I am what I am and that's how I would be. No I am not stubborn. I just want to be myself.
যত দিন যাচ্ছে, কর্মক্ষেত্রে এমনকি ব্যক্তিগত জীবনেও ঋণাত্মক উদ্দীপকের ব্যবহার কমছে। বাংলা করতে গিয়ে মনে হয় শব্দটা তালগোল পাকিয়ে ফেললাম। নেগেটিভ মোটিভেটর, এর চল প্রতিদিন কমছে বই বাড়ছে না।
বহুল প্রচলিত একটি নেগেটিভ মোটিভেটর হচ্ছে 'ভয়'। কাজ আদায় করার একটি উপযোগী পন্থা হিসেবে এককালে এর ভালোই চল ছিল।
স্কুলে আমরা বেতের বাড়ি খাওয়ার ভয়ে পড়া শেষ করতাম। বাসায়ও মায়ের বকুনি খাওয়ার ভয়ে সন্ধ্যার আগেই ঘরে ফিরতাম।
আজকাল চলছে পজিটিভ মোটিভেটরের যূগ। বেতের বাড়ি নয়, মাথায় হাত বুলিয়ে কাজ আদায় করার প্রচেষ্টা। স্কুলে বাচ্চাদের মারা নিষেধ।
ঘরেও হাল্কা শাসনের বেশি শাস্তি দেওয়া চলবেনা। অন্যথায় মনের উপর বাড়াবাড়ি রকম চাপ সৃষ্টি হবে। অত্যধিক অত্যাচারে বিগড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।
কর্মক্ষেত্রেও অনুরূপ চিত্র দেখতে পাই আজকাল। একটা সময় ছিল জ্বিই-স্যার, হুজুর-হুজুর ছাড়া চলতো না।
একটু থেকে একটু কিছু হলেই, পান থেকে চুন খসলেই চাকরি চলে যাওয়ার ভয়। বাংলা সিনেমা গুলোতে যত সহজে বস তার কর্মচারীকে “স্কাউন্ড্রেল, ইউ আর ফায়ার্ড” বলে চাকরি থেকে বের করে দেন, বাস্তবে সেটা আজকাল হয়না। এখন কাজের পরিবেশকে উন্নত করার জন্যে বছরব্যাপী কর্মশালা, বিনোদন, আভ্যন্তরীণ ৩৬০ ডিগ্রী জরিপ ইত্যাদি করার জন্য আলাদা ডিপার্ট্মেন্ট নিয়োজিত থাকে। অর্গানিযেশনের কাজের পরিবেশ প্রতিকূল হলে কর্মীর উদ্দীপনা কমতে থাকে এবং সামগ্রিক উৎপাদন হ্রাস পায়। ওয়র্কপ্লেস মোটিভেশন বাড়ানোর জন্যে তাই অভিনব উদ্যোগের শেষ নেই।
দেশে কর্পোরেট আইন-প্রয়োগের বহুল ব্যবহার আজকাল প্রভাব ফেলছে কাজের পরিবেশে। ব্যবসায়-প্রশাসন শিক্ষার বহুল প্রচলনের ফলশ্রুতিতে কর্মীরা নিজেদের অধিকার নিয়ে আজকাল অনেক সচেতন। যার ফলে ঋণাত্মক উদ্দীপকের ব্যবহার কমাতে সচেতন ব্যবসার কর্ণধারেরা। নিজেদের শ্রেষ্ঠ-চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার জন্য অফসের ভেতরে বাইরে জনমত গড়ে তোলা নিয়ে রীতিমত প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে কর্পোরেটগুলোতে।
নেগেটিভ মোটিভেটর দিয়ে খুব দ্রূত আশানুরূপ ফল পাওয়া যায়।
তবে বেশিদিন এ’দিয়ে ভালো ফল পাওয়া যায়না। স্বাভাবিক ভাবেই, মানুষ ভয় একসময়ে কাটিয়ে ওঠে। বাচ্চাদেরকে বেশিদিন ভূতের ভয় দেখিয়ে খাওয়ানো যায়না, কারণ তারাও বড় হয়, তাদেরও কমন সেন্স বাড়তে থাকে। তেমনি কাজের ক্ষেত্রেও ঋণাত্মক উদ্দীপকের ব্যবহার করা বোকামি। আপনি যদি একজন স্মার্ট সুপারভাইজার হয়ে থাকেন তবে নিজেকে তৈরী করুন এমনভাবে যাতে আপনার টীম সবসময়ে পজিটিভলি মোটিভেটেড থাকে।
তাতে দীর্ঘমেয়াদি ফল পাওয়া যায়। তাছাড়া ভুলে গেলে চলবেনা আজকাল জুনিয়ররাও সিনিয়রদের দক্ষতার মান বিচার করে থাকে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।