স্বাগতম আমার ব্লগে ছোটবেলায় অদ্ভুত কিছু স্বপ্ন দেখতাম, নিয়মিত। এমনও হয়েছে পরপর কয়েকদিন একই স্বপ্ন দেখেছি। একই স্বপ্ন কেন বারবার দেখতাম, সেই ব্যাখ্যা আমার কাছে নেই; তবে প্রতিবার দেখার সময় স্বপ্নগুলোকে খুব চেনা মনে হতো।
সবচেয়ে বেশি যে স্বপ্নটা দেখতাম, সেটা সবচেয়ে অদ্ভুত। স্বপ্নে দেখতাম আমি প্রাণপণে দৌড়াচ্ছি।
কেন দৌড়াচ্ছি জানি না, তবে প্রবল ভয়ের কিছু কারণ আছে অনুমান করতে পারছি। পিছনে তাকানোর সাহস হচ্ছে না। যখন একেবারে হাপিয়ে উঠেছি, তখন পিছনে তাকিয়ে দেখি- বিশাল একটা কয়েন গড়িয়ে গড়িয়ে আসছে। বিশাল মানে সত্যি সত্যি বিশাল, আমার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ উচু। আর এই সুবিশাল কয়েনের পিছনে পিছনে ছুটে আসছে ততোধিক বিশাল একটা তেলাপোকা!
দ্বিতীয় স্বপ্নটা অবশ্য এরকম অদ্ভুতুরে টাইপের কিছু না।
স্বপ্নে দেখতাম, আমি একটা পাটক্ষেতের আইল দিয়ে হাঁটছি। আইলটা খুবই সরু। দু’পাশে লম্বা লম্বা পাটগাছ, হাঁটতে গিয়ে নিয়মিত পাটগাছের পাতার স্পর্শ পাচ্ছি। ঘন পাটগাছের ছায়ায় জায়গাটা বেশ অন্ধকার, দেখতে সমস্যা হচ্ছে।
হঠাৎ পাটক্ষেতের মধ্যে থেকে একটা লোক বের হয়ে এলো।
লোকটার হাতে একটা যাঁতি (সুপারি কাটার যন্ত্র বিশেষ)। আমার সামনে এসে বিদঘুটে একটা হাসি দিয়ে যাঁতির মুখ খুলতে শুরু করলো। আমি স্পষ্ট বুঝতে পারছি- লোকটা এই যাঁতি দিয়ে আমার মাথা কেটে ফেলবে!
আমি জোরে চিৎকার দিতে গিয়েও দিলাম না! লোকটাকে চিনতে পেরেছি, ন্যাদর ভাই। ন্যাদর ভাই (আসল নাম শরিফুল, সবাই কেন ন্যাদর বলে আমি জানি না!) আমাদের দূর সম্পর্কের আত্মীয়!
এই স্বপ্নটা আবার অন্যরকম। দেখতাম কয়েকজন বন্ধু বসে আছি রেললাইনে।
সামনে বিল। হঠাৎ বিলের মধ্যে একটা বিমান পড়ে গেল। পড়ে যাওয়া মানে অবতরণ করা না, সত্যিকারার্থে পড়ে যাওয়া। বিলের হাঁটু পানিতে পড়ে বিমানটা একদম দুমড়েমুচড়ে গেল। সাথে সাথে শ’খানেক লোক জড়ো হলো।
যাত্রীদের লাগেজ, টাকা-পয়সা, যে যা পাচ্ছে নিয়ে যাচ্ছে। আমি খুঁজছি একটা স্ক্রু-ড্রাইভার!
একেবারের আলাদা ধাঁচের এই স্বপ্নটা খুব বাস্তবের মতো লাগতো। ঘুম ভাঙ্গার পরও মাথার মধ্যে স্বপ্নের বিষয়টা ঘুরত! আমি রাস্তার পাশ দিয়ে হাঁটছি। সাঁইসাঁই করে গাড়ি ছুটে যাচ্ছে। একটু সামনে এক বৃদ্ধ লোক রাস্তা পার হচ্ছেন।
আমার বিপরীত দিক থেকে একটা গাড়ি ছুটে আসছে; আমি স্পষ্ট বুঝতে পারছি, এই লোকটা গাড়ির নিচে চাপা পড়বেন। দৌড়ে গিয়ে লোকটাকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তা পার করিয়ে দিলাম। গাড়ি চলে গেল আমার গায়ের উপর দিয়ে!
(এক বিদুষী মহিলাকে আমার স্বপগুলোর বিষয়ে বলেছিলাম। তিনি প্রত্যেকটা স্বপ্নের আলাদা আলাদা ব্যাখ্যা বলেছিলেন। আমি যদিও এইসব স্বপ্নতন্ত্রে বিশ্বাসী না, তবুও তাঁর বলা কথাগুলো এখনো বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে।
সেই ব্যাখ্যা নাহয় গোপনই থাকুক। )
[http://www.muktokontho.com/mukto90/blog/4625] ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।