আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কর্মক্ষেত্রে নিজেকে চাঙ্গা রাখুন

ভালো থাকুন সবার সাথে

চাকরিজীবী মাত্রই কর্মব্যস্ত। কাজের চাপে নিজের দিকে তাকানোর সময়টুকুও থাকে না। একটানা কয়েক ঘণ্টা কাজ করলে অনেকেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন। ক্লান্তিতে শরীর ও মন দুটোই আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।

মাথাও হয়ত তখন আর ঠিকমতো কাজ করতে চায় না, কাজেও তেমন মনোযোগ থাকে না।

তবে কর্মক্ষেত্রে হাজারো কাজের চাপ সামলে ভালো থাকাটা কিন্তু খুব কঠিন কিছু নয়। অফিসের কাজের এই একঘেয়েমি দূর এবং মনকে প্রফুল্ল ও চাঙ্গা রাখা নিয়ে লিখেছেন জাহিদ আনোয়ার।

যত ব্যস্তই থাকুন না কেন, প্রতি এক দেড় ঘণ্টা কাজ করার ফাঁকে অফিসের ভেতর একটু পায়চারি করে নিতে পারেন। কাজের ফাঁকে ফাঁকে একটু হাত-পা ঝাড়া দিন। এতে মাথাটা একটু হালকা হবে।



সহকর্মী কেউ ব্যস্ত না থাকলে তার সাথে টুকটাক গল্প করতে পারেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে সহকর্মীর কাজের যেন কোনো ব্যাঘাত না ঘটে। সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকলে কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ আর বৈরী মনে হবে না। বরং কাজে উৎসাহ বাড়বে।

কাজের ফাঁকে সময় করে এক কাপ চা খেয়ে নিতে পারেন।

এতে শরীর ও মন দুটোই চাঙ্গা হবে। কাজেও গতি ফিরে পাবেন। এতে আপনার মন প্রফুল্ল হয়ে উঠবে।

যারা কম্পিউটারে কাজ করেন, তারা একনাগাড়ে অনেক্ষণ স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকার পর মিনিট খানেক স্ক্রিন থেকে দূরে তাকিয়ে থাকুন। তাতে চোখকে খানিকটা বিশ্রাম দেয়া যাবে।

খবরের কাগজেও চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন। একটানা কাজের পর শরীর ও মনকে একটু আরাম দিলে ক্লান্তি আসে না।

খালি পেটে কাজ করলে ক্লান্তি আসতে পারে। প্রতি ২-৩ ঘণ্টা পর হালকা কিছু খেয়ে নিলে শরীরের এনার্জি লেভেল বজায় থাকে। তবে খাবারটা জাঙ্ক ফুড না হলেই ভালো।

ফল, মুড়ি, ড্রাই ফুট বা বিস্কিট খেতে পারেন।

অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভব করলে অল্প সময়ের জন্য ওয়াশরুমে যান। ক্লান্ত চোখে পানির ঝাপটা দিন। সুগন্ধী ওয়েট টিস্যু দিয়ে মুখ, গলা, ঘাড় ও হাত মুছে নিন। চুলে হালকা পানি দিয়ে আঁচড়ে নিতে পারেন।

মেয়েরা একটু কাজল ও লিপস্টিক ও লাগিয়ে নিতে পারেন। অকারণে সাজগোজ অনেক সময় মন ভালো করে দেয়।

পরিবারের কারও সঙ্গে কিংবা প্রিয় মানুষের সঙ্গে ফোনে কিছুক্ষণ কথা বলতে পারেন। এমনি খোঁজখবর নেয়া। এতে কাজের উৎসাহ ফিরে পাবেন।

অথবা প্রিয় কোনো বন্ধুর সঙ্গেও কথা বলতে পারেন। কাজের একঘেয়েমি দূর হয়ে যাবে সহজেই।

মাসে অন্তত দু’একবার অফিস শেষে সহকর্মীরা মিলে কোথাও আড্ডা দেয়ার প্ল্যান করতে পারেন।

অনেক সময় রুটিন মেনে কাজ করতেও একঘেয়ে লাগে। সে ক্ষেত্রে নিজের জন্য নিজেই একটা চ্যালেঞ্জ দাঁড় করান।

তাড়াহুড়া না করে কাজটা সম্পন্ন করতে নিজেকে একটা নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজটা করতে পারলে তখন দেখবেন অনেক ভালো লাগছে। এতে কাজের একঘেয়েমিও অনেকটাই কমে যাবে।

সর্বোপরি, কাজে যাতে একঘেয়েমি না আসে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। মনকে প্রফুল্ল ও চাঙ্গা রাখুন সব সময়।

তাহলেই কাজে মনোযোগ বাড়বে। ফিরে পাবেন উৎসাহ। নতুন উদ্যমে কাজ করতে পারবেন। অফিসকে তখন আর বিরক্তিকর ও একঘেয়ে মনে হবে না।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.