আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমিনী বচন

সতর্ক করন " জামাত শিবির , যে কোন রকমের মৌলবাদী, ধর্ম ব্যাবসাই ও বাংলাদেশ বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত সকল জানয়ারের প্রবেশ নিষেধ" ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মুফতি ফজলুল হক আমিনী বলেছেন, আমি অগ্রিম ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে চাই, কিন্তু এই সরকার ইসলাম ও জনগণের বিরুদ্ধে যে জুলুম ও অত্যাচার করছে তাতে শুভেচ্ছা জানানোর কোনো পরিবেশ নেই। আল্লাহর নাম বাদ দেয়ার কারণে এই সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করা এখন সবচেয়ে বড় প্রয়োজন। বর্তমান সরকারকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন, ইসলাম, কোরআন ও উন্নয়নবিরোধী সরকার হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং আমাদের দেশে আসুক আপত্তি নেই, কিন্তু দেশ বিক্রির মতো বা দেশের স্বার্থবিরোধী কোনো চুক্তি করলে জনগণ তা মানবে না। তিনি জিয়াউর রহমানকে সংবিধানে আল্লাহর নাম সংযোজন করায় ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, হয়তো এ কারণে আল্লাহ তাকে মাফ করে দিতে পারেন। এই কারণেই তার প্রতি ও তার দলের প্রতি জনসমর্থন রয়েছে।

বর্তমান সরকারকে ইসলাম ও দেশবিরোধী আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে টিকিয়ে রাখতে হলে আন্দোলন করে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে। সংবিধানে আল্লাহর নাম পুনঃস্থাপনের দাবিতে রমজানের পর হরতাল কর্মসূচি দেয়ার ঘোষণা দেন তিনি। গতকাল বিকালে রাজধানীর লালবাগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ইসলামী ঐক্যজোট আয়োজিত ইফতার মাহফিল-পূর্ব আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা শাহ আহমদুল্লাহ আশরাফ, নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি মাওলানা আবদুর রকিব অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ ফারায়েজী জামায়াতের সভাপতি মাওলানা মঈনুদ্দীন আহমদ জুবায়ের মিয়া, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর সেক্রেটারি হামিদুর রহমান আযাদ এমপি। আরও উপস্থিত ছিলেন মুসলিম লীগের মহাসচিব আতিকুল ইসলাম, ইসলামী পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল মোবিন, ইসলামী ঐক্যজোটের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি তৈয়্যেব, মাওলানা আবদুল্লাহ মুহাম্মদ হাসান, মুফতি ফয়জুল্লাহ, ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা আবুল কাশেম, মাওলানা শেখ লোকমান হোসাইন, লেবার পার্টির সভাপতি ডা. মুস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ।

বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া মুফতি আমিনীকে চার মাস যাবত গৃহবন্দি করে রাখার তীব্র সমালোচনা করে বলেন, মুফতি আমিনীর বিরুদ্ধে সরকারের এই আচরণ অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক। তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ থাকলে গ্রেফতার করা হোক। কিন্তু কোনো অভিযোগ প্রমাণ করতে না পেরে তাকে এভাবে গৃহবন্দি করে রাখা সম্পূর্ণ গণতন্ত্র পরিপন্থী ও মানবতাবিরোধী। এটা সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তিনি মুফতি আমিনীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী সম্পর্কে এখন অনেকেই কথা বলছেন।

স্বয়ং সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল, তার মেয়ে ব্যারিস্টার সারা হোসেনও সংবিধান ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলার কথা বলেছেন। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয় না, মামলা হয় আমিনীর বিরুদ্ধে। এই সরকার দেশকে সার্বিকভাবে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। শুধু পাঁচ মন্ত্রীই ব্যর্থ নয়, গোটা সরকারই ব্যর্থ। এই অবস্থায় বর্তমান সরকারের ক্ষমতা থাকার কোনো অধিকার নেই।

অতএব এই সরকারকে পদত্যাগ করে মধ্যবর্তী নির্বাচন দেয়া উচিত। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সরকার যে চুক্তি করবে তা জনগণের সামনে প্রকাশ করার দাবি জানান। মাওলানা শাহ আহমদুল্লাহ আশরাফ বলেন, বর্তমান জালিম সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা লড়াই করব। শেখ হাসিনার মতো মিথ্যুক, তার দলের মতো মিথ্যুকের সঙ্গে কোনো মুসলমান থাকতে পারে না। কারণ আল্লাহ বলেছেন তোমরা সত্যবাদীদের সঙ্গে থাক।

তিনি দেশ ও জাতির শান্তি মুক্তি কামনা করে মোনাজাত করেন ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.