বেচেঁ থাকার স্বাদ নিচ্ছি... সে অনেক দিন আগের কথা । অনেক ছোটবেলার ঘটনা যখন আমি অনেক ছোট ছিলাম । তখন আমি এলাকার প্রাইমারিতে ক্লাস থ্রিতে পড়ি । বাবা মা ভাই বোন সহকারে আমরা আমাদের চাচার বাসায় থাকি । কারন চাচী অসুস্হ তাকে অনেক দিন ইন্ডিয়ার একটি হসপিটালে রাখতে হয়েছিল চিকিৎসার জন্য ।
সে বিরাট সময়ে আমার চাচার বিশাল অট্রালিকার দেখভাল এর দায়িত্ব এসে পরল আমাদের উপর। যাই হোক ঘটনা সেটা নয় । ঘনটা কোনো এক দুপুর বেলার । সকাল বেলা স্কুল শেষ করে সারে বারোটার মধ্যে বাসায় চলে আসি । তখন থেকে খাবার আগ পর্যন্ত কেমন যেনো লাগে ।
কি করি কি করি টাইপের ভাবনা । আম্মা রান্নতে ব্যাস্ত । বোনেরা স্কুলে । আব্বু পাশের রুমে । এদিকে আমি মহা বীর আইনস্টাইনের বংশধর নতুন কি দুষ্ট বুদ্ধি বের করে কি করা যায় তা নিয়ে ভাবছি।
তখন থেকেই ইলেক্ট্রিক্যাল জিনিস এর প্রতি প্রচুর আগ্রহ । পুরোনো নস্ট লাইট, পুরোনো তার , ছোট পেন্সিল ব্যাটারি , নস্ট রেডিও এসব হলো আমার খেলনা । তো যাইহোক আমি একটা লাইট নিয়ে দেখছিলাম (আগের সেই ফিলামেন্ট লাইট হলুদ আলো ) আশে পাশে অনেক কিছু ছিল যেমন তার, গুনা , লম্বা মোটা তার । হঠাৎ করেই আমার মাথায় এলো এক নিউটনিয় বুদ্ধি । আমার বুদ্ধিটা বাস্তুবায়ন করতে যাচ্ছি ভাবতেই আনন্দে গা শিউরে উঠছে ।
যাইহোক বুদ্ধি বাস্তবায়ন এর জন্য আমি দুটি চিকন শিক যোগার করে ফেল্লাম । শিক দুটি বাল্ব এর নিচে যেখানে দিয়ে কারেন্ট পাস হয় সেখানে এটে জুরে ধরলাম । বাস এইতো আর একটু ..... আমার উদ্দেশ্য থেকে আার একটু খানি দুরে আছি । কোনমতে শিকদুটি কারেন্টের সকেটে ঢুকিয়ে দিতে পারলই আমার আমার বডি দিয়ে কারেন্ট প্রবাহিত হয়ে ফরফরিয়ে লাইট টি জ্বলে উটবে। আর মুখে থাকবে বিদ্যুৎ কালো নিমের মাজন হাসি ।
আমার ঐ সময় আমার বয়স এতোই কম অনায়েসে সকেটে নিজের আঙুল ঢুকানো যেতো। শিক দিয়ে জরোনো লাইট এক হাতে আর আরকে হাতের আমার ঐ বয়সের ছোট ছোট আঙুল গুলে অপেক্ষা করছে সকেটের ছিদ্রদুটিতে হাত ঢুকানোর জন্য । তারপর ?????
ঐ মিয়া !!! কারেন্ট কি আমার বাপ লাগে যে ছেরে দিবে , আর বাপ তো পাশের রুমে ঘুমায় । মনে হলো আমার শরিরটা ভারি হয়ে আসছে । বিরাটবড়ো ওজন এর একটা কিছু আমার শরিরের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে।
আর আমি কিছু বুঝতে পারছিনা ।
পরিশেষ : আল্লাহর অশেষ রহমতে মাঝারি সাইজের একটা ঝারি দিয়ে কারেন্ট বাবাজি আমারে ছেরে দিল । আমি ছারা পাবার পর কি করব ভেবে পাচ্ছিনা । এট লিস্ট অনেক সময় লাগলে আমার বুঝতে যে আমি একটা কারেন্টের শক খাইছি । ভাবতেই প্রচন্ড ভয় লেগে গেলো আমার ।
ভয়ে আমি কাওকে কিছুই বলিনি , এমন কি আম্মাকেওনা । তবে শক খাওয়ার অনেকক্ষন পর্যন্ত আমার শরির কাপছিল (সম্ভবত ভয়ে) । একটু পর আম্মা এসে আমাকে গোসল করতে যতে বলেন । আমি সুবোধ বালকের মতো গোসল সেরে দুপুরে খেতে বসি । মেনু দেখে মনটাই ভরে গেলো আহ!!..........কি শান্তি ...আমার প্রিয় ইলিশ মাছ !!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।