্যবহৃত একটি শব্দ মোটিভেশন। অনেক ভেবেছি এই একটা শব্দ নিয়ে। ছাত্রজীবনে এই নিয়ে পড়াশুনা করেছি, এখনও করে যাচ্ছি। কর্মক্ষেত্রে এই শব্দ নিয়ে গবেষণা নিরন্তর।

ব্যবস্থাপক কিংবা কর্মচারী, যেকোনও গোষ্ঠীই কারণে অকারণে এই শব্দ ব্যবহার করে থাকে। যেকোন সাফল্যের পেছনে কারণ হিসেবে যেমন মোটিভেটেড এম্প্লয়ী একটা ব্যাপার হয়, তেমনি ব্যর্থতার ইতিহাস ঘাঁটলে হয়তো দেখা যায় এম্প্লয়ী ডিমোটিভেশন একটা বড় ফ্যাক্টর। এই একটা বিষয় নিয়ে আমার ব্যক্তিগত আগ্রহ সীমাহীন। মানব-চরিত্র বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, শেষপর্যন্ত মোটিভেশন আপনার নিজের কাছেই। এবং ব্যক্তিগত জীবনে যা আপনাকে অনূপ্রাণিত করে, কর্মক্ষেত্রেও তার প্রভাব পড়বে।

ব্যক্তিগত জীবন মানুষের কর্মজীবনকে দারূণভাবে প্রভাবিত করে। আমি নিজে যদি অনুপ্রাণিত হতে না-চাই, তাহলে অন্যকারও পক্ষে আমাকে অনুপ্রাণিত করা কষ্টসাধ্য কাজ হবে। তবে অসম্ভব হয়তো হবেনা। আমরা যখন কর্মশালার আয়োজন করি, বড় বড় নাম দেই "মোটিভেশনাল ওয়র্কশপ" --- আসলে আমরা তখন কী করি? সারাবছর যে কর্মী হতাশ এবং কর্মবিমূখ, কারণ সে যথেষ্ট অনুপ্রাণিত নয়, সে কি করে একটা দিনব্যাপী কর্মশালার অভিজ্ঞতায় তার কাজে আগ্রহ ফিরে পায়? কোথা থেকে আসে এই উদ্যম? ব্যাপার টা আসলে এইরকম। আপনি যদি সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন যে অমুক দিকে আপনি তাকাবেন না, তাহলে সেইদিকের ভাল-খারাপ কিছুই আপনার চোখে পড়বেনা।

নিজেদের জীবনেও আমরা মূলতঃ এইই করে থাকি। যা দেখতে চাই তা খুঁজে-পেতে নিয়ে দেখি। কিন্তু চোখের সামনের অনেক কিছু ইগনোর করি কারণ আমরা তা দেখতে আগ্রহী নই। ওয়র্কশপগুলো আমাদের চোখ খুলে দেয়। মানে আমরা অন্ধ, সেটা বলছিনা।

বলছি সন্তুষ্টির উপাদানগুলো চোখের সামনে চলে আসে। তবে সন্তুষ্টির সেই জাদুকরী উপাদানগুলো আসলে কী? বেতন, পদোন্নতি, ইত্যাদি অভিপ্রায় একসময় অতৃপ্তিতে পরিণত হয়। অথচ মজার ব্যাপার হলো, একজন কর্মীর দৈনিক কর্মোদ্যমে এই উপাদান গুলোর ভূমিকা একেবারেই নগণ্য। আমাদের একটা গতানুগতিক চিন্তা হলো বেতন বাড়ালে অথবা প্রমোশন দিলে ওয়র্কপ্লেস মোটিভেশন বাড়বে। ভুল।

আপনার বেতন বাড়লে আপনি গাড়ি কিনবেন, পদোন্নতি হলে মিষ্টি বিলাবেন, কিন্তু আপনি কি নিশ্চিত তাতেই আপনার কর্মোদ্যম বেড়ে যাবে? এবং এই খুশিটা আপনাকে একটানা প্রতিদিন নব-উদ্যমে কাজ করার জন্য অনুপ্রাণিত করবে? কতদিন করবে? এক মাস?? নাকি ছয়মাস? বেশিদিন লাগবেনা আপনার এই খুশি ভুলে যেতে। বড়জোর প্রথম-মাসের বেতন পাওয়া পর্যন্ত এক্সাইটমেন্ট-টা থাকবে, তারপর যেই-কে-সেই!! চলুন আজকে একটু নতুন করে ভাবি। ছোট্ট একটা কাজ করি। আগামীকাল যখন অফিসে যাবো, ভাল করে চারপাশে দেখবো। কোন জিনিষ টা আমার ভাল লাগছেনা, সেটা না-ভেবে উল্টোটা বের করার চেষ্টা করি।

বেশি না, কালকের দিন-টাই শুধু। উইকেন্ডের আগে, একটু অন্যরকম চিন্তা করলে ক্ষতি কী? যদি নতুন করে কিছু চোখে পড়ে আমার সাথে শেয়ার করলে খুশি হবো।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.