_________________সেলাই গাছের কারখানা _______________________________________
আমার ছোটবেলার নদী
সৈয়দ আফসার
বালিশে মাথা রেখেই আমি আর ঘোরস্বপ্নফানুস এক সাথে হেঁটে যাচ্ছি নদীবাড়ির দিকে। হালকা আত্নলন্ঠনের মিটিমিটি আলো চোখের সামনে আরো স্পষ্ট হচ্ছে ঘুম না-আসা পাশ বালিশের কোলে, এখন যে পাশ বালিশকে চেনে হল; তাকে কি চিনতাম কৈশোরে! বয়সটা কত ছিল হয়ত
১২/১৩ হবে, ঘুমের পাশে স্মৃতিঘোরের মধ্যে যেন খেলছি জুজুখেলা।কথা শুনতে নিদারুণ ভালো লাগে, ভাল না-লাগাটুকু ঝুলিয়ে রাখলাম মিহি ছায়ার নির্জনে। স্মৃতিবাড়ি হাঁটছে একা দুই পায়ের ফাকে, আর স্বপ্নমোহ ভাবছে নদীবাড়ি গিয়ে কোমর জলে হাঁটবে... নদীপাড়ে ঝিনুকের খুলে মুক্তা খুঁজবে, শোনাকথা ঝিনুকের খোলে সাত রাজার ধন মিলে। স্বপ্নের ঢালি পেতে মুক্তার আশা ম্লান হলে জল শামুকের মাটির সাথে চুমু খাওয়ার দৃশ্য দেখে লজ্জা পেত কৈশোর বয়স, মাছ ধরতে ভাল লাগত কিন্তু বুকে সাপ-জোঁকের ডর ছিল... অর্ধ-যৌবনা-নদী দেখতে সাত সকাল বেড়িয়ে পড়তাম। কখনও কখনও মক্তবে যেতে হতো বড় বোনের হাত ধরে, আকাশে শাদামেঘ দেখলেই কামনা করে ঘুমোতাম ভোরে যেন বৃষ্টিফুল অঝর ধারায় ঝরে, জাল নিয়ে মাছ ধরতে যাবো, জল নিয়ে খেলবো মক্তবে তো যেতে হবে না। হা...হা... ভোর হলেই টিনের ফুটোর দিকে তাকাতাম বৃষ্টিফল ঝরছে নাকি রোদফুল হাসছে। দরজা খোলে দেখি রোদের সকাল... আমি সকাল কে ধরতে দরজার পাশে দাঁড়াতাম... এখন আমার ছোটবেলার নদী আর মক্তবের স্মৃতি জাগলে মাথা বালিশকেও অনিদ্রায় পুড়ে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।