আমি বজ্র, আমি অবিনাশী/ আমি নরকে বসিয়া হাসি পুস্পের হাসি/ মোর এক হাতে বাঁকা প্রেমের বাঁশরী, আর হাতে রণতূর্য/ আমি মহাবিদ্রোহী রণক্লান্ত/ আমি সেইদিন হব শান্ত/ যেদিন আমার মনের মানুষ পরের ঘরে যাবেনা....না না না
২০০৩ সালে আমি যখন H.S.C পরীক্ষার্থী....প্রথম পরীক্ষা ছিল English 1st Paper, কিন্তু English এ মোটামুটি ভাল হওয়ায় অত চিন্তা করতাম না । তাই Chemistry টা দেখছিলাম। কিন্তু কতক্ষন আর ভাল্লাগে?......দুনিয়ার রাসায়নিক বিক্রিয়া, পড়তে পড়তে মেজাজ যখন গরম ..........মাথার মধ্যে যে কত-শত বিক্রিয়া (না দেখলেও টের পাচ্ছিলাম)......হঠ্যৎ টের পেলাম আমার উর্বর মস্তিস্কে যে বিক্রিয়া ঘটছিল তা যেন আমার হাতে থাকা কলম দিয়ে খাতায় অনুবাদ হচ্ছে......
“আমার পাড়ার ষোড়শী”
"পাড়ার ঐ ষোড়শীটা চলে এঁকে বেঁকে,
শিশু থেকে ঘাটের মড়া 'হা' করে থাকে।
পাড় হয়ে যায় সে পথ, ঘাট, বাড়ি,
গায়ে তার থ্রি-পিস, ক্যাজুয়ালি শাড়ি।
গলাতে সোনার চেইন, হতে পারে খাঁদ,
রিপাবলিকান গার্ড চলে তার সাথে সাথ।
চোখ ফিরিয়ে শিস মারে বখাটেদের দল,
রাতের বেলা ছদ্মনামে দেই তারে ফোন-কল।
সকালেতে সকলের বেরুবার কালে,
সে চলে গার্ড সহ ভারিক্কী চালে।
কোচিং সেন্টারে কভু যাওয়া হলে পরে,
আমি ছুটি পিছু-পিছু Follow করার তরে।
এই ভাবেই চলিতে থাকে তাহার সহিত আমার চোর-পুলিশ খেলা ..... দিন যায়, মাস যায়, বছর যায়.........,
অতঃপর তাহার আঠারো নামে....যৌবন ভরো-ভরো,
বাপ কে বলি ভদ্র ভাবে ঘটক প্রেরন করো।
আমার Social Status দেখে শ্বশুর বলে, "OK",
অন্য শিকারীরা মরে "দেব-দাস" রোগে।
"
বিঃদ্রঃ কবিগুরু তুমি আমার দিকে ওভাবে কটমট করে চেয়ো না......তুমি ওপর থেকে ঐ হতচ্ছাড়া chemistry’র ওপর যতখুশী অভিশাপ দাও......তবে আমাকে দিও না। কারন তুমি এই ভেবে খুশী হবে যে H.S.C’র পর আমাকে আর chemistry পড়তে হয়নি......তবে পচানোর অভ্যাস টা যায়নি আজও।
আজ সামুর মাধ্যমে ৭ বছর আগে লেখা আমার একটা unreleased “কবিতা” (খ্যাক...... খ্যাক...খ্যাক) release পেল এবং এর মাধ্যমে আমার ব্লগ লেখার সূচনা হলো। ......
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।