তখনও থামেনি পৃথিবীর সমস্ত কোলাহল,
মায়েরা গল্প বলা শেষ করেছে বেশ আগে
একে একে নিভছে সমস্ত আলো
অন্ধকারকে পথ ছেড়ে।
ক্ষয়ে যাওয়া সময়ের হাত ধরে
(রাস্তার)ল্যাম্প পোষ্টের বাতিগুলো জ্বলছে-নিভছে।
অন্ধকারের গল্পের দৃশ্যে
কালের সাক্ষী বট, সান্ত্রী-সেপাই বিহীন রাস্তায়
একাকী ঠায় দাড়িয়ে।
ধূসর শহরের করুণ আলোয়
জোনাকি বিহীন রাতে
গল্পের প্রয়োজনে
একদল কুকুর এসে
ডাস্টবিনে জড়ো হয়।
অরক্ষিত নগরে
দৃশ্যান্তরে
এক মানবীর আগমন।
দ্রুত পদে হেটে আসে সে জঞ্জালের স্তুপের দিকে।
কুকুরেরা অবাক বিস্ময়
নির্বোধ চাপা গড় গড় ডাকে।
ইতর প্রাণীগুলোর উপস্থিতি
বোধকরি,
মানবীর ঈষৎ ইতঃস্তত ভঙ্গির উদ্রেক করে।
কোলাহল থেমে আসা পৃথিবীতে
তখন
রাতজাগা পাখিরা জাগে।
জঞ্জালের স্তুপে
এক নতুন জঞ্জালকে ঘিরে
কুকুরগুলোর বিস্ময়
রাতের আধারে হারিয়ে যায়।
নগর পিতার অরক্ষিত শহরে
কোন কুমারী জননী সতী হল আজ
কে জানে?
কোন জনকও
তার অনাগত সন্তান হারানোর বিজ্ঞপ্তি দেয়নি পত্রিকায়।
ডিসেম্বর,২০০৯
সেম্বাওয়াং, সিঙ্গাপুর
(আদিত্য অনীকের ‘দ্বিতীয় যীশু’-কে ভিন্ন ভাবে উপস্থাপনের প্রচেষ্টা)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।