বাঁশখালীর সাধনপুরে ১১ জনকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আমিনুর রহমান চৌধুরী ওরফে আমিন চেয়ারম্যানসহ ৩৮ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। আজ সোমবার চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ বিকাশ কুমার সাহার আদালতে শুনানি শেষে অভিযোগ গঠন করা হয়।
আগামী ১৭ অক্টোবর সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত। এর আগে উভয় পক্ষের আইনজীবীরা শুনানিতে অংশ নেন।
এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও জেলা পিপি আবুল হাশেম বলেন, বিচারক ৪৩৬, ৩৯৬ ও ৩৪ ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন।
এতে আমিনুর রহমানসহ ৩৮ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। এ মামলার পরবর্তী শুনানি ১৭ অক্টোবর। মামলায় ৫৭ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
অভিযুক্ত ৩৮ আসামির মধ্যে আটজন হাজতে রয়েছেন। বাকিদের মধ্যে আমিন চেয়ারম্যানসহ ১৫ জন হাইকোর্টের নির্দেশে জামিনে আছেন।
অন্য ১৫ জন পলাতক।
এ মামলার সর্বশেষ অষ্টম তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হ্লা চিং প্রু গত ৯ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে আমিন চেয়ারম্যানসহ নতুন করে আরও আটজনকে সংযুক্ত করে মোট ৩৯ জনকে আসামি করা হয়েছিল। শুনানিতে নুরুল ইসলাম নামে অভিযোগপত্রভুক্ত এক আসামিকে বাদ দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালের ১৮ নভেম্বর গভীর রাতে বাঁশখালীর সাধনপুরের শীল পাড়ার তেজেন্দ্র শীলের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দুর্বৃত্তরা ১১ জনকে পুড়িয়ে হত্যা করে।
পরে ওই ঘটনায় পরিবারের একমাত্র জীবিত সদস্য চিকিত্সক বিমল চন্দ্র শীল বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ওই ঘটনায় স্থানীয় বিএনপির নেতা আমিনুর রহমান জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। কিন্তু তত্কালীন সরকারের সময়ে তদন্তে পুলিশ তাঁকে অভিযুক্ত করা থেকে বিরত থাকে বলে বাদীপক্ষ বারবার অভিযোগ করেন।
মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা সাতকানিয়া সার্কেলের তত্কালীন এএসপি ক্লারেন্স গোমেজ ২০০৫ সালের ১৪ ডিসেম্বর আমিন চেয়ারম্যানকে বাদ দিয়ে ৩১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এর বিরুদ্ধে মামলার বাদী বিমল শীলের নারাজির পর আদালত ২০০৭ সালের ২০ মার্চ মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।
এরপর বারবার তদন্তে আমিন চেয়ারম্যানকে বাদ দিয়ে অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। প্রতিবারই বাদী তার বিরোধিতা করে আদালতে অধিকতর তদন্তের আবেদন করেন। সর্বশেষ তদন্ত প্রতিবেদনে আমিন চেয়ারম্যানের নাম উঠে আসে। এই মামলায় তিন আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।