searching for my ultimate dream...
ব্লগে নতুন ঢুকলাম। কি লিখব কি লিখব চিন্তা করতে করতে ভাব লাম ছোটবেলার কথাই লিখি।
ছোটবেলায় নাকি আমি অনেক রাগি ছিলাম। কারনে অকারনে চিৎকার করতাম। রাগ উঠলে আমার সবচেয়ে পচ্ছন্দের কাজ ছিল কাগজ ছিড়া ।
এইটা অবশ্য এখনো আছে। কাগজ ছিড়লে গরীব হয়ে যায় এই কথা বলে আমাকে কাগজ ছিড়া থেকে বিরত রাখা হত।
আমার রাগের বিভিন্ন কারন থাকত এখন এত মনে নাই। তবে একটা ছিল আম্মুর দেরি করে বাসায় আসা। আম্মু স্কুলে চাকরি করত।
তাই আম্মু আমার পরে বাসায় আসত। বাসায় অনান্য আত্মীরা আছে। তাই কোন সমস্যা নাই। কিন্তু আম্মু কেন নাই এটাই আমার রাগ। তো স্কুল থেকে বাসায় এসে আমার প্রথম কাজ ছিল সব বিছানার বালিশগুলো মাটিতে ফেলা তারপর চাদর, তারপর তোশক উল্টাতাম, জাজিম ধরেও টানাটানি করতাম কিন্তু নাড়ানোর শক্তি ছিল না।
অন্যরা আমাকে কেউ কিছু বলত না কারন আমি এত চিৎকার করতাম যে কেউ আর ঘাটাত না। আম্মু বাসায় আসা মাত্র আম্মুর কোলে উঠে যেতাম। আমাকে কোলে নিয়েই আম্মুকে ঘরের কাজ গুলো করতে হত। আমাকে বকা দিলে আমার একটা কাপড়ের ঝুড়ি ছিল সেটা নিয়ে সিড়ি ঘরে চলে যেতাম। তারপর একটার উপর একটা জামা পরতাম আবার খুলতাম আবার পরতাম।
আব্বু আম্মু খুব একটা মারতো না। শাস্তি হিসাবে আমাকে মাঝে মাঝে বাথরুমে নয়তো আমাদের একটা স্টোর রুম ছিল সেখানে আটকায় রাখতো। বাথরুমে ঢুকানো মাত্র আমি যেই কাজটা করতাম সেটা হল বাথরুমের সব কলগুলা ছেড়ে দেয়া। তাই বাথরুমে আমাকে বেশীক্ষন আটকায় রাখতে পারত না। আরেকটা আটকানোর জায়গা ছিল স্টোর রুম, সেখানে ছিল একটা আলনা সেটাতে আমাদের কাপড় থাকত।
আমি সব কাপড় চোপড় ফেলে পাড়ায় টাড়ায় শেষ করে রাখতাম।
একবার ঈদের দিন আব্বুর কাছে মার খেয়েছিলাম। আগেই বলে নেই আমার আব্বু খুবি ঠান্ডা প্রকৃতির মানুষ। আম্মুর হাতে আমরা বোনেরা কমবেশী সবাই মার খেয়েছি কিন্তু আব্বুর হাতে মার খাওয়ার রেকর্ড বোনদের মধ্যে খালি আমারই আছে। ঘটনা যেটা সেটা হল, সেদিন আমাদের বাসায় সবার দাওয়াত ছিল।
অনেক আত্মীয়স্বজন আসছিল তো সবাই খেতে বসছে আমিও সবার সাথে টেবিলে বসছি। আমার একটা মামাতো ভাই আছে আমারি সমান। আমরা দুজনি সবচেয়ে ছোট। আপু বাড়ার সময় ওর প্লেটে আগে পোলাও দিয়েছে, কেন ওকে আগে দিল এই জন্য আমি চেয়ার এর উপর দাঁড়ায় আমার প্লেট ছুড়ে মেড়েছিলাম। আব্বু অনেক রাগ হয়েছিল যে আমি সবার সামনে এরকম বেয়াদপি করলাম।
আব্বু অবশ্য খুব বেশি মারতে পারে নাই কারন অনেক মানুষ ছিলতো, আমাকে মার খেতে দেয় নাই আরও ছিল ঈদের দিন।
শাস্তি, বকা বা মার দিয়ে কখনই আমার রাগ কমানো যেত না। যখন আমার ধ্বংসাত্মক কাজ শেষ হত তখন আমি গাল ফুলায় এক কোনায় বসে থাকতাম কারো সাথে কথা বলতাম না। পরে আম্মু এসে আদর করে বুঝায় আমার রাগ ভাংগাত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।