অতি সাধারণ....প্রধানমন্ত্রী হলে দেশটারে সাজাইতাম 'কষ্টটাই মাটি'
Sun, Aug 21st, 2011 10:24 pm BdST Dial 2000 from your GP mobile for latest news
সায়েদুল ইসলাম তালাত
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিবেদক
ঢাকা, অগাস্ট ২১ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- বিক্রি শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ঢাকায় ফুরিয়ে গেছে ট্রেনের নির্ধারিত দিনের অগ্রিম টিকিট। ফলে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে যারা টিকিটের প্রত্যাশা করছিলেন তাদের অনেককেই ফিরতে হয়েছে হতাশ মনে।
কর্তৃপক্ষ বললেন, আগের বারের তুলনায় এবার অগ্রিম টিকিট প্রত্যাশীর সংখ্যা কয়েকগুণ।
রোববার সকাল ৯টায় অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়। ২৫ অগাস্ট বিকেল ৫টা পর্যন্ত অগ্রিম টিকিট বিক্রি চলবে।
সকালে কমলাপুর রেলস্টেশনে টিকিট প্রত্যাশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেলো, দুপুর ১টার মধ্যেই ঢাকা-দিনাজপুর, ঢাকা- রংপুরসহ কয়েকটি রুটের ট্রেনের টিকেট শেষ হয়ে যায়। ৩টার মধ্যে ঢাকা থেকে অন্যান্য গন্তব্যের টিকিট বিক্রি শেষ হলে বন্ধ করে দেওয়া হয় কাউন্টার।
মোহাম্মদপুর থেকে ভোর ৩টায় দ্রুতযান এক্সপ্রেসের টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন মনোয়ার হোসেন (৩০)। ২৫ তারিখের অগ্রিম টিকিট কিনতে এসে ছিলেন তিনি। তবে বিকেল ৩টায় কাউন্টার থেকে জানানো হয়- টিকিট নেই।
ভোররাত থেকে দাঁড়িয়ে থেকেও টিকিট না পাওয়া বাড়ি ফেরা নিয়েই শঙ্কিত মনোয়ার। বললেন, "সারাটা দিন লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে টিকিট পেলাম না। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়ানোর কষ্টটাই মাটি হয়ে গেলো। আজ রাতে আরো আগে এসে এখানে দাঁড়াতে হবে। তাও টিকেট পাবো কি না জানি না।
"
মনোয়ারের মতো অনেকেরই আক্ষেপ এই টিকিট না পাওয়া নিয়ে।
রংপুরে যাওয়ার জন্য টিকিট কিনতে সকাল ৭টায় লাইনে দাঁড়িয়েও টিকিট পাননি আসমা আক্তার (৩৫)। আর আফরোজা পারভীন এসেছিলেন অফিস থেকে আধাবেলা ছুটি নিয়ে। তিনিও পাননি আরাধ্য টিকিট।
আফরোজা বলেন, "অফিস থেকে আধাবেলা ছুটি নিয়ে টিকিট কিনতে এসেছিলাম।
এতোক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে মাত্র কয়েক পা এগিয়েছি। কাল আবার আসতে হবে। কিন্তু এসেও কি টিকেট পাবো?"
ময়মনসিংহে বাড়ি হওয়ায় এতোদিন বাসেই আসা-যাওয়া করতেন আফরোজারা। বেহাল সড়কের কারণে বিকল্পেও এখন তাদের শঙ্কা।
কমলাপুর রেল স্টেশনে টিকিট না পাওয়াদের পাশাপাশি পেয়েও হতাশ এমন অনেকের দেখা মিলেছে।
কারণ তারা প্রত্যাশিত সংখ্যক টিকিট পাননি।
ফারুক হোসেন নামে এক ব্যক্তি জানান, ভোর ৪টা থেকে তিনি চট্টগ্রামের টিকিটের লাইনে দাঁড়িয়েও দুপুর আড়াইটায় প্রথম শ্রেণীর মাত্র দুটি টিকিট পেয়েছেন। অথচ তার দরকার ছিলো চারটি।
"কাউন্টারের সামনে এসে জানতে পরি, প্রথম শ্রেণীতে মাত্র দুটি টিকিট রয়েছে। কিন্তু আমার দরকার ৪টি।
কাকে দোষ দেব ভাই? সরকার, রেলওয়ে নাকি আমার কপালকে? গতবার বাসে করে বাড়ি যাওয়ার পথে রাস্তায় ছিলাম ৩৬ ঘণ্টা। এবার তো মনে হয় বাসে গেলে পুরো ছুটিটাই রাস্তায় কাটাতে হবে। তাই ট্রেনের টিকিট কিনতে এসেছিলাম। "
বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাজমুল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "২৬ অগাস্টের জন্য মোট ১৪ হাজার ৪০০ টিকিট রয়েছে। বিকেল ৩টা নাগাদ ১০ হাজার ২৯৯টি টিকেট শেষ হয়েছে।
দুরপাল্লার বেশিরভাগ টিকিটই বিক্রি শেষ। স্বল্প দূরত্বের ও কোটার কিছু টিকেট অবশিষ্ট রয়েছে। "
প্রতিদিন ১৫ হাজার ৭৩৫ জন যাত্রী বহনের ক্ষমতা থাকলেও সড়ক যোগাযোগের দুরবস্থার কারণে এবার রেলের উপর বাড়তি চাপ পড়ছে বলে জানান তিনি।
তার মতে, গতবছরের তুলনায় এবার রেলওয়ের টিকিটের চাহিদা কয়েকগুণ বেশি।
নাজমুল হাসান জানান, অতিরিক্ত চাপ সামলাতে নিয়মিত ২৭৮টি ট্রেনের বাইরে আরো ১৪টি ট্রেন ও ১০৭টি অতিরিক্ত বগি সংযুক্ত করা হবে।
কমলাপুর স্টেশন মাস্টার সীতাংশু দেবনাথ জানান, ১৩টি বুথ ও ৩টি মোবাইল বুথের মাধ্যমে টিকেট বিক্রি হচ্ছে। তবে একজন ৪টির বেশি টিকিট কিনতে পারবেন না।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এসআইটি/এএল/পিডি/২২১৩ ঘ.
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।