আমি ফ্রা ঙ্কে স্টা ই ন......... সে দিন সকালে উঠে দেখলাম আমার ঘরের সামনে একতা চিঠি পরে আছে। খুলবো কি খুলবো না এমন দোটানার কারণ ছিলো না। কারণ বড় বড় গোটা গোটা হরফে লিখা আছে আমার ই নাম। প্রেরকের নাম হাপিস। যাই হোক ব্যস্ততা ছিলো তাই আর সেটা খুলে দেখা নেই।
রাতে একটু দেরি করেই অফিস থেকে ফিরলাম। আমার বয়স ৩২ কিন্তু আমি এখনো অবিবাহিত। কেন জানি না। নারীর প্রতি আমার সেভাবে কোন আগ্রহ নেই। কারোন একদিন হয়ত নারীর সাথে বেশ বেশি মাখামাখি ছিলো।
আর সেই নারীরা হারিয়ে গেছে একে একে কালের গর্ভে। সে যাই হোক। বাসায় এসে আব্দুল কে বললাম আমি খেয়ে এসেছি আমার জন্য চা লাগাতে। আর ও যেন খেয়ে শুয়ে পড়ে। একটু পরে চা খেয়ে আমি দাঁড়ালাম আমার বারান্দায় বাইরে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে।
ধরনী মা যেন কাঁদছেন তার স্বন্তানদের দেখে। যাই হোক। আমি তাকিয়ে রয়েছি বিশাল আকাশের পানে। প্নদকার আকাশ। মাঝে মাঝে তালা লাগানো বাজের শব্দের ফাঁকে ফাঁকে চমকে উঠা বিদ্যুতের আলোয় দেখতে চাইছি দিনের পরিষ্কার আকাশের মতো রাতের নিঃসংগ আকাশ কে।
আমার অডিয়ো প্লেয়ারে বাজছে রবিঠাকুরের বাদল দিনের গানের কিছু কালেকশন। গায়ক সাগর সেন আর হেমন্ত বাবু।
খুব ইচ্ছে করছে বৃষ্টিতে ভিজতে। কিন্তু আমার ভেজা হয় না। কারণ এখন রাত আমি খুব বেশি রকম প্র্যকটিকেল টাইপের মানুষ।
আমার মনে পড়ে যায় আমার ভার্সিটি জীবনের সেই কথা। উদ্দাম জীবনের মাঝে একমাত্র শান্ত সাধু আমি। ঝড় বন্যা যাই আসুক আমি অটল থাকি আমার মতো। জীবনে এহেনো কোন কাজ নেই যা আমি করি নি। পয়সার জন্য।
কিন্তু আজ আমার প্রচুর টাকা পাশে দাড়াবার কেউ নেই। আজ আমার জীবন আমার ব্যবসায়িক পার্টনার আর টাকার গন্ডির মাঝেই আটকে আছে। আমার নিজের কোম্পানি আজ বিশ্বের সবচেয়ে বড় আইটি জায়েন্ট এ্যপেলের সাথে লড়াই করার জন্য প্রস্তুত। 35$ হয়ে গেছে আমার কোম্পানির শেয়ারের দাম ইউরোপে এ্যপেল এখনো আছে 42.52$ আমি প্রতি পদক্ষেপে এগিয়ে যাচ্ছি।
ছুটি কাটাতে এখন আর আগের মত আমি হারিয়ে যাই না বসুন্ধরার পেছনের কাশ বনে।
এখন আমি হারাই মিয়ামি , লস এঞ্জেলস এর বড় বড় বিশ্বসেরা বার গুলোতে। নিজেকে হারাই আমি রেড ওয়াইনের মাতাল উষ্ণ ঠোটের স্পর্শে। কিন্তু বার বার মনে আশে সেই দিন গুলি যখন ৫টা টাকা বাঁচানর জন্য আমি মাইলের পর মাইল হেটে বেরিয়েছি। প্রিয়তমার উষ্ণ ঠোঁটের স্পর্শকে অগ্রাহ্য করেছি সেই টাকার জন্য। আজ আমার সেই দিন নেই এখন আমি একজন মিলিওনার।
কিন্তু নিঃসঙ্গ।
যাই হোক হঠাৎ করেই মনে পড়লো সেই চিঠির কথা। আমার কোন আজে বাজে চিঠি আসে না। সব ই জরুরি আর গুরুত্ত্ব পুর্ণ। ফালতু চিঠি দিতো যে মা সেই মা ও বেশ কিছুদিন হলো হাড় জুরিয়েছে।
যাই হোক খামটা বেশ বড়। খুলে দেখি ভেতরে একটা ঈদ কার্ড। কার কার্ড সেতা বুঝার আগেই আমি হাস্তে হাস্তে গরাগড়ি খাচ্ছিলাম ঈদ বলে যে কিছু আছে তাই আমি ভুলে গিয়েছিলাম। আজ প্রায় ১১ টা বছর পর কোন কার্ড এলো আমার কাছে। কার্ড যে পাঠিয়েছে সে আমার সাবেক প্রিয়তমা।
যার সাথে আমার এটিএম জড়িয়ে আছে। লিখেছে স্বস্ত্রীক ঈদে তার বাড়িতে বেড়াতে যেতে। সে আমার সম্পর্কে কিছুই জানে না দেখলাম। ও থাকে প্যারিসে। প্যরিসে গিয়েছি অনেকবার।
কিন্তু আজ প্যরিসের নাম কিছুটা অন্য রকম শোনাচ্ছে। সামনের সপ্তাহে ঈদ............!
প্রাইভেট বিমানে আমি আর আমার প্রাইভেট সেক্রেটারি মিঃ জোনাথন ম্যকেঞ্জি। মাঝ রাতে এসে নাম লাম প্যারিসে। প্যরিসের রাস্তায় উদ্দাম মাতালদের ভিড়, আমি এসেছি একটা ব্যবসায়িক কাজে। সেই সাথে এ কাজ টা।
হয়তো খুব গুরুত্ত্বপুর্ণ অথবা কোন গুরুত্ত্ব ই বহন করে না................।
প্যারিসের রাস্তায় আমি একা হাটছি। কোন সিকিউরিটি নেই। গাড়ি নেই প্রটোকল নেই। আজ আমি প্যরিসে রাস্তায় এক অযাচিত।
জেনারেল গলের মুর্তির সামনে দাঁরিয়ে ভাবলাম কি নেয়া যায় ওর বাচ্চাদের জন্য। ভাবছিলাম। যাই হোক আমি ও অর সম্পর্কে কিছুই জানি না। আজ ঈদ। আজ বিকেলে আমার ওর বাড়িতে যাবার কথা...
সন্ধ্যায় আমি পৌছালাম ঐর বাড়িতে।
কিন্তু ঢুকা হলো না । কি লাভ অতীত কে আচড়ে কামড়ে খুরে বের করে। আমি না হয় আমার মতোই থাকি সে থাকুক তার মত। আমি হেতে গেলাম প্যরিসের আলোক্কজ্জ্বল রাস্তা ধরে।
হয়তো আমার প্রিয়া আজ ও বসে আছে আমার জন্যই...
থাক না বসে।
বসে থাকতে তো দোষ নেই। বসে থাকতে ই বা কজন পারে...???
আমিও বসে আছি জীবন নদীর পাশে............ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।