আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমিনী'র ছেলে এবং আমরা ?

অভিলাসী মন চন্দ্রে না পাক, জোছনায় পাক সামান্য ঠাই

ফজলুল হক আমিনীর বর্তমানের রাজনীতির স্ট্যান্টবাজি খুবই বিরক্তিকর। কারন এর দ্বারা দেশের অগনিত সিম্বলিক মুসলমান কট্টরপন্থি ধ্যান ধারনা লাভ করবে অথবা মনের ভেতরের মৌলবাদকে আরো শক্ত করে ধরবে। কিন্তু আমিনীর ছেলের গায়েব হয়ে যাবার মানে কি? এর ম্যাসেজটা কি? কেন এবং কারা এটা করলো? সরকার বলছে যে আমিনী নিজেই ওর ছেলেকে গুম করেছে! যা অসত্য বলেই মনে করি। কারন এই সরকার চৌধুরী আলম এবং আরেক ওয়ার্ড কমিশনারকেও বছর ২ ধরে গায়েব করে রেখেছে। বিএনপির শুরু করা নিয়মিত ক্রসফায়ার ও মিসফায়ার চলছে আজো।

তাছাড়া আওয়ামী বাকশালের ইতিহাস সহ অনেক ঘটনাতেই বিরুদ্ধপক্ষের উপর ওদের আচরনের হিংস্রতা বহুবার প্রমান করেছে। না, আমি চৌধুরী আলম বা আমিনী বা ক্রসফায়ারে মারা যাওয়া সমাজে বিশৃংখলাকারীদের ওকালতি করতে আসি নাই। আমি এই লেখাটা লেখছি কারন অবাক হয়ে দেখলাম,সবার চোখের সামনে দিনে দুপুরে একজন মানুষ গায়েব হয়ে গেল! তার কি পরিচয় সেটা আমি দেখছি না কারন আমি জানি সে কারো সন্তান,করো স্বজন। যার বাবার নাম শুনেছি কিন্তু তার নাম শুনি নাই। এত ঘটনা ঘটছে ব্লগে অনেকেই হরতালে অনৈতিকভাবে ও বেআইনী ভাবে মাদ্রাসা ছাত্র ও কোরআন ব্যাবহার করার জন্য আমিনীকে দোষারপ করলো।

অনেকে আওয়ামী লীগ দ্বারা হরতালে আক্রমনের বিপক্ষেও বললো। কিন্তু আমিনীর ছেলে যে গুম হয়ে গেল সে নিয়ে দেশের মুল ধারার মিডিয়াতে কোন শব্দ উচ্চারন হলো না! কোন ডঃ এর মেয়ে কোর্টে গেল না। কোন সুশীল বা চামচা কেউই বললো না যে, আমিনী যত খারাপ যাই করুক তার ফল তার ছেলে নিশ্চয় ভোগ করতে পারে না। আমিনীর ছেলেকে গায়েব হয়ে যাবার পেছনে যে ভয়াবহ মেসেজ সেটা কি আমরা দেখছি না? আমাদের তো বলা উচিত যে আমিনী বা যামিনি যারই সন্তান গুম হয়ে গেল দেশের পুলিশ বিশেষ তদন্ত করে তা বের করুক। আমিনী যদি নিজেই ওর ছেলেকে গুম করে রাখে তাহলে তার তদন্ত করে আমিনীকে জেলে ঢুকানো হোক।

কিন্তু হরতালের পর পরই তার ছেলে গুম হয়ে গেল এবং এই ঘটনাটা আমাদেরকে একটুও বিব্রত করছে না কেন? আমি চাই গুম হয়ে যাওয়া সন্তান তার মায়ের কাছে ফিরে আসুক,গুম হওয়া বাবা তার সন্তানদের কাছে ফিরে আসুক এবং এটা আমি চাই দল-মত-বর্ণ নির্বিশেষে। প্রধানমন্ত্রির ছেলেও যেন গুম হয়ে যায় বলে আমিনী যেই দোয়া করেছে সৃষ্টিকর্তার কাছে আমি সেটা পড়ে হাসি নাই অথবা রাগ করি নাই কারন এমন জঘন্য দোয়ার মর্মের চেয়েও বেশী ফুটে উঠেছে একজন বাবার ছেলে হারানো কষ্ট। শেখ হাসিনাকেও আমি ভালবাসি না কিন্তু আমি চাই না কোন মা-ই যেন সন্তানকে খুজে না পেয়ে কাঁদতে কাঁদতে দিন পার করে। আমি মনে করি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বাইরে থেকে সমাজ ও মানুষের জন্য এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা প্রয়োজন।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.